১৭ই মে ১৯৮১, ঢাকা। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ততদিনে তাঁর আর হারানোর কিছু বাকি ছিলোনা, নতুন করে পাবারও ছিলোনা। তবুও তিনি ফিরে এসেছিলেন জাতিরপিতার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে, খেই হারানো নৌকার বৈঠা ধরতে।
প্রলয়ঙ্কারী কালবোশেখী ঝড়ের মধ্যেও সেদিন গোটা বিমানবন্দর এলাকা হাজারো নেতাকর্মীর মুখে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত, “শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই! ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে!”
শেখ হাসিনার সেই ভাইয়েরা তাদের কথা রেখেছিলো চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে বোনের উপর গুলিবর্ষণের সময়। কথা রেখেছিলো শহীদ নুর হোসেন চত্ত্বরের নুর হোসেন! সেই ভাইয়েরা কথা রেখেছিলো গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পনায় জঙ্গি স্টাইলে গ্রেনেড হামলার সময়। সেই ভাইয়েরা তাদের কথা রেখেছিলো ওয়ান ইলেভেনের বেঈমানী আর চেয়ারবাজির সংকটেও।
আপার ভাইয়েরা বেঁচে থাকতে তাদের ভেদ করে আপাকে আঘাত করে এতো গুলি, এতো গ্রেনেড কই পাবে হত্যাকারীরা? এই ভাইয়েরা যতদিন বেঁচে আছে ততদিন জাতিরপিতার রক্তের পবিত্র আমানত, আমাদের হাসু বুবুকে আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অমর হোক। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয়তু শেখ হাসিনা।
(কলামিস্ট ও ছাত্রনেতা হামজা রহমান (অন্তর) এর ফেসবুক থেকে… )