1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩

আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আয়-ব্যয়ের অসাঞ্জস্যতা নিয়ে অকাট্য কিছু প্রমাণ রয়েছে। জাহাঙ্গীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়া আর কোথাও পড়াশোনা করে নাই বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৮ সালে ভাওয়াল বদরে আলমের অধ্যক্ষ ইউসুফ আলী শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর ও গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে কয়েকটি অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

অভিযোগসমূহ:

১. জাহাঙ্গীর ১৯৯৪ সালে লোহাবো বনকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে ভালুকা কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। রোল নং ছিল ৬১৭৬৩৮, রেজিস্ট্রেশন নং ১৮৪১১৭৯, সাল ১৯৯২।

২. ১৯৯৬ সালে কাহারোল সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ঢাকা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষার রোল নং: সেতাব ৪৬৮৪৯, রেজিস্ট্রেশন নং: ৩০১৭৮ (১৯৯৪-১৯৯৫)
[ দুটি পরীক্ষাই টাকার বিনিময়ে অন্য প্রার্থীর মাধ্যমে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাকে মামার দোকানে দেখা গেছে।]

৩. ১৯৯৬ সালে প্রাইভেটে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রোল: গাজীপুর-১ নং ৩২৮৫৪৬, রেজিস্ট্রেশন নং: ০৫২২০৯/৯৪-৯৫

৪. ১৯৯৭ সালে ময়মনসিংহ থেকে আলিম ও ১৯৯৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদও তার রয়েছে বলে জানা যায়।

ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সে (১৯৯৮ সাল) অধ্যয়নরত সার্টিফিকেট কেনাবেচা ও জালিয়াতি চক্রের সদস্য মোস্তফা কামাল মুকুলের মাধ্যমে সনদ জোগাড় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

আয়-ব্যয়ে অসামঞ্জস্যতা:
জাহাঙ্গীরের বার্ষিক আয় ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে তাঁর ব্যবসার পুঁজি জমা আছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭১ টাকা। ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন ৭৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৭ টাকা। সঞ্চয়পত্র আছে ১০ লাখ টাকার। এ ছাড়া তাঁর দুটি গাড়ি, একটি বন্দুক, একটি পিস্তল আছে।

জাহাঙ্গীর আলম ফাউন্ডেশন নামে এটি সংগঠন রয়েছে জাহাঙ্গীরের যার কোনো তথ্য আয়-ব্যয় বিবরণী বা হলফনামায় নেই। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৩২০ জন ট্রাফিক সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন যাদের প্রত্যেকের ন্যূনতম বেতন ১০ হাজার টাকা। মাসিক বেতন হয় ৩২ লাখ টাকা। জাহাঙ্গীরের ভাষ্য, এই সড়ক পরিসেবায় তাঁর প্রতি মাসে খরচ হয় ৫০ লাখ টাকার বেশি এবং চার মাসে খরচ হয়েছে দুই কোটি টাকা।
তাঁর ভাষ্য অনুসারে এক বছর এই সেবা চালু রাখলে তাঁর খরচ হবে ৬ কোটি টাকা। বিপুল এই অর্থ কোথা থেকে দিচ্ছেন, কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, সে সম্পর্কে হলফনামায় কিছুই উল্লেখ করেননি তিনি। তার অর্থের উৎস যদি সিটি কর্পোরেশনের নামে দুর্নীতি করা টাকা না হয় তাহলে তার মা নির্বাচিত না হলে কি এই সেবা অব্যহত রাখবেন?

ফাউন্ডেশনের আওতায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীরের ভাষ্য মতে, এ বছর ১০ কোটি টাকার বৃত্তি ছাড়াও ১০০টি ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। নিজ খরচে বিদেশে পর্যন্ত পাঠিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থীকে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি থাকলেও ৫৭টি ওয়ার্ড কমিটি-শূন্য। কিন্তু প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মী, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও নারী এই চার ক্যাটাগরিতে নিজস্ব কমিটি রয়েছে যা ‘জাহাঙ্গীর গ্রুপ’ বলে পরিচিত। এর পরিচালনায় খরচ হয় কোটি টাকার বেশি। এসবের কোনো তথ্য হলফনামা বা আয়-ব্যয়ের বিবরণীতে নেই।

বিএনপির পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম কীভাবে প্রমাণ করবেন তিনি দুর্নীতিবাজ নন? তার মা নির্বাচিত হলেও সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে জাহাঙ্গীরের হাতেই। গাজীপুর কি দুর্নীতিবাজ চক্রের হাতেই বন্দী থাকবে?


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ