1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ী শাখায় সিটি করপোরেশনের নামে জাল হিসাব খুলে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এসব টাকা তুলে আত্মসাতের পর ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

অর্থ আত্মসাতের বিস্তারিত তুলে ধরে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকটির কোনাবাড়ী শাখায় ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে একটি হিসাব খোলা হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশনের রেজিষ্টারে এ নামে কোনো হিসাব খোলার তথ্য নেই।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই হিসাবে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৫ টাকা জমা হয়। পরে এসব টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ী শাখার ম্যানেজার মো. মোরশেদ খানের এ- সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নামীয় হিসাবে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইস্পাহানি ফুড লিমিটেডের নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের 8০ লাখ ২৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি টিন বাংলার নামে এক্সিম ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা, ৫ মার্চ হানিওয়েল গার্মেন্টস লিমিটেডের নামে ইউসিবি ব্যাংকের ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৫ টাকা, ২৯ জুলাই জিএমএস কম্পোজিট নিটিং লিমিটেডের নামে ইসলামী ব্যাংকের ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯০ টাকা এবং ৮৫ লাখ টাকার দুটি পে-অর্ডার জমা হয়। সব মিলিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৫ টাকা সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা হয়। হোল্ডিং ট্যাক্সের অগ্রিম ও প্ল্যানের জরিমানা বাবদ এসব টাকা জমা দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, প্রিমিয়ার ব্যাংকে যেসব টাকা জমা হয়, তার থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা জাহাঙ্গীর আলম, তার বাড়ির কেয়ারটেকার পলো চাকমা ও শহিদুল উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শামীম হোসাইন নামে এক ব্যক্তি ৫০ লাখ টাকা, ৫ মার্চ জাহাঙ্গীর আলম্‌ নিজে ৩০ লাখ, ১০ আগষ্ট কেয়ারটেকার পলো চাকমা ৩০ লাখ, ৬ আগষ্ট কেয়ারটেকার শহিদুল ১ কোটি; ১৮ আগষ্ট ৩০ লাখ ও ২০ আগষ্ট ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সিটি করপোরেশনের নামে কোন হিসাব খোলার বিধান নেই। কিন্তু, জাহাঙ্গীর আলম প্রিমিয়ার ব্যাংকে হিসাব খোলেন এবং হিসাবটি জাহাঙ্গীর আলমের একক স্বাক্ষরে পরিচালিত হতো।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ