1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হিটলারের জন্মভিটায় পুলিশের জন্য মানবাধিকার প্রশিক্ষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

অস্ট্রিয়ার যে বাড়িটিতে অ্যাডলফ হিটলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটি পুলিশ অফিসারদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। মূলত সাবেক এই স্বৈরশাসকের এই জন্মভিটাকে কী করা হবে তা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্কের পর অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ অ্যাম ইন শহরের যে বাড়িটিতে অ্যাডলফ হিটলার জন্মগ্রহণ করেছিলেন, দীর্ঘ বিরোধের পর অস্ট্রিয়ার সরকার ২০১৬ সালে সেটি কিনে নেয়। মূলত বাধ্যতামূলক ক্রয় আদেশের অধীনে জার্মান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই ভবনটি কিনে নেয় সরকার।

বিবিসি বলছে, গণহত্যাকারী কুখ্যাত জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালে এই ভবনেরই টপ ফ্লোরের একটি ভাড়া নেওয়া ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ অফিসারদের মানবাধিকার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্তের পর বাড়িটিকে রূপান্তরের জন্য নির্মাণ কাজ শরৎকালে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু এই পরিকল্পনা বেশ বিতর্কিত। কিছু অস্ট্রিয়ান নাগরিক এই বাড়িটি ভেঙে ফেলতে চায় এবং বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটিও এই ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাতে এটি নব্য-নাৎসিদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত না হয়।

তবে সমালোচকরা বলছেন, তেমনটি করা হলে তা হবে অস্ট্রিয়ার অতীতকে অস্বীকার করা। অন্যরা বলেছেন, এটিকে পুনর্মিলনের ঘর হিসাবে বা দাতব্য সংস্থার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা উচিত।

অস্ট্রিয়ান সম্প্রচারকারী ওআরএফ’র তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ প্রকল্পের অধীনে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভবনের রূপান্তরের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর তার পরের বছরই পুলিশ বাহিনী সেখানে উঠে যাবে।

বিবিসি বলছে, নাৎসি শাসনের সময় এই বাড়িটিকে হিটলারের মন্দিরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। অবশ্য হিটলার এই বাড়িতে কেবল কয়েক মাস ছিলেন এবং জার্মান সীমান্তবর্তী অস্ট্রিয়ার এই শহরটিতে পর্যটকদের ঢেউ শুরু হয়েছিল।

কিন্তু ১৯৪৪ সালে নাৎসিরা নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর কট্টর ডানপন্থি পর্যটন বন্ধ করার প্রয়াসে কয়েক দশক ধরে সাবেক মালিক গারলিন্ড পোমারের কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে রাখে অস্ট্রিয়ান সরকার।

সেসময় এই বাড়িটি একটি দাতব্য সংস্থার অধীনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ডে কেয়ার সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। ২০১৬ সালে আট লাখ ইউরোর ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে আগের মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দিয়ে একটি আইন পাস করে সরকার।

এর তিন বছর পর অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৭ শতকের এই বাড়িটিকে পুলিশ স্টেশনে পরিণত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ