1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে গণমানুষের অধিকারের সংগ্রামের নামই শেখ হাসিনা

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ১৯ মে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরে অনুষ্ঠিত দলীয় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যকালে ‘আর কোনো ১০ দফা ২০ দফা না, এখন এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবর-স্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবর-স্থানে পাঠাতে হবে’ বলে হুমকি দেন। তার এই হুমকিতে বিবেকবান ও সচেতন দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে! নির্বাচনের যেখানে মাত্র প্রায় ছয় মাসের মতো বাকি সেখানে অগণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের বিএনপির এমন নজিরবিহীন বক্তব্য শুধু দেশবাসীকেই নয় প্রকৃতপক্ষে সভ্য দুনিয়াকেই বিস্মিত করেছে। ইতোমধ্যে দলটির এহেন সন্ত্রাসী বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ঢাকাস্থ মর্কিন দূতাবাস বিবৃতি প্রদান করেছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার কম চেষ্টা করা হয়নি! সমগ্র বিশ্ববাসী ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর জনসভায় গ্রেনেড হামলার কথা কথা এখনো বিস্মৃত হননি। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সেদিন জঘন্য পরিকল্পনা করেছিল ‘হাওয়া ভবন’ সংশ্লিষ্টরা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এমন নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ইতিহাসে বিরল। নারকীয় সেই তাণ্ডব থেকে শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ অন্তত ২৪জন নেতাকর্মী সে হামলায় মৃত্যুবরণ করেন। আর গ্রেনেডের স্প্রিন্টারের আঘাতের ক্ষত নিয়ে শতাধিক নেতাকর্মী পঙ্গু জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। মূলত নানারূপ বিরল ঘটনার জন্ম দিয়েই অতীতে বিএনপি রাষ্ট্রশাসন করেছে।

আন্তর্জাতিকভাবে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে একেবারেই যেন হাঁপিয়ে উঠেছে! ক্ষমতার মসনদ প্রাপ্তির বিলম্ব তাদেরকে পাগল করে তুলেছে! নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষার ধৈর্য্যটুকুও তারা হারিয়ে ফেলেছে। তাই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতেও তাদের দ্বিধা নেই! রক্তের হোলি খেলার মধ্য দিয়ে যেমন দলটির জন্ম তেমনি আগুন ও পেট্রোলবোমার ওপর নির্ভর করেই যেন দলীটর বেড়ে ওঠা! দলটির মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কেবল কথার কথা মাত্র ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা দেখেছি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য খুনিরা কমপক্ষে হলেও ২১ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়! সেই ব্যর্থতাও যেন বা তাদেরকে ভেতরে ভেতরে দগ্ধ করেই চলেছে! আর তারই ‘রাখঢাকহীন’ নগ্ন বহিঃপ্রকাশ আমাদেরকে প্রকাশ্য জনসভায় আবারো দেখতে হলো!

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কেন বারবার হত্যাচেষ্টা করা হয়? তার দোষই বা কী? তিনি কী এমন ক্ষতিইবা করেছেন আমাদের? কিছুটা অতীত ইতিহাস পাঠে আমরা জানি যে, দেশ যখন স্বৈরশাসনের নিপীড়নে অতীষ্ঠ তখন জাতিকে বিপর্যস্ত ও বিপন্নদশা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে পিতার মতোই অমিত সাহসে নিজের জীবন বাজি রেখে রাজনীতির মাঠে আগমন করেছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখে সেসময় থেকেই ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছিল পরাজিত শক্তি। তাই তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে নিজেদের ভয়কে জয় (!) করতে চেয়েছে বারংবার! হত্যাকারীদের অপপ্রয়াস এখনো থেমে যায়নি। সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায়, জনমত উপেক্ষা করে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করে যারা নীতিহীন, আদর্শহীন এবং হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী তারা আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও সেই শাশ্বত সত্যকেই প্রমাণ করেছে। রাজনীতির লেবাসে যারা রক্তের হোলি খেলায় মত্ত হয়েছিল আজ তারা ইতিহাসের সেই আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

আমরা জানি না, কোথায় আছে ইতিহাসের তামসঘন মুহূর্তের সেইসব অপনায়কেরা! যারা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্রকে করে তুলেছিল বিভীষিকাময় এক রক্ত- স্রোতস্বিনী রূপে! যারা স্বাধীন ও সার্বভৈৗম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতাকেও সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিকভাবে করতে চেয়েছিলেন- করেছিলেনও। কিন্তু তার প্রত্যাশা মতো তিনি দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে যখন নিবেদিত হন তখনই ঘাতকেরা পরিবারের ১৮জন সদস্যসহ তাকে হত্যা করে। আজীবনের জন্য আগস্ট মাসটিকেই তারা অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত করে যেন!

বাঙালির জীবনে দুঃসহ এক মাসের নাম আগস্ট। ১৯৭৫ সালের আগে আগস্ট নিয়ে বাঙালির এই উদ্বিগ্নতা ছিল না। ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার মাধ্যমে আগস্টের গায়ে এমন কালিমা লেপন করেছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। বিদেশে অবস্থানের জন্য সেসময় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পরিবারের সকলকে হত্যার মধ্য দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে বাঙালির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং এদেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করার নিষ্ঠুর প্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমিছিল তারা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার পাঁয়তারা হিসেবে বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসকেও করেছিল বিপন্ন। বিপন্ন ও বিকৃত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ষড়যন্ত্রকারীরা মুক্তিযুদ্ধকে নানা অপকৌশলে সাধারণের সম্মুখে ভ্রান্তরূপে উপস্থাপনের প্রয়াস গ্রহণ করেছিল। সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধকালীন চার মৌল নীতিকেও সাধারণের সম্মুখে সুপরিকল্পিত উপায়ে নানারূপ অপব্যাখ্যায় উপস্থাপন করেছে। সংবিধানকে বিকৃত করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকেও বিকৃতির আড়ালে আচ্ছন্ন করেছে।

শুধু তাই নয়- বঙ্গবন্ধু হত্যা দিবস ১৫ আগস্টকেও তারা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে। এ দিনটিকে তারা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মোৎসব হিসেবে পালনে মাতোয়ারা হয়েছিল। কিন্তু আগুন যেমন ছাই দিয়ে চেপে রাখা যায় না তেমনি সত্যিকারের ইতিহাসকেও তার গতিধারা থেকে বিচলিত করা যায় না। প্রকৃত ইতিহাস আপন-তেজে আপনিই প্রকাশিত হয়- অন্তত বাংলাদেশে তা প্রমাণিত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছয়-ছয়টি জন্মদিনের দালিলিক প্রমাণাদি এখন ইন্টারনেট দুনিয়ার সর্বত্র ভাসমান!

আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিহাসে নির্দিষ্ট পথরেখায় পরিক্রমণের মাধ্যমেই উন্নয়নের গতিশীলতায় সম্মুখের দিকে আবর্তিত। তাই বঙ্গবন্ধুর ন্যায় তারও বেড়েছে শত্রু। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে শেখ হাসিনার হাত ধরে। শেখ হাসিনার বিজয়গাথা আজ সূর্যরশ্মির ন্যায় দিকবিদিক আলোকিত করছে। সুতরাং তাকে নিবিয়ে দিতে হবে, তাকে হত্যা করতে হবে, ‘তাকে কবর-স্থানে পাঠাতে হবে’ ইত্যাদি কত কি! ক্ষমতালিপ্সু ও নরঘাতকদের গভীর ষড়যন্ত্র এবং নির্মম ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ১৫ আগস্টকে বাঙালির চিত্তপট থেকে ভুলিয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল জননেত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে তাও ব্যর্থ হয়েছে! বঙ্গবন্ধু আজ আর কেবল বাঙালি ও বাংলাদেশের সম্পদ নন। তিনি বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের অমোঘ এবং অবিসংবাদিত নেতার আসন পেয়েছেন। বিশ্বের সকল প্রান্তের অসহায় ও নিরন্ন মানুষের সহায়রূপে তাদের মননের গভীর আসনটিও তিনি জয় করে নিয়েছেন! মানুষ যতই বঙ্গবন্ধুকে পাঠ করছেন ততই মুগ্ধ বিস্ময়ে তার নেতৃত্বের প্রতি অনুগতচিত্ত সমর্থন জ্ঞাপন করছেন। বিশ্ববাসী মুক্তিযুদ্ধের মহান এই স্থপতি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সশ্রদ্ধ সম্মানও করছেন।

পক্ষান্তরে, খুনি এবং খুনিদের মদদ দানকারী গোষ্ঠীর প্রতি প্রকাশ করছেন অন্তহীন ধিক্কার এবং ঘৃণা। রাজশাহীর চাঁদ সাহেব সহসা যেমন ‘হিরো’ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন সৃষ্টিকর্তার অমোঘ ইশারায় এবং মানুষের অন্তহীন ধিক্কার এবং ঘৃণায় এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ‘জিরো’ হয়ে গেছেন!

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ‘অসমাপ্ত’ কাজ সমাপ্ত করার জন্য আবারো ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে হত্যাকারীরা যেন আগস্টকেই বেছে নিয়েছিল! বেছে নিয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্টকে! বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য নরপিশাচের দল ২০০৪ সালে মরিয়া ও মত্ত হয়ে উঠেছিল। ২১ আগস্টের কারিগর কারা এবং কারা বারবার বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার সক্রিয় হয়ে ওঠে জাতির কাছে তাও স্পষ্ট হয়েছে অনেক আগেই। একটি স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যখন ক্ষমতা দখল করে তখন সে জাতি নানাভাবে বিপন্ন ও পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে। ১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস মূলত সেই বিপন্নতারই ইতিহাস!
১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্ট শুধুমাত্র নয়- বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সেই নর পিশাচগোষ্ঠী এ পর্যন্ত কম করে হলেও ২১ বার আক্রমণ করেছে। কিন্তু বাঙালির অন্তহীন ভালবাসা আর মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। বেঁচে আছেন বলেই শেখ হাসিনার হাত ধরে এদেশের মানুষের উন্নতি হচ্ছে দিনদিন। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করছে খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ। দরিদ্র দেশের তকমা ত্যাগ করে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বগুণে আমরা আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছি। এ অগ্রযাত্রার গতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছুবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। কিন্তু উন্নয়নের ধারাকে স্তব্ধ এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রয়াস নিয়ে ঘাতকেরা বারবার আক্রমণ করে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। ফিরে এসে দেশের সাধারণ মানুষকে সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য কাজ করেন। সাধারণ মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে সে চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেন। কর্মহীনদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তিনি উদ্বিগ্ন হন। এককথায়, মানুষের সার্বিক মুক্তি ও কল্যাণের জন্য তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শত্রুদের প্রদর্শিত মৃত্যুভীতির কাছে তিনি নতজানু হননি, থমকেও যাননি! বরং বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাই আমরা বলি- বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে সাধারণ মানুষকে বাঁচাবার সংগ্রামের নামই শেখ হাসিনা!

১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের অপনায়ক এবং তাদের দোসরদের অনেকেই আজ বিচারের মুখোমুখি, কেউ কেউ আবার পলাতক। এদেরই বশংবদেরা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় আজও নানাভাবে সক্রিয়। সক্রিয় বলেই বারবার হামলা করা হয় জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর। যে আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে জাতির পিতা বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন সেই চেতনাকে নানা পন্থায় ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করাই হামলাকারীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী তথা ধর্মনিরপেক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এদশের মানুষ এই অপশক্তিকে প্রতিহত করবে। এটিই বাঙালির চিরায়ত নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু অনুরূপ আদর্শ ও চেতনার পতাকাবাহী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব না হলে আমাদের সেই বৈশিষ্ট্য দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সুতরাং জাতীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিনির্মাণও আওয়াী লীগের জন্য জরুরি। যুগোপযোগী মানসিকতা সম্পন্ন এবং মুক্তিযুদ্ধের মৌল আদর্শের অনুসারী একটি চৌকস নতুন প্রজন্মের এখন বড় প্রয়োজন। তাদের মেধা ও মননের আলোয় তবেই অন্ধকারের অপশক্তি ক্ষয়প্রাপ্ত হবে। হত্যাকারীদের অন্ধ উল্লাসও দ্রুত স্তব্ধ হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ