1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে

আবদুল মান্নান : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে ও দেশের বাইরে নানামুখী শলাপরামর্শ, তর্ক-বিতর্ক, সভা-সমাবেশ, আলোচনা-সমালোচন চলছে। কোনো দেশের কোনো নির্বাচন নিয়ে এত তৎপরতা কখনো দেখা যায় না, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক বেসরকারি টিভির টক শোতে একজন বিদগ্ধ আলোচক জানতে চাইলেন, কই পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে তো এত কথা হয় না, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কেন দেশে ও দেশের বাইরে চায়ের কাপে এত ঝড়। তার একটাই কারণ, আর তা হচ্ছে, পাকিস্তান নামের দেশটাকে সারা বিশ্ব এখন খারিজ করে দিয়েছে।

দেশটি আর কয়েক বছর টিকে থাকাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক শক্তি এখন সবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে দেশটি গত ১৫ বছরে সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে, তা এখন বিশ্বপরিমণ্ডলে স্বীকৃত।

৫৩ বছর আগে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে যাত্রা করা বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩৬ সাল নাগাদ দেশটি ২৬ নম্বরে উঠে আসবে। এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ বলছে, দেশটি ২০৩০ সাল নাগাদ জার্মানি বা ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বে নবম ভোক্তা দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে। স্বাধীন দেশ হিসেবে দেশটির অর্থনীতির পরিমাণ ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার, তা এখন ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উপনীত হয়েছে।

২০৪০ সাল নাগদ এক ট্রিলিয়ন ডলার হওয়ার কথা রয়েছে। এসব পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক গবেষণা ও আর্থিক সংস্থাগুলোর। এমন একটি দেশের প্রতি বিশ্বের বড় বড় দেশের নজর থাকাটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের সব দেশই নিজ নিজ অর্থনীতি নিয়ে সব সময় সতর্ক থাকে। আর বিশ্বায়নের এই যুগে কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলে তার ঢেউ দূরের দেশেও লাগে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।

বাংলাদেশে বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থাটি ধ্বংস করেন দেশের প্রথম সেনাশাসক ও বিএনপি নামের দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া। তিনি সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজের সব রীতি-নীতি পানিতে ফেলে ১৯৭৭ সালে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন। তার পর থেকে এই দেশের নির্বাচনব্যবস্থা আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। তাঁর উত্তরসূরি জেনারেল এরশাদও একই পথে হেঁটেছেন। নব্বইয়ের দশকে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হলে সব দল মিলে ঠিক করে দেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় একটি দলনিরপেক্ষ সরকার থাকবে, যারা তিন মাসের মধ্যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তা-ই হয়েছিল। সেই ব্যবস্থা সেখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু তাকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে ২০০৬ সালের পরও যখন বিএনপি নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চাইল, তখন আবার আন্দোলন, আবার অশান্তি, আবারও রক্তক্ষয়। ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সব দলকে বাদ দিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করে একটি অসম্পূর্ণ সংসদ গঠন করে। সেই সংসদে সংবিধানে একটি নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা সংযোজন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে কেটে পড়ে। সেই ব্যবস্থার অধীনে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায়। ২০০৫ সালে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের উচ্চ আদালতে এক রিট মামলা হলে আদালত এই ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী বলে ২০১২ সালে তা খারিজ করে দেন। আদালতের এই রায় মানতে নারাজ বিএনপি আর তার মিত্ররা।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বাতিল হওয়া নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে রাস্তায় নামে বিএনপি ও তার মিত্ররা। সারা দেশে শুরু করে এক ভয়াবহ তাণ্ডব। ১৪১ জন নিরীহ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কয়েক শ কোটি টাকার জান-মালের ক্ষতি হয়। সংবিধান রক্ষায় অবিচল থাকেন শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াতের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দশম সংসদ নির্বাচন। অথচ সেই নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির পক্ষে সম্মানজনক আসনে বিজয় লাভ করা অসম্ভব ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পরিস্থিতি উপলব্ধি করে ড. কামাল হোসেনকে নেতা মেনে একটি জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেয়। কিন্তু তারা ড. কামাল হোসেনের মতো ব্যক্তির সঙ্গেও প্রতারণা করতে দ্বিধা করেনি। তাদের নেতা লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান মোটা অর্থের বিনিময়ে একই আসনে গড়ে তিনজনের কাছে মনোনয়ন বিক্রি করেন। ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। কোনো রকমে বিএনপি সাতটি আসনে জয়ী হয়। তারা জিগির তোলে এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে। অসত্য প্রচারে পারদর্শিতার কারণে তারা এসব গল্প দেশে-বিদেশে সফলভাবে ফেরি করতে সক্ষম হয়েছে।

এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের প্রথমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তার মিত্ররা একই দাবি নিয়ে ফের মাঠে। তাদের দাবি একটাই। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাঁকে পদত্যাগ করে একটি অসাংবিধানিক নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তাদের সমর্থনে এগিয়ে এলো এই দেশের কিছু মিডিয়া আর নিরপেক্ষ দাবিদার দেশের নাগরিক সমাজের একটি অংশ। বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু হলো। লন্ডনে বসে সব কিছু তদারক করছেন বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মোটা অর্থে নিয়োগ করা হলো লবিস্ট, যাঁরা তাদের আবদার বিদেশিদের গেলাতে পারেন। যাতে তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের ওপর নাজায়েজ চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে বেশ জুতসই একটি স্থান দখল করে ওই দপ্তরের মুখপাত্রকে মতলবি প্রশ্ন করার জন্য বসে থাকেন খালেদা জিয়ার একসময়ের সহকারী প্রেসসচিব। এরই মধ্যে দেশে বিএনপি তথাকথিত নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা ও শেখ হাসিনাকে উত্খাতের নানামুখী কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। সভা-সমাবেশের নামে শুরু করেছে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। ঘোষণা করেছে তাঁর অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেবে না তারা। আর হলেও তারা তাতে অংশ নেবে না। তাদের এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা দেশে ও বিদেশে একাধিকবার এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। বলেছেন, নির্বাচন হবে সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। তা পরিচালনা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, সরকারের নয়। সরকার তখন শুধু দৈনন্দিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব দেশ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসতে চান তাঁদের সাদরে গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এটাও তারা মানতে নারাজ। তাদের কথা, কিভাবে বর্তমান সরকার নির্বাচন করে তা তারা দেখে নেবে।

এসবের মধ্যে অরেকটা বিষয় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এই নীতি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রচার করলে আরো ভালো হতো। তাঁদের কথা পরিষ্কার। তাঁরা কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থার কথা বলা থেকে বিরত থেকেছেন। বলেছেন, শেখ হাসিনা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। তাঁরাও এমন একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া-না নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপার। শেখ হাসিনা সব সময় যে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে এসেছেন। তিনি সহায়তা করতে চান। মত প্রকাশের ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও চলাচলের নিশ্চয়তা দেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন। এতে সরকারের দায়িত্ব বেড়ে গেল অনেকাংশে। যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, নির্বাচনব্যবস্থা কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তা তারা মেনে নেবে না। তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, বিচারকার্যে জড়িত ব্যক্তি যিনিই হোন না কেন, তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বিএনপি এই সংবাদটি যতই হাসিমুখে গ্রহণ করুক না কেন, বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণা তাদের একটা নাজুক অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। তাঁদের অনেকের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করেন। অনেকে সেই দেশে বাড়িঘর কিনেছেন। ব্যবসাও আছে। তাঁরা আশা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার সরকারকে তাদের দাবি মানতে বাধ্য করার জন্য কিছু জোরালো পদক্ষেপ নেবে। হলো ঠিক উল্টো। এখন বিএনপি ও তাদের মিত্রদের অবস্থা অনেকটা ‘ফাঁদে পড়িয়া বগা কাঁদে’র মতো। বিএনপি ও তাদের মিত্রদের রাজপথ ছেড়ে নির্বাচনমুখী হওয়া ছাড়া বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। আরো একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, তা বাছাই করবে কারা। কোন কাজটি সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করবে আর কোনটি করবে না, তা কে বা করা নির্ধারণ করবে। তার জন্য একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা কি করা হয়েছে। অ্যান্টনি ব্লিংকেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তটি টুইটারের মাধ্যমে জনগণকে জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে সেই ভিসানীতির প্রথম বলি তো বিএনপির লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জেমস মরিয়ার্টি ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি তাঁর দেশের স্টেট ডিপার্টমেন্টে তারবার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্র ও শান্তি এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি হুমকি, সুতরাং তাঁর ভিসা বাতিল এবং ভবিষ্যতে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতির ক্ষেত্রে যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সেই থেকে আজ অবধি তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারেননি। কারো এই তথ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলে গুগলে গিয়ে উইকিলিকসেও ওয়েবসাইটে গিয়ে যাচাই করে নিতে পারেন।

আমার পাঁচ দশকের যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, একটি দেশ কাকে ভিসা দেবে বা দেবে না—এটি তাদের এখতিয়ারে। আর ভিসা পেলেই যে একজন সে দেশে প্রবেশ করতে পারবে তা-ও নয়। ভিসা একজন ভিনদেশি মানুষকে অন্য দেশের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত নিয়ে যেতে অনুমতি দেয়। প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার মালিক ইমিগ্রেশন অফিসারের। তিনি কোনো কারণ ছাড়াই যে কাউকে ফিরতি প্লেনে তুলে দিতে পারেন। এই গত মাসে আমি নিউ ইয়র্ক জেএফকে বিমানবন্দরে একজন ভারতীয়র সঙ্গে তেমনটা হতে দেখেছি। ইসমাইল আজাউই একজন ১৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি তরুণ। থাকেন লেবাননে। বৃত্তি পেয়েছিলেন বিশ্বসেরা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিমানবন্দরে নামলেন ইসমাইল। চোখে অনেক স্বপ্ন। ইমিগ্রেশন অফিসার তাঁকে নিয়ে এক নির্জন কক্ষে ঢুকলেন। আট ঘণ্টার জেরা। বেচারা ইসমাইলের অপরাধ তাঁর কোনো এক বন্ধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কিছু শেয়ার করেন, যা ওই অফিসারের পছন্দ নয়। ফলাফল ইসমাইলের ফিরতি বিমানে লেবানন যাত্রা।

যে ভিসানীতি নিয়ে এত হৈচৈ তা প্রকাশ করারও কোনো প্রয়োজন ছিল না। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন সাহেব এটি করেছেন সম্ভবত বিষয়টি সবার নজরে আনতে। এতে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের জনবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করার আগে দুবার চিন্তা করতে হবে আর সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে তাদের আগামী নির্বাচনকে ঘিরে কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সদ্যঃসমাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রমাণ করেছে সাংবিধানিক উপায়ে যেকোনো নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব, যদি সবার সদিচ্ছা থাকে। মনে রাখতে হবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁর ওপর দেশের ও দেশের বাইরের মানুষের আস্থা আছে।

লেখক: আবদুল মান্নান – বিশ্লেষক ও গবেষক।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ