1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হলি আর্টিজান: আসামি দুর্ধর্ষ আট জঙ্গি হাসনাত সন্দেহমুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮

সাহাদাত হোসেন পরশ
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদের ভয়াবহ রূপ উন্মোচিত হয়। নব্য জেএমবি নামে একটি জঙ্গি সংগঠন ভেতরে ভেতরে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল, তা তখনও ছিল অনেকের কল্পনার বাইরে। কূটনৈতিক এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে। আর বিশ্বের অন্য উগ্রপন্থিদের এমন বার্তা দিতে চেয়েছিল যে, বাংলাদেশে তারা সক্রিয় রয়েছে। তবে গুলশান হামলার অল্প দিনের মধ্যে দেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় কঠোর অভিযান। জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত হন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে এ দেশে অন্তত জঙ্গিবাদের চর্চা দীর্ঘমেয়াদে করা সম্ভব নয়- তা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি উগ্রপন্থিদের। তাদের শেকড়ের মূলোৎপাটনে কাজ করতে থাকে একাধিক সংস্থা। অল্প সময়ের মধ্যে গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত প্রায় সবাইকে শনাক্ত করা হয়। একের পর এক অভিযানে নিহত হয় গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীসহ ৭০ জন। দুই বছর পর দেশের ইতিহাসে অন্যতম ন্যক্কারজনক ঘটনা হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার মামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এ মামলার চার্জশিট দিতে শেষ মুহূর্তের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করছে মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা মামলা হওয়ায় চার্জশিট দাখিলের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে- হলি আর্টিসান হামলা ও পরিকল্পনায় অংশ নেওয়া নব্য জেএমবির মোট ২১ জঙ্গির নাম। তাদের ১৩ জন বিভিন্ন সময় পুলিশ-র‌্যাবের অভিযানে নিহত হয়। তাই তারা চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না। এ মামলায় বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে সাতজন। দুই জঙ্গি পলাতক আছে। গ্রেফতার সাতজনের মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম অভিযোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন। হলি আর্টিসান হামলায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তাই হলি আর্টিসান মামলায় নব্য জেএমবির দুর্ধর্ষ আট জঙ্গিকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করছে সিটিটিসি। তদন্ত সংশ্নিষ্ট একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
যারা আসামি হচ্ছে :হলি আর্টিসান হামলায় চার্জশিটে আসামি হচ্ছে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ, মামুনুর রশিদ রিপন ও আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা সোহেল। তাদের মধ্যে খালেদ ও রিপন এখনও পলাতক। ধারণা করা হচ্ছে তারা ভারতে পালিয়ে আছে। অন্যরা বর্তমানে কারাবন্দি। পলাতক দু’জন ছাড়া গ্রেফতার অন্যরা গুলশান হামলা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
নেপথ্যে তামিম চৌধুরী :মামলার তদন্তে উঠে এসেছে- জঙ্গিবাদকে চাঙ্গা করতেই ২০১৩ সালে কানাডা থেকে দেশে ফিরে আসে সিলেটের বাসিন্দা তামিম চৌধুরী। এরপর সে পুরনো জেএমবির অনেক সদস্যকে দলভুক্ত করে। উচ্চ শিক্ষিত, বিদেশে পড়াশোনা করা তরুণ ও মাদ্রাসা ছাত্রকে একত্রিত করে গোপন প্রশিক্ষণ দিয়ে হামলার জন্য প্রস্তুত করে তোলা হয়। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে পথভ্রষ্ট এসব তরুণের মধ্যে জঙ্গিবাদের ভয়ঙ্কর বীজ বপন করে তামিম। ছোট ছোট সেলে ভাগ করে তাদের সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়। শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তামিমের এ কৌশলে পা দেয়। এতে তাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে সরোয়ার জাহান। তামিম দেশে ফেরার পর তার সঙ্গে পরিচয় হয় রাজীব গান্ধীর। এরপর নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের অন্যতম সামরিক কমান্ডার হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সেলে ১০-১২ জন প্রশিক্ষিত জেএমবি সদস্যকে দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল বাইক হাসান, রাহুল, ডন, ফারদিন, বাঁধন ও রিপন। টার্গেট করা যে কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারদর্শী হওয়ায় রাজীব হয়ে ওঠে তামিম চৌধুরীর প্রিয়পাত্র। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মে পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে একের পর এক টার্গেট কিলিংয়ের পর হলি আর্টিসানে হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনার জন্য তামিম চৌধুরীর নির্দেশে ঢাকায় আসে রাজীব। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জঙ্গিদের একটি আস্তানায় স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ওঠে রাজীব গান্ধী। হলি আর্টিসানে হামলার দিন বসুন্ধরার বাসায় ছিল সে। হামলা শেষ হওয়ার পরপরই বাসা ছাড়ে তারা।
হামলা ও পরিকল্পনায় ২১ জন :হলি আর্টিসানে হামলার পরিকল্পনা, বোমা তৈরি, সরাসরি অংশগ্রহণ, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত ছিল ২১ জন। তাদের মধ্যে মূল পাঁচজনকে আলাদা করে একটি বিশেষ সেলে ভাগ করে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারা হলো হলি আর্টিসানে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাস্টিকার ছাত্র মীর সামিহ মুবাশীর, মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনার পর দেশে ফেরত আসা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিবরাস ইসলাম, বগুড়ার শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। তাদের প্রথমে গাইবান্ধার বোনারপাড়ার একটি চরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও শারীরিক কসরত শেখানো হয়েছিল। প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে ঢাকা থেকে ওই চরে গিয়েছিল নব্য জেএমবির সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম মারজান। সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে জঙ্গিদের ঢাকায় আনা হয়। একপর্যায়ে নব্য জেএমবির প্রশিক্ষিত এসব সদস্যকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় তোলা হয়। ওই বাসা থেকে রোহান ও নিবরাসকে বুড়িগঙ্গায় নিয়ে যায় রাশেদ। ওই সময় রোহানের সাংগঠনিক নাম ছিল ‘ইলবাবা’। নৌকার মাঝিসহ বুড়িগঙ্গার মাঝ বরাবর গিয়ে প্রথমে একটি গ্রেনেড ছোড়ে রাশেদ। এরপর একই কৌশলে রোহানকে দ্বিতীয় গ্রেনেড ছোড়ার নির্দেশ দেয় রাশেদ। এর পর তৃতীয় গ্রেনেডটি ছোড়ে নিবরাস। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিসানে হামলার পর সেনা কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। পরে পুলিশের বিভিন্ন অভিযান ও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় হলি আর্টিসান হামলা পরিকল্পনায় যুক্ত আরও আটজন। তারা হলো তামিম চৌধুরী, সারোয়ার জাহান ওরফে আবদুর রহমান, নুরুল ইসলাম মারজান, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম, তানভীর কাদেরী, আবু রায়হান তারেক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান। গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী এবং সমন্বয়কারী তামিম চৌধুরী ঘটনার দুই মাস পর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের অভিযানে নিহত হয়। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় তামিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড নুরুল ইসলাম মারজান। গুলশানে হামলাকারীদের অন্যতম প্রশিক্ষণদাতা মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রূপনগরে নিহত হয়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিসানে হামলার পরদিন ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও ব্যবসায়ীপুত্র তাহমিদ হাসিব খানকে। তদন্তে তাহমিদ ও হাসনাতের জড়িত থাকার মতো কোনো তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাহমিদ এরই মধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়েছে।
তদন্ত সংশ্নিষ্ট সূত্র বলছে, নব্য জেএমবি গুলশানে হামলার আগেও অন্য একাধিক স্পট রেকি করে। তার মধ্যে ছিল বনানী কফি শপ, বারিধারা পার্ক, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান ক্লাব ও লেডিস ক্লাব। তবে শেষ পর্যন্ত তামিমের একক সিদ্ধান্তে হলি আর্টিসানকে বেছে নেওয়া হয়। ঘটনার রাতে নিবরাসসহ পাঁচ জঙ্গি হলি আর্টিসানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। ভয় ও আতঙ্কে অনেকে টেবিলের নিচে আশ্রয় নেন। রেস্টুরেন্টের ওয়েটাররা বাথরুমে ঢুকে পড়েন। এরপর অস্ত্রধারীরা বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা তালাবদ্ধ করে রাখে। শুক্রবার রাত থেকেই রেস্টুরেন্টে আটকাপড়া অনেকে স্বজনের মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করেন। তারা প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। স্বজনের কান্না আর শোকে ওই রাতে গুলশানের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছিল। ১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে ১৭ বিদেশি ও তিন বাংলাদেশি নাগরিককে ঠা া মাথায় গুলি, গলা কেটে ও ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে জঙ্গিরা। নৃশংস ছবিগুলো প্রথমে মারজান ও তামিমের কাছে পাঠায় তারা। হলি আর্টিসানে জিম্মিদের মোবাইল ব্যবহার করে এসব ছবি বাইরে পাঠানো হয়েছিল। জঙ্গি হামলায় নিহতের মধ্যে তিন বাংলাদেশি হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন, একটি আর্ট গ্যালারির সাবেক প্রধান ইশরাত আখন্দ ও জন ল্যাভেন্ডারের মালিকের নাতনি অবিন্তা কবীর। দেশের ইতিহাসে বর্বর এ হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের এএসপি রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহম্মেদ নিহত হন। আহত হন পুলিশের অর্ধশত সদস্য।
হলি আর্টিসানে হামলার পর দীর্ঘ তদন্তে পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও বিস্ম্ফোরকের সরবরাহ ও অর্থ জোগানদাতাদের তথ্য উঠে এসেছে। এ মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা শতাধিক। হলি আর্টিসানে হামলা চালাতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে অস্ত্র ও বিস্ম্ফোরক সংগ্রহ করে হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর, সোহেল মাহফুজ, রাশেদ, বড় মিজান ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান। হামলাকারীদের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষক ছিল মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম, রিগ্যান, রাশেদ ও আবু রায়হান ওরফে তারেক। সফটওয়ার প্রকৌশলী বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট জঙ্গিদের আনুষঙ্গিক সহায়তার কাজ করেছে। সে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে আসা ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেছিল। হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গিসহ তাদের বাসা ভাড়া করে ব্যাংক কর্মকর্তা তানভীর কাদেরী। হামলায় ৮-৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, বড় ধরনের হামলা করার মতো সক্ষমতা এখন জঙ্গিদের নেই। হলি আর্টিসানে হামলার পর জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বিশ্বে রোল মডেল। তবে এর পরও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের শক্তির একটি অংশ জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সর্বদা প্রয়োগ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই হলি আটির্সানে হামলা ঘটেনি; এটি ছিল পরিকল্পিত। সেই পরিকল্পনাকারী কারা, অস্ত্রদাতা কারা, অস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল, কোথায় রাখা হয়েছিল ও অর্থদাতাসহ হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা, বিদেশিদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা, চলমান উন্নতি ব্যাহত করা এবং সরকারের পতন ঘটাতে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানান আছাদুজ্জামান মিয়া।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ