ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে জমে উঠেছে দেশের বৃহত্তম আমের হাট রাজশাহীর বানেশ্বর। গত দুই বছরের তুলনায় এবার আমের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি বাগান মালিক ও আড়তদাররা। তবে ব্যাপারী ও পাইকাররা বলছেন, দাম চড়া হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভের দেখা পাচ্ছেন না তারা।
আমের ভরা মৌসুম। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গোপালভোগ, হিমসাগর, লক্ষণভোগ, ল্যাংড়াসহ বেশ কয়েক জাতের আম।
রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার বাগান থেকে আম নামানোর পর বিক্রির জন্য আনা হয় বানেশ্বর কলেজ মাঠে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমের পসরা সাজিয়ে বসেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। গত দু’বছরের তুলনায় এবার আমের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি বাগান মালিক ও আড়তদাররা।
বাগান মালিক ও আড়তদারড়া বলেন, এবার আমের ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আম হয়েছে দারুণ। দামের দিক থেকেও সন্তুষ্ট তারা।
এদিকে কিছুটা চড়া দামে আম কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় নেয়ার পর কাঙ্ক্ষিত লাভের দেখা পাচ্ছেন না বলে জানান ব্যাপারী ও পাইকার ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, পরিবহন খরচ থেকে অন্যান্য খরচ দিয়ে আম বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে না। হিমসাগর আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা মণপ্রতি। কিন্তু ঢাকার বাজারে হিমসাগর কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খিরসাপাত আম প্রতি মণ ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, লক্ষণভোগ প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ল্যাংড়া প্রতি মণ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হাট ইজারাদার জানান, প্রতিদিন এখানে গড়ে ১ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হচ্ছে।
এবার জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমির বাগানে ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।