1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

হাতিরঝিলে অত্যাধুনিক ক্যাবল কার

নিজেস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২

রাজধানীর হাতিরঝিলে এবার বসছে ক্যাবল কার। নগর পরিবহন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতিরঝিলকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার দুটি কোম্পানি বাংলাদেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এ কাজ শুরু করেছে। প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০টি ক্যাবল কোচ স্থাপনের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছে এ কনসোর্টিয়াম। তাদের নিজস্ব অর্থায়নেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

উদ্যোক্তারা জানান, রামপুরা হয়ে হাতিরঝিলের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লক্ষাধিক লোক আসা-যাওয়া করে। অফিসগামী লোকের চাপে এ এলাকায় সবসময় যানজট লেগেই থাকে। কিন্তু ক্যাবল কারে যাত্রার মাধ্যমে এ যানজট কিছুটা নিরসন করা যায় বলে তাদের মতো। এছাড়া এই ক্যাবল কার হাতিরঝিলে পর্যটন সুবিধা আনবে বলে তারা মনে করেন। রাজধানীতে বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেকের চিত্তে প্রশান্তি নেই। কিন্তু হাতিরঝিলে ক্যাবল কার চালু হলে নাগরিকরা কিছুটা হলেও প্রশান্তি পাবেন বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। বর্তমানে প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

জানা যায়, যাওয়া-আসা মিলে এ ক্যাবল কার লাইনের প্রস্থ হবে ৮ কিলোমিটার। মোট ২০টি টাওয়ার স্থাপন করে ক্যাবল কারগুলো লাইনে তোলা হবে। যাত্রীদের জন্য মোট পাঁচটি ল্যান্ডিং স্টেশন থাকবে এ পরিকল্পনার মধ্যে। যাত্রীরা নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে যে কোনো স্টেশনে নামতে পারবেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ক্যাবল কারের যে ভাড়া বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় হাতিরঝিলে ভাড়া কম হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

ক্যাবল কারগুলো তৈরি করবে অস্ট্রিয়ান কোম্পানি ডব্লিউ মায়া। এটি অপারেশনের দায়িত্বে থাকবে সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি আউটডোর। এদের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে কাজ করবে বাংলাদেশের কোম্পানি টেলিটেল। টেলিটেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের নগর পরিবহন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে ক্যাবল কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিত্য যানজটের এই শহরে নাগরিকদের ভোগান্তি লাঘবে এটি কিছুটা হলেও কাজ করবে। তিনি বলেন, প্রকল্প থেকে যে অর্থ আসবে তার একটি অংশ হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ পাবে। তা দিয়ে এই লেকের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সহজ হবে। ক্যাবল কার হাতিরঝিলের পরিবেশ বিনষ্ট করবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ক্যাবল কারগুলো চলবে বৈদ্যুতিক লাইন দিয়ে। এখানে কোনো তেল পোড়ানো হবে না। এছাড়া ক্যাবল কারের জন্য যে টাওয়ারগুলো বসানো হবে সেগুলোর কোনোটাই হারিঝিলের পানির ওপর পড়বে না। সুতরাং এ নিয়ে পরিবেশ বিনষ্টের কোনো প্রশ্নই আসে না।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো যৌথভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের নীলগিরি এবং টেকনাফের নাফ নদীর ওপর ক্যাবল কার নির্মাণ করছে। নেপাল, থাইল্যান্ড, সিংগাপুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডব্লিউ মায়া এবং আউটডোর কোম্পানি ক্যাবল কার সংযোজন করেছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ