1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অস্ত্র আইনের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে গণবিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

চলতি মাসেই বড় বড় কয়েকটি বন্দুক হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে মার্কিনরা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনা-সমালোচনার পর শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভে নেমেছে গোটা দেশ।

ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, টেক্সাস, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়াসহ দেশটির ৪৫ রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি সমাবেশ হয়েছে। শনিবারের এ শত শত পদযাত্রার সবকটিতেই ‘গুলিবিদ্ধ হওয়া থেকে মুক্তি চাই’ স্লোগানসম্বলিত প্ল্যাকার্ড চোখে পড়ে।

শিক্ষার্থীদের সংগঠন মার্চ ফর আওয়ার লাইভস-এর (এমএফওএল) নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ র‌্যালিতে যোগ দেন লাখ লাখ মার্কিনি।

২০১৮ সালে পার্কল্যান্ড স্কুলে গুলির ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের নেতৃত্বে সৃষ্ট এমএফওএল গোষ্ঠীটি এদিন বলেছে, মানুষের মৃত্যু অব্যাহত থাকবে আর রাজনীতিকরা ‘বসে থাকবে’ তা হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী এ বিক্ষোভের সমর্থন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

তিনি কংগ্রেসের প্রতি ‘অস্ত্র নিরাপত্তায় কাণ্ডজ্ঞানমূলক আইন’ প্রণয়নেরও আহ্বান জানান। তবে এত কিছুর পরও রিপাবলিকানদের আপত্তি থাকায় দেশটিতে অস্ত্র আইন কঠোর হওয়ার সম্ভাবনা কম।

গত মাসে টেক্সাস ও নিউইয়র্কের বাফেলোতে দুটি ম্যাস শুটিংয়ের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন কঠোর করার আলোচনাকে ফের সামনে নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে গত কয়েক বছরে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সামান্য কিছ– ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা যে ম্যাস শুটিং বন্ধে কার্যকর নয়, মাস দুয়েকের মধ্যে একাধিক ম্যাস শুটিংয়ে কয়েক ডজন নিহতই তার প্রমাণ।

ওয়াশিংটন ডিসিতে এক বিক্ষোভে পার্কল্যান্ডে গুলির ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের অন্যতম ডেভিড হগ বলেন, ‘টেক্সাসের স্কুলে শিশুমৃত্যুতে আমাদের ক্রোধে অন্ধ হওয়া উচিত এবং পরিবর্তনের দাবি তোলা উচিত। অন্তহীন বিতর্ক নয়, পরিবর্তন দাবি তোলা উচিত, এখনই।’ বাফেলোতে হামলায় নিহত ৮৬ বছর বয়সি এক নারীর সন্তান গারনেল হুইটফিল্ড বলেন, ‘আমরা এখানে বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি।

আমরা এখানে তাদের সঙ্গে দাঁড়াতে এসেছি যারা যুক্তিসঙ্গত অস্ত্র আইনের দাবি তোলার মতো সাহসী।’ অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি এমএফওএলের দাবির মধ্যে রয়েছে, আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা, অস্ত্র কিনতে ইচ্ছুকদের সর্বজনীন ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ এবং একটি জাতীয় নিবন্ধন ব্যবস্থা, যেখানে অস্ত্রের মালিকদের তথ্য থাকবে।

২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে মার্জোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন নিহত হওয়ার কয়েক দিন পর এমএফওএলের প্রথম বিক্ষোভ হয়।

সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে বাইরে এসে অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে হওয়া কর্মসূচিগুলোতে অংশ নিয়েছিল; দেশটির ইতিহাসে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে এক দিনে এতজনকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আর কখনোই দেখা যায়নি বলে আয়োজকরা সেদিন দাবিও করেছিলেন।

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের’ আওতা বাড়ানো এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আরও নানা ব্যবস্থা কার্যকরের আহ্বান জানানো প্রেসিডেন্ট বাইডেন শনিবারের বিক্ষোভে সমর্থন দেন। ‘আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের প্রতি আমার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে চাই : কিছু করুন’, টুইটারে বলেছেন তিনি।

সম্প্রতি মার্কিন সিনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের যৌথ একটি গ্রুপ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থার বিষয়ে চুক্তির অঙ্গীকার করলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। গত কয়েক দিন ধরে অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণে একাধিক ব্যবস্থার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিুকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটে গৃহীতও হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ