1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু – বিকৃতি না চক্রান্ত? তাদের জন্য কি পুরস্কার?

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২

কে প্রথম পায়ে হেঁটে পদ্মা সেতু পার হলো, কে প্রথম দৌড়ে সেতু পার হলো, কে প্রথম বাইকে পার হলো, কে প্রথম বাসে পার হলো, কে প্রথম ট্রাকে পার হলো, কোন নারী প্রথম বাইকে পার হলো এরূপ নানা রকমের বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের সেতু পার হওয়া নিয়ে পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখাজোকার অন্ত নেই! ফলে সেতু পারাপারের এরূপ একের পর এক শিরোনাম হওয়ার প্রতিযোগিতাও মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল। যা শেষ পর্যন্ত অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে- কে প্রথম শতাধিক কিলোমিটার বেগে বাইক চালাতে পারে তার পরিণতি আমরা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনই দুই যুবকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেখেছি। কিন্তু নিয়ম মেনে সেতু পারাপারের কোনো শিরোনাম কোনো সংবাদ মাধ্যমে দেখার সৌভাগ্য আমাদের হয়নি!

সাধারণ মানুষকে দোষারূপ করার আগে তাই গণমাধ্যমকে একটু ভাবতে বলি এমন উস্কানিমূলক মনোভাব মানুষের মধ্যে জাগ্রত করার ফলাফল আসলে কী! এ ক্ষেত্রে মূলধারার গণমাধ্যমকেও সামাজিক গণমাধ্যমের দ্বারা প্রভাবিত হতে দেখেছি- লক্ষণ হিসেবে এটি কতটা ইতিবাচক তা জানি না। সব কিছুতে ‘প্রথম’ হওয়ার অসুস্থ তাগিদ তৈরি করে দেওয়াটাই উস্কানি! যিনি প্রথম পদ্মা সেতুর ওপর উঠেছেন কোন ইতিহাস গ্রন্থে তার নাম, পিতার নাম মাতার নাম এবং অতি অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর মুদ্রিত থাকবে তা আমরা জানি না। জানি না কোন ইতিহাস গ্রন্থে অনুরূপ তথ্যাদি পাওয়া যাবে যে, কে প্রথম পদ্মা সেতুর ওপর মটর সাইকেল চালিয়ে এপার থেকে ওপার গিয়েছেন কিংবা ওপার থেকে এপারে এসেছেন! আমরা জানি না ‘প্রথম’ নারী বাইকারের নামটিই বা কোন ইতিহাস গ্রন্থে স্থান পাবে! তবু এসব ‘প্রথম’ হওয়া এসব হওয়াদের গণমাধ্যমও অকারণ উচ্ছ্বাসে অভিভূত! কল্পনা করা যায় ‘প্রথম’ হওয়ার স্বীকৃতি পাওয়া এসব ব্যক্তিরা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মহামূল্যবান পুরস্কার ছিনিয়ে আনবেন! আর সেসব পুরস্কারে হতভাগ্য বাঙালি জাতির মুক্তি ঘটবে! শুধু কি তাই পদ্মা সেতুর ওপর যারা মূত্রত্যাগ করেও ‘প্রথম’ হয়েছেন তারাও আমাদেরকে কোনো না কোনোভাবে মুক্তির দিশা দিবেন! অহো!

পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে দুটি পক্ষ আছে। একটি সরকারি ঘরানার- এরা স্বপ্নের জগত থেকে পদ্মা সেতুকে বাস্তবে নামিয়ে আনার পক্ষে। আরেকটি বিএনপি ঘরানার- এরা সেতু সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণায় মানুষকে প্রভাবিত করার পক্ষে। ইতোমধ্যে নাট-বল্টু খুলে বেগম খালেদা জিয়া কথিত ‘জোড়াতালির পদ্মা সেতু’ প্রমাণে এদের অতি আগ্রহও প্রকাশ হয়ে পড়েছে! তবু রক্ষা যে, এরা অন্তত বেগম খালেদা জিয়ার কথা কিছুটা হলেও অমান্য করেছেন- তিনি বলেছিলেন ‘জোড়াতালির সেতুতে কেউ উঠতে যাবেন না- রিস্ক আছে।’ নাট-বল্টু খুলে জনগণকে যারা বুঝাতে চেয়েছেন এই সেতু ‘জোড়াতালিরই’ তারা শেষ পর্যন্ত তাদের দেশনেত্রীর নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও সেতুতে উঠেছেন! পদ্মা সেতু বিষয়ক এরূপ দুটি মেরুকরণ প্রকল্প গ্রহণের শুরু থেকেই আমরা দেখেছি- সে খেলা (!) এখনো শেষ হয়নি! একদিকে দীর্ঘদিনের ‘স্বপ্নের সেতু’ বলে সমীহ আর অন্যদিকে ‘জোড়াতালির সেতু’ বলে উপেক্ষা! এই বিারোধ চিরকালীন!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘শিক্ষার হেরফের’ নামের প্রবন্ধে এমন একটি গল্প বলেছিলেন : ‘একজন দরিদ্র সমস্ত শীতকালে অল্প অল্প ভিক্ষা সঞ্চয় করিয়া যখন শীতবস্ত্র কিনিতে সক্ষম হইত তখন গ্রীষ্ম আসিয়া পড়িত, আবার সমস্ত গ্রীষ্মকাল চেষ্টা করিয়া যখন লঘু বস্ত্র লাভ করিত তখন অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি; দেবতা যখন তাহার দৈন্য দেখিয়া দয়ার্দ্র হইয়া বর দিতে চাহিলেন তখন সে কহিল : আমি আর কিছু চাহি না, আমার এই হেরফের ঘুচাইয়া দাও। আমি যে সমস্ত জীবন ধরিয়া গ্রীষ্মের সময় শীতের বস্ত্র এবং শীতের সময় গ্রীষ্মবস্ত্র লাভ করি এইটে যদি একটু সংশোধন করিয়া দাও তাহা হইলেই আমার জীবন সার্থক হয়।’ আমাদের সামগ্রিক ভাবনার জগতে সর্বত্রই নানা রকমের হেরফের- এই হেরফের কে ঘুচিয়ে দেবে জানি না। তাদেরকে মনে রাখতে হবে- নাট-বল্টু খুলে পদ্মা সেতুর সাফল্য ম্লানের চেষ্টা নিরর্থক।

সাধারণের মতো আমিও মনে করি, মেনে নিই এবং স্বীকার করি যে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আমারও অহঙ্কার, আমারও গর্বের। অনেকের মতো আমিও মনে করি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে বিশ্বে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। এই সক্ষমতার বৈশ্বিক স্বীকৃতিও আমাকে গর্বিত করে। কারিগরি প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের ইতিহাসে পদ্মা সেতু একটি ‘মিথ’। পদ্মা সেতু নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে, আলোচনা-সমালোচনা, ষড়যন্ত্রের কূটচাল ও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তিলাভের উপায় প্রভৃতি বিষয়ে যত লেখালেখি হয়েছে বিশ্বের আর কোনো স্থাপনা নিয়ে এত লেখালেখি হয়নি। নিকট ভবিষ্যতেও পদ্মা সেতুর নানা দিক ও বিষয় নিয়ে নানা রকমের লেখালেখি অব্যাহত থাকবে। প্রমত্তা পদ্মার ওপর বহুমুখী এই সেতু নামেই কেবল বহুমুখী নয়- প্রয়োজনীয়তার বিচারেও বহুমুখী। তাই জাতীয় জীবনে এর অবদান এবং প্রভাবও বহুমুখী। সড়ক ও রেলপথ একইসঙ্গে থাকায় বহু ধরনের যানবাহ চলতে পারছে বলে যেমন এটি বহুমুখী সেতু তেমনি এর কল্যাণে দেশের বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনও বহুমুখী প্রভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্যেও বহুমুখী ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতু প্রকল্প গ্রহণ করা হলে যেসব বাঘা বাঘা অর্তনীতিবিদগণ এর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, বাংলাদেশের অক্ষমতার বিষয়টি নানাভাবে প্রকাশ করে সরকারকে এত বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা পরিত্যাগের জন্য শত শত যুক্তি দেখিয়েছিলেন তারা আজ ইতিবাচক অবস্থানে এসেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যাতে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন না ঘটে সেজন্য ষড়যন্ত্রও ছিল বহুমুখী! নানা রকমের উদ্ভট ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তারা দেশবাসীর মনে জননেত্রীকে হেয় প্রতিপন্নের হেন অপচেষ্টা নাই যা করেননি। তাদের সেই অপপ্রয়াস কেবল দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না- বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত ছিল।

তাদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রয়াসের কারণেই বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থা ঋণচুক্তি বাতিল করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আদালতেই প্রমাণিত হয়েছিল পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ তা ছিল কল্পিত ও বানোয়াট গালগল্প! অথচ এর মধ্য দিয়ে দেশের মানসম্মান বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মানসম্মান বিশ্বব্যাপী প্রশ্নবিদ্ধ হয়। সেসব এখন অতীত, সেসব এখন মিথ্যা ও কলংকিত ইতিহাস মাত্র। জননেত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সক্ষমতায় বিশ্ববাসী পদ্মা সেতুর সাফল্য দেখেছে। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের পর এখন সেই সব বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদেরা সুর পাল্টেছেন। এখন তারা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য নিয়ে সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সব মহলের সুপরামর্শ সরকার অবশ্যই বিবেচনায় নিবে। কারণ সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের অঙ্গীকারেই জননত্রেী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমরা যদি আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই তবে আমাদেরকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। কর্তব্যবোধকে আরো প্রখর ও প্রবলভাবে জাগ্রত রাখতে হবে। যে কোনো অর্জন সম্পর্কেই এই কথাটি খাটে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন আমরা দেখি তা তখনই সম্ভব যখন দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সম্পর্কে নিজেরা নিষ্ঠাবান হবো। আমাদের নিষ্ঠার অভাব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন : ‘সমাজ যতই উন্নতি লাভ করে ততই তার দায়িত্ব এবং কর্তব্যের জটিলতা স্বভাবতই বেড়ে উঠতে থাকে। যদি আমরা বলি, আমরা এতটা পেরে উঠব না, আমাদের এত উদ্যম নেই, শক্তি নেই- যদি আমাদের পিতামাতারা বলে, পুত্রকন্যাদের উপযুক্ত বয়স পর্যন্ত মনুষ্যত্ব শিক্ষা দিতে আমরা অশক্ত, কিন্তু মানুষের পক্ষে যত সত্বর সম্ভব (এমন-কি, অসম্ভব বললেও হয়) আমরা পিতামাতা হতে প্রস্তুত আছি- যদি আমাদের ছাত্রবৃন্দ বলে, সংযম আমাদের পক্ষে অসাধ্য, শরীরের সম্পূর্ণতা-লাভের জন্য প্রতীক্ষা করতে আমরা নিতান্তই অসমর্থ, অকালে অপবিত্র দাম্পত্য আমাদের পক্ষে অত্যাবশ্যক এবং হিন্দুয়ানিরও সেই বিধান- আমরা চাই নে উন্নতি, চাই নে ঝঞ্ঝাট- আমাদের এই রকমভাবেই বেশ চলে যাবে- তবে নিরুত্তর থাকতে হয়। কিন্তু এই কথাটুকু বলতেই হয় যে, হীনতাকে হীনতা বলে অনুভব করাও ভালো, কিন্তু বুদ্ধি বলে নির্জীবতাকে সাধুতা এবং অক্ষমতাকে সর্বশ্রেষ্ঠতা বলে প্রতিপন্ন করলে সদগতির পথ একেবারে আটেঘাটে বন্ধ করা হয়।’ যারা উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই পদ্মা সেতু নিয়ে যাচ্ছেতাই কাণ্ড করলো তারা কি নিজেদের হীনতা সম্পর্কে তিলপরিমাণ সচেতন? নিজেদের নিষ্ঠা সম্পর্কেই বা কতটুকু?

পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় উন্নতির স্মারক। আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে যেতে সামগ্রিকভাবে উন্নত ও সমৃদ্ধ হতে চাই। কিন্তু আমরা যেভাবে হুজুগে চলি, আমরা যেভাবে উন্মাদনা প্রকাশ করি তা বড়ই কাণ্ডজ্ঞান ও দায়-দায়িত্বহীন। পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটি জাতীয় স্থাপনা নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ যেভাবে তাদের ভাবভঙ্গি প্রকাশ করছে তা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক, তা নিদারুন হতাশারও বটে। কেননা এর মধ্য দিয়েই আমরা যেন আমাদের ভেতরকার বিকৃতিকেও বাস্তবরূপেই দেখতে পেলাম!

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মানে সেখানে দেশের প্রত্যেক মানুষেরই মালিকানা স্বত্ব রয়েছে। যেহেতু প্রত্যেক নাগরিকের টাকায় তৈরি তাই সরকারকেই তার সুরক্ষায় দায়িত্ব নিতে হয়। গণমাধ্যমের কল্যাণে কোনো কোনো ব্যক্তিকে দেখলাম তারা কেবল নিয়মনীতি লঙ্ঘনই করেননি বরং আক্ষরিক অর্থেই পদ্মা সেতুতে তার টাকা রয়েছে বলে ‘অধিকারের’ প্রশ্ন তুলে নিয়ম লঙ্ঘনের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন! দেশের সব নাগরিক যদি ঐ ব্যক্তির মতোই অধিকার খাটাতে পদ্মা সেতুর ওপর ভিড় জমায়, মালিকানা দাবি করে তবে সেই সেতু আর পারাপারের জন্য কোনো কাজেই আসবে না। এ ধরনের বিকৃতিবোধ লালনকারী নাট-বল্টু খোলা কিংবা টোল প্লাজার বেরিয়ার ভেঙ্গে ফেলার কারিগর এবং নানা রকমের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় যারা ‘প্রথম’ হওয়ার জন্য মারিয়া তাদের জন্য কে, কী পুরস্কার নির্দিষ্ট রেখেছেন জানি না। তবে এরূপ আশংকায় শংকিত হওয়ার অবকাশ তো থেকেই যায় যে, এ কি শুধু বিকৃত উচ্ছ্বাস নাকি চক্রান্তেরও অংশ! নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই আমাদেরকে নিশ্চিত হতে হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – কলামিস্ট ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ