অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন মার্কিন ভিসা নীতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র খুশি হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। (সূত্র: ডেইলি স্টার; মে ২৬, ২০২৩)
কোন প্রতিক্রিয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তাও উল্লেখ করা প্রয়োজন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, ‘এ নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সাহায্য করবে, সহিংসতা কমাবে। যেসব দল সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তারা সতর্ক থাকবে।’
(সূত্র: ডেইলি স্টার; মে ২৬, ২০২৩)
ফলে আওয়ামী লীগকে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে না। সরকার যদি মার্কিন ভিসা নীতিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কাদের জন্য এটি নেতিবাচক হয়েছে?
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিএনপি জন্য এই ভিসা নীতিতে আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়গ্রহণকারীদের অধিকাংশ বিএনপি জামাতের নেতাকর্মী। তাদের অপপ্রচারের অন্যতম কেন্দ্রও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে।
নতুন ভিসা নীতি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি মনে করে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন, বাধাগ্রস্ত করেছেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে এবং তার পরিবারকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাবে।
আশা করা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কর্মকান্ডে কোন ধরনের সহিংসতা, গোলযোগ বা নাশকতামূলক কোন কর্মকান্ড করতে পারবে না।
কূটনীতিকদের মতে, বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনতে রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে এই নতুন ভিসানীতি করা হয়েছে। বিএনপি যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল, মার্কিন ভিসা নীতির ফলে সেই ঘোষণার লাগাম টেনে ধরা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের জয় এখন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেও বিএনপির অধিকাংশ নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করাই আওয়ামী লীগের জয়লাভের জন্য যথেষ্ট হবে।