1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পোশাকের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রফতানি খাত

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৫ জুন, ২০২৩

চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রফতানি আয়। মে মাসের প্রবৃদ্ধির এই ধারা বজায় থাকলে জুনের শেষে পণ্য রফতানি আয়ে রেকর্ড গড়তে পারে বাংলাদেশ।

মে মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৪৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে এনেছেন রফতানিকারকরা। এই অঙ্ক আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের মে মাসে রফতানি থেকে ৩৮৩ কোটি ডলার আয় হয়েছিল।

রবিবার (৪ জুন) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রফতানি আয়ের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

অবশ্য গত মার্চে রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, একইভাবে পরের মাস এপ্রিলে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয় ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।

ইপিবির রফতানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি করে ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার (৫০.৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন রফতানিকারকরা। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রফতানি হয়েছে ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ডলারের পণ্য। রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রফতানির ওপর ভর করেই এই প্রবৃদ্ধি পেলো বাংলাদেশ।

ইপিবির হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এ আয়  গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। এই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাই-মে সময়ে মোট রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। রফতানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। চামড়া রফতানি করে আয় হয়েছে ১১২ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৪২ শতাংশ। অপরদিকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০২ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি হয়েছে। এ খাতের রফতানি কমেছে ৩০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রফতানি আয় প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৩০৪ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু আয় হয় ৫ হাজার ২০৮ বিলিয়ন। সেই রেকর্ডে ভর করে চলতি অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী মে মাসে বড় প্রবৃদ্ধি হলেও মে মাসের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। এ মাসে ৫১২ কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার। পরিকল্পনার চেয়ে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ পিছিয়ে আছে আয়।

অবশ্য গত নভেম্বর থেকে টানা তিন মাস ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রফতানি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয়  হয় রফতানি থেকে, যা একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

জানুয়ারিতে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪৬৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়।

মে মাসে পোশাক রফতানি

ওভেন পোশাক ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩.১৫%। নিট পোশাক রফতানি হয়েছে ২.৩১ বিলিয়ন ডলার।  প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২.৫৩%। শুধু মে মাসে লক্ষ্যরমাত্রা ছিল ৪.১৩বিলিয়ন ডলার আর অর্জন হয়েছে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যনমাত্রার তুলনায় ১.৮৯% পিছিয়ে রয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) পোশাক রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬.৮০ বিলিয়ন ডলার বা ৯.৮৩%।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ