1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

যশোরে ‘শিমলা মরিচ’ চাষে বাম্পার ফলন

যশোর জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে শিমলা জাতের মরিচ চাষ করে সফলতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মানিক রাজা (২৪) নামের এক যুবক। করোনা মহামারীর মধ্যে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে শুরু করেন মরিচ চাষ। এভাবেই পেয়ে যান ভাগ্যবদলের চাবিকাঠি। মাত্র ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে দুই বিঘা জমিতে শিমলা মরিচের চাষ করে তিনি লাভ করেছেন প্রায় ১২ লাখ টাকা।

শিমলা মরিচ ক্যাপসিকামের একটি অন্যতম জাত। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয় এছাড়াও বিভিন্ন চাইনিজ খাবারে সালাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি দেখতে মরিচের আকৃতি। এই মরিচ লম্বায় সর্বোচ্চ ১০ ফুট হয়।

মানিক রাজা বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পাড়ি জমাই মালয়েশিয়ায়। করোনা মহামারীর সময় প্রবাস থেকে দেশে ফিরে নানা প্রতিকূলতার কারণে নিজ কর্মস্থলে আর ফিরতে পারিনি। এমন সময় ভারতের পুনে থেকে কিছু সংখ্যক শিমলা বীজ সংগ্রহ করে বাবার ১০ শতক পতিত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করি। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে বড় পরিসরে চাষের ঝুঁকি নেই। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পৈতৃক দেড় বিঘা জমিতে পুনরায় বাণিজ্যিকভাবে শিমলা মরিচের চাষ করি।

তিনি জানান, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মরিচ খেত থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মরিচ বিক্রয় করেছেন মানিক রাজা। শুধু তাই নয় বর্তমানে তার খেতে রয়েছে আরও ৮ লাখ টাকার মরিচ। তার এই মরিচ রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

মানিক রাজা বলেন, আমি আমার ভাগ্যের বদল ঘটিয়েছি। আমার ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমি দেশে ফেরার পর আর প্রবাসে যেতে পারছিলাম না। যেতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। এমন সময় আমি ভাবলাম নিজের জমিতে কিছু একটা চাষ করি। সেই চিন্তা ভাবনা থেকে নিজেদের জমিতে চার লাখ টাকা ব্যয়ে শিমলা মরিচের চাষ করি।

তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ শুরু থেকে আমাকে অনেক সহোযোগিতা করেছে, যার ফলে আজ আমি এ চাষে সফল হয়েছি। চার লাখ টাকা জমিতে ব্যয় করে আমি ৮ লাখ টাকা লাভ করেছি। আরও ৮ লাখ টাকার মরিচ আমার খেতে রয়েছে।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আবু তালহা বলেন, মানিক রাজার শিমলা মরিচ খেত আমরা পরিদর্শন করেছি। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ তাকে সহায়তা করেছে। তিনি এ চাষে আশার থেকেও অনেক বেশি সফল হয়েছেন। আমরা আশা করছি যশোরে এই শিমলা মরিচ চাষ আরও বৃদ্ধি করা যাবে। কৃষি বিভাগ কৃষিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করে চলছে।

শিমলা মরিচ চাষে আগ্রহী চাষিরা মানিক রাজার কাছ থেকে সব ধরনের সহোযোগিতা পাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা মানিক রাজা। তিনি এ চাষে আগ্রহী চাষীদের কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ