1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

করোনাকাল ও করোনা-উত্তর ভবিষ্যৎ – আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০

বাংলাদেশ কেন, পাকিস্তানেরও জন্মের আগে ইংরেজ আমলে বরিশাল শহরে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল ‘বরিশাল হিতৈষী’। পঞ্চাশ বছরেরও অধিককাল পত্রিকাটি চলেছে। ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। সম্পাদক দুর্গামোহন সেন ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা আন্দোলনে বহুবার জেল খেটেছেন। পাকিস্তান হওয়ার পর একবার বরিশালে প্রচণ্ড সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দিলে হিতৈষী বন্ধ করে দিয়ে তিনি কলকাতায় চলে যান।
আমার ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে কাগজটি নিয়মিত আসত। বাবা পড়তেন, আমিও নেড়েচেড়ে দেখতাম। কাগজটির প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠা ছিল বিজ্ঞাপনে ভর্তি। ভেতরে খবর। শেষের পাতায় খুব বড় একটা বিজ্ঞাপন ছিল। বিজ্ঞাপনটির মাথায় খুব বড় অক্ষরে লেখা ছিল- ‘মরা মানুষ বাঁচাইবার উপায়।’ মরা মানুষ যে বাঁচানো যায় না, সেই জ্ঞান সেই বালক বয়সেই আমার হয়েছিল। ফলে বিজ্ঞাপনটি ভালো করে পড়তে গিয়ে দেখি, ওই হেডিংয়ের নিচে খুব ছোট করে লেখা আছে ‘আবিস্কৃত হয় নাই সত্য। তবে আমাদের ইলেকট্রিক সলিউশন ব্যবহার করে রোগমুক্ত হউন। মৃতপ্রায় দেহে নতুন জীবন ফিরে পান।’ তারপর ইলেকট্রিক সলিউশনে কী কী রোগ ভালো হয় তার তালিকা।
এখন বুড়ো হয়েছি। মৃত মানুষকে যে আর ফিরিয়ে আনা যায় না, তা হাড়ে হাড়ে বুঝি। চুয়ান্ন বছর যে স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করেছি, তাকে একদিন চোখের জল ফেলে কবরে শুইয়ে দিয়ে এসেছি। তিনি আর ফিরে আসেননি। আর আসবেন না, এই সত্যটি মেনে নিয়েই জীবনের ভার বহন করে চলেছি, চলব যতদিন না আয়ু ফুরায়। এখন অবশ্য মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়েই দিন কাটাচ্ছি। করোনা বা কভিড-১৯-এর প্রথম ধাক্কাটা ব্রিটেনে বাস করে কাটিয়ে উঠেছি। দ্বিতীয় ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারব কিনা জানি না। মার্চ মাস থেকে আছি লকডাউনে। এখন লন্ডনে লকডাউন শিথিল হলেও আমার জন্য তা শিথিল হয়নি। আমার বয়স আশির ওপর। ডাক্তার বলেছেন, আমি হাইরিস্কের মানুষ। আমাকে সারাটা বছরই- অর্থাৎ পুরো ২০২০ সাল, চাই কি তার ওপরেও লকডাউনে থাকতে হবে।
এই শেষ ছ’মাস-ন’মাস লকডাউনে আপত্তি ছিল না। কিন্তু সমস্যা হয়েছে সোশ্যাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে। আগে আমার বাড়িতে নিয়মিত বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে উইকএন্ডে আড্ডা বসত। তা নেই। ছেলেমেয়েরা কাছে ঘেঁষে না। এমন যে আদরের নাতি, চারপাশে ঘুরঘুর করে, তাকে কাছে টেনে যে একটু আদর করব তার উপায় নেই। প্রেমিক-প্রেমিকাদের অবস্থা কী জানি না। আমার বাড়ির সামনে মস্ত বড় পার্ক। আগে সামার না আসতেই যুবা-যুবতীদের দ্বারা ভরে যেত। সূর্যস্নানের জন্য তাদের শরীর থাকত অর্ধ অনাবৃত। এখন প্রায় সারামাস ধরে সূর্যের সোনা রোদে লন্ডন উজ্জ্বল। কিন্তু আমাদের পার্কে কেন, কোনো পার্কেই ভিড় নেই। যুবা-যুবতীর কোনো দেখা নেই।
কিন্তু একটা বিস্ময়। আমার বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডের গার্ডেনে প্রত্যেকটি মরা গাছে আবার শীত শেষে জীবন ফিরে এসেছে। সবুজ পাতায় ভরে গেছে গাছগুলো। আবার বসন্তের পাখি দোয়েল-কোয়েল সকলেই ফিরে এসেছে। আমি ঘরে বসে দেখি ঘুঘু আর চড়ূইয়ের লড়াই। কাক আর কবুতরের ভিড়। তাদের কারও করোনা হয়নি। করোনা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। যত মাথাব্যথা মানুষের। করোনায় দল বেঁধে মানুষ মরছে। তাদের পারিবারিক-সামাজিক জীবনের নিয়ম-কানুন বদলে যাচ্ছে। কিন্তু পাখি ও পশুদের কিছু হচ্ছে না। এত বড় করোনা মহামারির সময় তারা আগের মতো আছে। লকডাউনে যায়নি। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা নেই তাদের মধ্যে। কাকেরা দল বেঁধে খাবার খুঁজছে। ঘুঘু, কবুতর, চড়ূই পাখিরাও তাই। পাশের দুই বাড়ির কুকুর-বেড়ালরাও গলায় কলারের বন্ধনসহ গার্ডেনে এসে লাফালাফি করছে। কিন্তু মানুষের সমস্যার অন্ত নেই।
ঢাকার দৈনিকগুলোর জন্য রোজ কলাম লেখা ছাড়া আমার হাতে কোনো কাজ নেই। প্রতি সপ্তাহে যে সভা-সমিতি-অনুষ্ঠান থাকত, তা আর নেই। তাই ছেলেমেয়ের পরামর্শে ল্যাপটপ নিয়ে ছবি দেখি। বাংলা ছবিও। আগে ঢাকার বাংলা ছবির কোনো নায়ক-নায়িকার নাম জানতাম না। চেহারা চিনতাম না। এখন চিনি। পূর্ণিমা, রিয়াজ, মৌসুমী, ফেরদৌস, তানজিন তিশা, অপূর্ব, আফরান নিশো, রোকেয়া প্রাচী, জয়া আহসান আরও কতো কে! মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলি, ‘এই দিন যাপনের গ্লানি, এই প্রাণ ধারণের গ্লানি সহে না সহে না আর।’
অনেক পাঁজিপুঁথি দেখেছি, নুহের মহাপ্লাবনে মানুষের সঙ্গে সবরকম পশুপাখি মারা গিয়েছিল। কিন্তু মহামারিতে মারা যায়নি। বঙ্গোপসাগরে ভয়ংকর জলোচ্ছ্বাস, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়াতে বনাঞ্চলে মাসের পর মাস যে অগ্নিঝড় চলে তাতে বহু পশুপাখি মারা যায়। কিন্তু প্লেগ, যক্ষ্ণা, ম্যালেরিয়া, কলেরা ইত্যাদির মহামারিতে পশুপাখি মারা যায়নি। মানুষ মারা গেছে এবং এখনও মারা যাচ্ছে।
ঢাকার একটি দৈনিকে কলামিস্ট অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারীর একটি লেখা বেরিয়েছে। তাতে তিনি দেখিয়েছেন, কয়েকশ’ বছর আগে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশে প্লেগের মহামারিতে প্রায় ২০ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৮-২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লুতে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। কিন্তু পশুপাখি মারা গেছে বলে জানা যায়নি। বাংলা ১৩৫০ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ ও মন্বন্তরে ৫০ লাখ নর-নারীর মৃত্যু হয়েছিল। পশুপাখি মারা যাওয়ার রেকর্ড নেই। গবাদি পশুর মধ্যে মাঝে মধ্যে যে মড়ক দেখা দেয় তার চরিত্র আলাদা।
এবার করোনা মহামারিতেও বনের পশুপাখিরা দিব্যি হেসেখেলে বেড়াচ্ছে। মরছে মানুষ। পশুপাখিদের মধ্যে রোগশোক নেই, তা নয়। সেজন্যে পশু হাসপাতাল আছে। মাঝে মাঝে আমার প্রতিবেশী পোষা বিড়াল নিয়ে যান পশুপাখির বিশেষ হাসপাতালে। এসব চিকিৎসালয়েও করোনা রোগী কোনো পশুপাখি চিকিৎসার জন্য গেছে বলে জানা যায়নি। তাহলে এই যে এত বড় করোনা মহামারি, যার প্রকোপ গত পাঁচ মাসে পৃথিবীতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও ঘটাবে বলে জানা যাচ্ছে, তার ক্রোধ কি কেবল মানুষের ওপর? এমন যে মহাশক্তিশালী দেশ আমেরিকা, যার প্রতাপে সারাবিশ্ব কাঁপে, সেই আমেরিকা এখন করোনার প্রতাপে সবচাইতে বেশি কাঁপছে। এককালের বিশ্ব-সাম্রাজ্যের অধীশ্বর ব্রিটেনের রানী এখন মাস্কে মুখ ঢেকে বাইরে বের হন। এরকম ‘মাইটি এপিডেমিকের’ আবির্ভাব বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। কেউ জানে না কখন এর প্রতিষেধক বের হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
এই চেষ্টা কতদিনে সফল হবে কেউ জানে না। যতদিন এই ভ্যাকসিন তৈরি এবং পরীক্ষিত হয়ে সফল বলে ঘোষিত না হয় ততদিন এই করোনা ও মৃত্যু নিয়ে বসবাস করতে হবে, এটা এখন সকল মহলে স্বীকৃত। এখন প্রশ্ন, করোনাকে নিয়ে এই বসবাস কতটা সহনীয় করে তোলা যাবে? এজন্য কিছু নীতি-নিয়ম প্রবর্তন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত হাত ধোয়া, মুখোশ দ্বারা মুখ ঢেকে রাখা, একে অন্যের কাছ থেকে দূরে থাকা, ঘরের বাইরে না গিয়ে অনলাইনে লেখাপড়া, কেনাবেচা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা ইত্যাদি এই নিয়মের মধ্যে পড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাস যখন একবার এসেছে, তখন আর যাবে না। তবে যক্ষ্ণা, কলেরার মতো মৌসুমে হঠাৎ একবার আসবে। তখন ভ্যাকসিন বা ইনজেকশন দিয়ে তাকে প্রতিরোধ করতে হবে। এটাই বর্তমান মানব সমাজের জন্য সবচাইতে বড় আশার কথা। মৃত্যু সকলের জন্যই অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু করোনাকে ঠেকাবার জন্য প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে। তা মানুষকে বাঁচাবে। মানবতা প্রকৃতির বিরুদ্ধে আবারও জিতবে এই আশা অবশ্যই পোষণ করা চলে। ‘আমি না বাঁচলে, তুমি বাঁচবে/তুমি না বাঁচলে মানুষ বাঁচবে/ মানবতা অমর অমিতায়ু’ ইংরেজ কবির এই কবিতার এই ক’টি লাইন সকলকে স্মরণে রাখার অনুরোধ জানাই।
কিছু সমাজবিজ্ঞানী বলছেন, করোনা মহামারির পর মানুষের সামাজিক চেহারা পাল্টে যাবে। বারবার হাত ধোয়া, একা থাকা, পরস্পরের কাছাকাছি না হওয়া, এমনকি প্রেমিক-প্রেমিকার চুমু খাওয়া, আলিঙ্গন ইত্যাদি বিলুপ্ত হয়ে মানুষ একা থাকা, দলবদ্ধ না হওয়া, প্রীতি সম্ভাষণ জানানোর বর্তমান রীতিগুলো বর্জন করে এক নতুন সামাজিক প্রথার দিকে যাবে। দলবদ্ধ হওয়ার বদলে মানুষ একা থাকতে ভালোবাসবে। একা একা থাকতে, একা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পছন্দ করবে।
আমি একজন নগণ্য মানুষ। পণ্ডিত ও গবেষক নই। কিন্তু আমার ধারণা, করোনা মানব সমাজে বহু পরিবর্তন আনবে। কিন্তু সামাজিক মৌলিক রীতিনীতি বদল তার মধ্যে থাকবে না। মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মেই সমাজবদ্ধ জীব। তার সমাজবদ্ধতার নিয়মকানুনগুলো খুব পাল্টাবে না। আমেরিকায় করোনার প্রচণ্ড প্রতাপের সময়েও দেখা গেছে, জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর শুধু আমেরিকার মানুষ নয়, সারাবিশ্বের মানুষ করোনা ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার পরোয়া না করে দলবদ্ধ হয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানোর জন্য রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতেও যে এটাই ঘটবে, তাতে সন্দেহ নেই। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘সুখীরা হাসিবে/দুখিরা কাঁদিবে/প্রেমিক যেজন/ভালো সে বাসিবে/আজি আমাদেরই মতো।’ কবি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
মনুষ্য সমাজ সৃষ্টি করেই তার মধ্যে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, হিংসা ও ক্রোধ প্রকাশ ও তা সংযত রাখার কিছু মৌলিক প্রকাশ বা প্রতিকৃতি পাথরে খোদাই করা লিপির মতো স্থায়ী হয়ে গেছে। তা বিলুপ্ত হওয়ার নয়। বিলুপ্ত হবে মানুষের ধার করা কিছু রীতিনীতি, অনুকরণ ও অনুসরণ। অনেকে মনে করেন, করোনা-উত্তর মানব সমাজে সমাজবদ্ধতা আরও বাড়বে। প্রেম, স্নেহ, ভালোবাসা প্রকাশের পথে এখনও যে ধর্মীয় ও সামাজিক বাধা আছে, সেগুলো লুপ্ত হবে। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, বর্ণবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিলুপ্তির পথে যাবে। তার প্রমাণ, করোনার মধ্যেই সারাবিশ্বে ফ্লয়েডের জন্য বিশ্ব মানবের দলবদ্ধ অভ্যুত্থান।
ইংরেজিতে বলা হয়েছে ‘ম্যান মে কাম অ্যান্ড ম্যান মে গো/বাট আই গো অন ফর এভার।’ ‘মানুষ আসবে, মানুষ যাবে/কিন্তু আমি যাব চিরদিনের জন্য।’ আমি হয়তো যাব, কিন্তু আমরা থাকব, এই সত্যটি মনে রাখলে বর্তমানের এই বিপদসমুদ্র পাড়ি দিতে আমাদের মনে সাহস ও বিশ্বাসের অভাব হবে না।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ

নির্বাচিত

যেভাবে জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোস্টগার্ডের নজরদারি বৃদ্ধি

বিবির বাজার স্থলবন্দর দিয়ে ২০৯ কোটি টাকার পণ্য রফতানি, যাত্রী পারাপারে রেকর্ড

বনানীতে শাখা ক্যাম্পাস খুলছে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়

হেফাজতের ক্ষমা প্রার্থনার প্রস্তাবে সরকারের ‘না’

অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল

‘জঙ্গি সম্পৃক্ততায়’ বাড়িছাড়া চারজনসহ গ্রেপ্তার সাত

ভুয়া বিতর্কিত পেজকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ বার্গম্যানের

ফেসবুক দূষিত মামুনুল সমর্থকদের গালাগালে, যুক্তিতে না পেরে বাড়িঘরেও হামলা করছে হেফাজত