1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সরকারি কাজে ই-নথি ব্যবহারে গতি এসেছে

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

সরকারি কাজে ই-নথি পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে জুনে ১৫টি মন্ত্রণালয় ই- নথি ব্যবহারে এগিয়ে রয়েছে। রোববার (১২ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক তথ্য বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম গত জুন পর্যন্ত সময়ে তথ্য পর্যালোচনা করে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ‘১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অবস্থান সবার উপরে। এই মন্ত্রণালয় ই-নথির মাধ্যমে ৫ হাজার ৩৭৯টি ডাক গ্রহণ করেছে এবং ৫ হাজার ২৯৮টি নিষ্পত্তি করেছে। আর পত্র জারি করেছে ৪৬৪টি। এছাড়াও ইমেল ও অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেট ব্যবহার করে জরুরি সেবা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ই-নথি ব্যবহারের দিক দিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই মন্ত্রণালয় জুন মাসে ডাক গ্রহণ করেছে ১ হাজার ৩৭০টি এবং নিষ্পত্তি করেছে ১ হাজার ১০৫টি। ২৩০টি পত্র জারি করেছে এই মন্ত্রণালয়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ই-নথি ব্যবহারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। চতুর্থ অবস্থানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। পঞ্চম অবস্থানে বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। ষষ্ঠ অবস্থানে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সপ্তম অবস্থানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুরক্ষা সেবা বিভাগ। অষ্টম অবস্থানে একই মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। নবম অবস্থানে পরিকল্পনা বিভাগ। দশ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এগারো নম্বরে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে লেজেসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। বারোতে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তেরোতম অবস্থানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। চৌদ্দ নম্বরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ই- নথি ব্যবহারে ১৫তম অবস্থানে রয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইন বিচার ও সংসদ বিভাগ।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যম ক্যাটাগরির ১৫টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় জুনে শিল্প মন্ত্রণালয় শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে পরপর ৪ (চার) বার এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫ বার ই-নথিতে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। পাশাপাশি ই-নথি ব্যবস্থাপনায় ছোট ক্যাটাগরির ১৮৫টি সরকারি দফতর বা সংস্থার মধ্যে জুনে মাসে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাদান প্রক্রিয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয় শুরু থেকে এগিয়ে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দফতর/সংস্থাগুলোতে ভার্চুয়াল কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ের মতো সকল কাজ চলেছে। রুটিন মাফিক সবধরনের পূর্ব নির্ধারিত সভা, মন্ত্রণালয় ও দফতর/সংস্থার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ), কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কর্মপরিকল্পনা (আইএপি) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর (এডিপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই- ফাইলিং এর মাধ্যমে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা দ্রুত সেবা পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের সকল কাজ সনাতন পদ্ধতি লাল ফিতায় বন্দি ফাইল থেকে বেরিয়ে এসে শতভাগ ই -নথি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে গেল জুনের শুরুতে মন্ত্রণালয়গুলোকে একটি চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশেষ নির্দেশনাযুক্ত ওই চিঠিতে বলা হয়েছিলো রূপকল্প টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় সরকারের সকল দফতরে ই-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ই- নথির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ই-নথি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। করোনা ভাইরাসের মতো যেকোনো পরিস্থিতিতে সরকারি কার্যক্রম চালু রাখার জন্য সকল দাফতরিক কাজ স্বাভাবিকভাবে শেষ করার জন্য ইলেক্ট্রনিক প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থাৎ ই- নথিতে কাগজের সংস্পর্শ না থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে ‘সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪’র নির্দেশনায় ই- নথি ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিতেও ই- নথির ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে কারণে সরকারের সব দফতরে এর ব্যবহার তরান্বিত করা আবশ্যিক। এ অবস্থায় সরকারের সকল পর্যায়ের কার্যালয়ের দাফতরিক কাজ ই-নথির ব্যবহারের মাধ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সরকারি কাজের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতি বন্ধে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে ই-নথির ব্যবহার শুরু করা হয়। কিন্তু গেলো কয়েক বছরে খুব বড় পরিসরে এর ব্যবহার বাড়ানো যায়নি। এবার করোনা পরিস্থিতিকে ওয়র্ক ফ্রম হোম এই সরকারি কাজে এই পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ই- নথি ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইসিটিবিষয়ক প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ধারাবাহিক মনিটরিংয়ের ফলে ই-নথি কার্যক্রম এবং ডিজিটাল সেবাদানে এ সাফল্য এসেছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ