ঈদুল আজহার ছুটিতে ভোলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব বয়সী লোকজন তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসছেন। ঈদ উপলক্ষে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে নতুন করে সাজসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে উদ্বোধন করা হয়েছে নতুন বিনোদনকেন্দ্রও। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলার ‘ইলিশ বাড়ি’ও রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি বাজারের পাশে মেঘনা নদীর কিনারায় গড়ে উঠেছে ‘ইলিশ বাড়ি বারবিকিউ অ্যান্ড পার্টি সেন্টার’। কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম চলে আসলেও ঈদুল আজহার প্রথমদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় এটি। প্রায় তিন একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এই বিনোদনকেন্দ্রটি। এখানে নারী-পুরুষদের ঘোরাঘুরির সুন্দর পরিবেশ, বসার স্থান, লাভ পয়েন্ট, সেলফি জোন ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড রয়েছে। এছাড়া মেঘনার তাজা ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
ঘুরতে আসা ইমা বেগম বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা কয়েকজন বান্ধবী ইলিশ বাড়িতে ঘুরতে এসেছি। এখানকার পরিবেশ অনেক সন্দর, ঘুরতে এসে অনেক মজা লেগেছে।
মো. ইমরুল কায়েস বলেন, দীর্ঘদিন পর ঈদের ছুটিতে দেশের বাড়ি ভোলা এসেছি। ঈদ উপলক্ষে আমি আমার স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলিশ বাড়ি ঘুরেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মল বাতাস আমাদের মুগ্ধ করেছে।
মো. কামরুল ইসলাম জানান, তিনি নতুন বিয়ে করেছেন। ঈদ উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে ইলিশ বাড়িতে ঘুরতে এসেছেন। ইলিশ বাড়ির বারবিকিউ অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে বসে অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে মেঘনার তাজা ইলিশ খেয়ে বেশ ভালো লেগেছে।
শিশু মাসুদা ও জান্নাত জানায়, তারা ঈদ উপলক্ষে বাবা-মায়ের সঙ্গে ইলিশ বাড়িতে ঘুরতে এসেছে। ইলিশ বাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরনের রাইডে খেলাধুলা করে তারা অনেক খুশি।
ইলিশ বাড়ির চেয়ারম্যান এম হেলাল উদ্দিন বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা ইলিশ বাড়ি বারবিকিউ অ্যান্ড পার্টি সেন্টার চালু করেছি। এখানে ঘুরতে আসা সবার জন্য বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা, শিশুদের জন্য রাইড ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছি। এছাড়া ঘুরতে আসা লোকজনের জন্য আমরা মেঘনা নদীর তাজা ইলিশ, দেশি মুরগির বারবিকিউসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরও বলেন, এখনো আমাদের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। ইলিশ বাড়ি ভোলার সবচেয়ে বড় বিনোদনকেন্দ্র হবে। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ইলিশ বাড়িসহ ভোলার সব বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র ঘুরতে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।