ইসলাম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। ইসলামের সব বিধিবিধান পবিত্র কুরআন ও হাদিসে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
পবিত্র কুরআন পৃথিবীতে একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেটি পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় থাকবে। আর কুরআনের হেফাজতের দায়িত্ব মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা নিজে নিয়েছেন।
এখন এই ধর্মকে অবমাননা পৃথিবীর মানুষ কীভাবে করতে পারে? এই ধর্মকে ছোট করার যোগ্যতা কি সমগ্র পৃথিবীর আছে?
যে কুরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজে নিয়েছেন সেই কুরআন অবমাননার কথা বলে যারা বিধর্মীদের ঘর-বাড়ি লুণ্ঠন করে, নারী-শিশুদের নির্যাতন করে; ওরা কারা? ওদের পরিচয় কী? এটিকি পরোক্ষভাবে সৃষ্টিকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করা নয়? যা শিরক (আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। এটি মোটামুটি সব ধর্মের অধিকাংশ মানুষই স্বীকার করে। যাকে সৃষ্টি না করলে সমগ্র সৃষ্টির কিছুই আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করতেন না।
এখন প্রশ্ন- এমন একজন মহামানবকে অবমাননা করার সামর্থ গোটা পৃথিবীর আছে? এই মহাবিশ্বের আনুমানিক ২ ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সির ১ টি গ্যালাক্সির ১ টি গ্রহের ৮০০ কোটি মানুষের ১ জন মানুষের পক্ষে কি এমন একজন মহামানবকে অসম্মান করা সম্ভব, যাকে সৃষ্টি না করলে এর কিছুই সৃষ্টি হতো না?
ভাবুন, ভাবতে না পারলে ভাবার ট্রাই করুন।
ওরা যারা রাসুল(সাঃ) এর অবমাননার নামে বিধর্মীদের বাড়িতে লুটপাট করে ওরা কি ভুলে গেছে , কাফেরদের পাথরের আঘাতে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর পা ফেটে রক্তে জুতা ভরে যাওয়ার পরেও তিনি কাউকে অভিশাপ পর্যন্ত দেননি।
যেখানে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন সেখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার ওইসব পেতি হুজুরদের পরিচয় কী?
প্রতিবেশী বিধর্মী হলেও তাকে অভুক্ত রেখে যেখানে কোন মুসলিমকে পেট ভরে খেতে নিষেধ করেছে ইসলাম সেখানে প্রতিবেশীর বাড়ি-ঘর লুটপাটের অনুমতি ওদের কে দিলো? ওরা আসলে কারা?
উত্তর হলো, ওরা ধর্ম, রাষ্ট্র ও মানবতার শত্রু। ওরা ধর্ম পূজারী নয় ওরা ধর্ম ব্যবসায়ী। ‘ধর্ম অবমাননা’ শব্দটি ওদের ধর্ম ব্যবসার পুঁজি।
নরাইল কাঁদছে, আমার বাংলাদেশ ভালো নেই।
লেখক : জাফর ইকবাল – গণমাধ্যমকর্মী ও বিতার্কিক।