1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও আরও সুদৃঢ় হতে পারে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী 

অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত ১৫ জুলাই একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কলকাতা সফর করেন। হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রমতে, তিনি এ সময় পি-১৭ আলফা গোত্রের যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সাগর’ নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ফ্রিগেটগুলোকে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের পরিবর্তিত পটভূমির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ভারত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুসম্পর্কের পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং তার বক্তব্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দিল্লির সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেন।

রণতরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের চেতনা ও আদর্শিক অবস্থানের প্রশংসা করেন। যেভাবে বাংলাদেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তাতে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারত উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় হিংসার উন্মাদনা ও কট্টরপন্থিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

এর পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা, আধুনিকীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক উন্নয়ন-এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর থেকে অনেক এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ যেভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতিধারাকে এগিয়ে নিচ্ছে, তা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

বৈশ্বিক সংকটময় রাজনীতির নতুন সমীকরণে বাংলাদেশ ও ভারত শুধু ভৌগোলিক সীমান্ত সম্পর্কেই আবদ্ধ নয়, বরং পঞ্চাশ বছর ধরে দুই দেশ অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য, যোগাযোগব্যবস্থাসহ নানা ক্ষেত্রে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে যারা বিগত কয়েক দশকের মাপকাঠিতে বিবেচনা করছেন, তাদের কাছে নিশ্চিতভাবেই এটি সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্কের একটি উদাহরণ। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সহযোগিতার দিকগুলো তাদের পারস্পরিক প্রশংসাসূচক বক্তব্যের মধ্যে প্রকাশ পায়।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে বাংলাদেশকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয় ভারত। নিরীহ বাঙালির ওপর পাকিস্তানের বর্বর ও নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল ভারত। ভারতীয় কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ও সুশীলসমাজ গণহত্যার খবর সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ উন্মোচন করেন। ভারতের তৎকালীন সরকারপ্রধান শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, মানবিক ও সামরিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সূচনা হয় ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের মধ্য দিয়ে। এরপর সেই সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শিক নেতৃত্বের মাধ্যমে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বাধীন বাংলাদেশে ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু ভারতে যাত্রাবিরতি করেন এবং ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটে ইতিহাসের কলঙ্কিত ও জঘন্যতম ঘটনা। সেদিন ভোরে ঘাতকের নিষ্ঠুরতম আক্রমণে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর দুই দেশের সম্পর্কে ছেদ পড়লেও ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের বহুমাত্রিক ও বহুমুখী সহযোগিতার জন্য এ সম্পর্ককে বিশ্বের রোল মডেল বলে আখ্যায়িত করেন। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর দুই দেশের আস্থার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে।

বাংলাদেশ-ভারতের পঞ্চাশ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো থাকলেও দুই দেশ তাদের অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে উপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম সীমান্ত, যা নিয়ে দুই দেশের অস্বস্তি থাকলেও তা লাঘবের প্রচেষ্টা উভয় দেশেই দৃশ্যমান।

১৭ থেকে ২১ জুলাই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী সংস্থার মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫২তম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়-যেখানে সীমান্ত হত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ ছাড়াও মাদক, চোরাচালান, নারী, শিশু পাচারসহ বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ রোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

২০১০ সালে দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হয় এবং ২০১৫ সালের জুনে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময় হয়। এতে নাগরিকত্বহীন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নাগরিকত্ব লাভ করে। দুই দেশ তাদের সীমান্তবর্তী চোরাচালান সমস্যার সমাধানে এবং সৌহার্দ বৃদ্ধির জন্য সীমান্ত হাটের ব্যবস্থা করে। ২০২২ সালের এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, সাতটি সীমান্ত হাট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আরও নয়টি রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

বিশ্বায়নের যুগে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরিতে যোগাযোগব্যবস্থার অগ্রগতির তুলনা নেই। ভারত সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে অতীতে বিদ্যমান সব স্থল ও নৌ সংযোগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সুদৃঢ় করেছে। ভারতের দেওয়া Line of Credit-এর বেশির ভাগ অংশই পারস্পরিক যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত; যার মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ ও ভারত নয়, নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও জনসংযোগ স্থাপিত হবে।

এ যোগাযোগব্যবস্থা বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের সঙ্গে শক্তিশালী সংযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করছে। ১৬ জুলাই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শাস্ত্রী ভবন মিলনায়তনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা রেললিংক ও খুলনা-মোংলা রেলপথ দুই দেশের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। বাংলাদেশ থেকে বছরে ১০ লাখের বেশি মানুষ ভারতে ভ্রমণ করে এবং ২০২১ সালে ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে পণ্য পরিবহণ করে ২০০ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ রেল।

কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকটের কারণে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে প্রভাব পড়েছে, তা বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে এবং এটি ২০১৫ সালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তিনগুণ বেড়ে ২০১৮-১৯ সালে ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি ছিল ৮.২ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ১.২৬ বিলিয়ন ডলার। প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনকে পেছনে ফেলে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হয়েছে বাংলাদেশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাটে প্রস্তাবিত তিনটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়িত হলে তা হতে পারে দুই দেশের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে কোনো সামরিক সমঝোতা ছিল না। তাই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শুধু আস্থার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। স্থল সুরক্ষায় উভয় দেশের যৌথ মহড়া ‘সম্প্রীতি’ ইতোমধ্যেই সাতবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া বাংলাদেশের যশোর মিলিটারি স্টেশনে এ বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হয়।

জলসীমানা সুরক্ষায় ২০২০ সালে ‘বঙ্গসাগর’ নামে যৌথ নৌ-মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ভারত বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করেছে এবং এ নীতি সীমান্তবর্তী দুই দেশের জন্যই আশীর্বাদস্বরূপ বলে স্বীকার করেছে। ঢাকা-দিল্লি পারস্পরিক বিশ্বাস আরও জোরদার হয়, যখন বাংলাদেশ ১৮ বছর পর ২০১৫ সালে উলফার শীর্ষনেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারত সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।

বাংলাদেশের ‘টেকসই উন্নয়নের’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। ভারতের আদানি গোষ্ঠী ও রিলায়েন্স পাওয়ার বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ৪৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে পিডিবির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে শুরু করে ডিজিটাল ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা দুই দেশের সুসম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। ভারত সরকার বিভিন্ন মেধাবৃত্তির পাশাপাশি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ১৫০০ কর্মকর্তাকে ভারতে প্রশিক্ষণ প্রদানে এবং ২০২০ সালে ভারত-বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১০০ জনকে ভারত ভ্রমণের সুযোগ দেয়।

২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের অর্থায়নে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন এবং সমাবর্তনে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসাবে যোগদান করেন। করোনাকালীন মহামারি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অংশ হিসাবে ভারত বাংলাদেশকে ১.২ মিলিয়ন ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করে।

ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া, করোনাকালীন সহায়তা এবং অতিমারিতেও স্থলপথে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চলমান রাখা, অন্যদিকে গত বছরের দুর্গাপূজায় ভারতে ২৬০০ কিলোগ্রাম এবং এ বছর এক টন আম উপহার হিসাবে পাঠানো দুই দেশের সুসম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে।

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা একটি সংকটকাল পার করছে, যেখানে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। সংকটকাল প্রলম্বিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য, উদ্ভিজ্জ তেলের বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব দক্ষিণ এশিয়াতেও ব্যাপকভাবে পড়ছে।

বৈশ্বিক এ সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রকে আরও সুদৃঢ় করে একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তুলবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশের প্রশংসার আলোকে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশ ও ভারতের অনুসৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে নিরপেক্ষ নীতি দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য অপরিমেয় ভূমিকা রাখবে।

লেখক : ড. দেলোয়ার হোসেন – অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সদস্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (প্রেষণে)


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ