1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এইডস

ই-বার্তা প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই মানবিকতার কারণেই এখন নানামুখী ঝুঁকিতে দেশ। শুধু জনসংখ্যার বোঝা হয়েই নয়, সন্ত্রাস, মাদক, মানবপাচার এমনকি স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বড় ঝুঁকি বয়ে এনেছে। তাদের আশ্রয় দেয়ার পর থেকে কক্সবাজারে প্রতি বছরই বাড়ছে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা।

রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এইডস। বিশেষ করে, কক্সবাজারে দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে জেলাতে এইডস রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৯০০ জন। এর মধ্যে রোহিঙ্গাই ৭৭১ জন। আর সাড়ে ৭ বছরে মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি হওয়ায় দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে স্থানীয়দেরও।

২০১৫ সাল থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এইচআইভি স্ক্যান করার কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা আসার পর ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারে ৫৩৮ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৩৯৫ জনই রোহিঙ্গা।

তবে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৪ জনে। তার মধ্যে ৭৭১ জনই রোহিঙ্গা। আর সঠিক এবং বিশালভাবে এইচআইভি স্ক্যান করা হলে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এআরটি অ্যান্ড এইচআইভি ফোকাল পারসন মো. আশিকুর রহমান বলেন, এখনো পুরোটাই সংশ্লিষ্টরা স্ক্যানিংয়ের আওতায় আসেনি। সে জন্য আসলেই ধারণা করা যাচ্ছে না, এখনই সম্পূর্ণভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঠিক কি পরিমাণে এইডস সংক্রমিত রোগী রয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এইডস ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রনজন বড়ুয়া রাজন বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে একটা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে আমরা আটকে রাখতে পারছি না। বাইরের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের অবাধ চলাফেরা আছে। বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মাঝে এটার হার যদি বাড়তে থাকে অবধারিতভাবে আমাদের মধ্যেও সেটার প্রভাব পড়তে পারে।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের এইডস রোগ শনাক্ত করার পাশাপাশি তাদের তদারকির বিষয়টি গুরুত্ব দেন শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতর।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক তোহা ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজারেও অনেক বিদেশগামী লোক আছে, তাদেরকে একটা স্ক্রেনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। আগেই যদি আমরা তদন্ত করতে পারি যে কতসংখ্যক আছে, তাহলে তাদেরকে সেবার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পে যারা বসবাস করেন তারা যদি সচেতন না হন এবং তারা সচেতনতার জায়গা থেকে পরস্পর পরস্পরকে যদি সহায়তা না করেন তাহলে এটি কিন্তু সরকারের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

নতুন ও পুরনো মিলে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গারা। আর স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে ৫ লাখের মতো।

কক্সবাজারে এইডসের পরিসংখ্যান

মোট এইডস রোগীর সংখ্যা ৯৫৪ জন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ৭৭১ জন এবং বাঙালি ১৮৩ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭১০ জন, যেখানে রোহিঙ্গা ৬১২ জন এবং বাঙালি রয়েছেন ৯৮ জন। এ পর্যন্ত এইড আক্রান্ত হয়ে ৬১ জন রোহিঙ্গা ও ৫৭ জন বাঙালির মৃত্যু হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ