অর্থনৈতিক চাপ বাড়লেও বাংলাদেশের ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি কম বলে জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস। আর সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকেও ইতিবাচক বলছে মুডিস।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী আর চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। এতে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলো। ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে এরই মধ্যে দেউলিয়া ঘোষণা হয়েছে শ্রীলঙ্কা। মিয়ানমার ও পাকিস্তানে তীব্র হয়েছে রিজার্ভ ডলারের সংকট। চাপে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিও।
মার্কিন ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান মুডিস বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকি কম হওয়ায় শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ, বলছে মুডিস।
সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ, বলছে মুডিস। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগ, অ-প্রয়োজনীয় আমদানির ওপর বিধিনিষেধ, রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করা এবং ডলার মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাকে ইতিবাচক বলছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর একটি। তবে করোনাকালে সরবরাহে বিঘ্ন এবং চলমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশটির অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন।