1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিশ্বের অবাক করা সাতটি চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

জাদুঘরে বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্মগুলো সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু অনেক ঘটনা আছে যেখানে সিনেমার মতো সুপরিকল্পিতভাবে চুরি করা হয়েছিল চিত্রকর্ম। উল্লেখ্য দামী ও দুর্মূল্য চিত্রকর্ম চুরি পর্যবেক্ষণে এফবিআইয়ের একটি পৃথক ইউনিট কাজ করে। ক্রাইম ফাইল থেকে পৃথিবীর বিশ্বখ্যাত কয়েকটি চুরির ঘটনা তুলে ধরা হলো।
১. মোনালিসা: লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘মোনালিসা’ ১৯১১ সালে প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামের ভিনসেনজো পেরুগিয়া নামের এক কর্মচারী চুরি করে। মিউজিয়ামটি তখন বন্ধ ছিল। চুরির দু’বছর পর চিত্রকর্মটি বিক্রি করতে গিয়ে সে ধরা পড়ে। এ দু’বছরের মধ্যে মোনলিসার অনেক নকল চিত্রকর্ম বিক্রি হয়েছিল।
২.গার্ডনার জাদুঘর থেকে রেমব্র্যান্ড এর আঁকা চিত্রকর্ম ‘দ্য স্ট্রোম অন দ্য সি অব গালীল এর প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ১৩টি চিত্র চুরি হয়েছিল। দু’জন ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তার ছদ্মবেশে জাদুঘরের নিরাপত্তা রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে জাদুঘরে প্রবেশ করে ও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাদুঘর লুট করে। লুট করা ছবির মধ্যে রয়েছে- ভার্মার এর আঁকা ‘The Concert’, রেমব্র্যান্ড এর আঁকা ‘The Storm on the Sea of Galilee’ এবং ‘A Lady and Gentleman in Black’। ১৩টি ছবি আর পাওয়া যায়নি। যেখানে এগুলো রাখা ছিল সে ফ্রেমগুলো এখনো ফাঁকা পড়ে আছে।
৩.দ্য স্ক্রিম
১৯৯৪ সালে দু’জন ব্যক্তি নরওয়ের অসলোতে অবস্থিত জাতীয় আর্ট জাদুঘর থেকে এডভার্ড মাঞ্চ এর আঁকা চিত্রকর্ম ‘দ্য স্ক্রিম’ চিত্রকর্মটি চুরি করে। তারা যাওয়ার সময় একটি নোট রেখে যায় যাতে লেখা ছিল ‘Thanks for the poor security’ (দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ)। পেইন্টিংটির মুক্তিপণ হিসেবে তারা ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছিল কিন্তু কর্তৃপক্ষ দিতে রাজি হয়নি। তিন মাস পরে একটি স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে পেইন্টিংটি অক্ষতভাবে উদ্ধার করা হয়।
‘দ্য স্ক্রিম’ ২০০৪ সালে আবারও চুরি হয়ে যায় মাঞ্চ জাদুঘর থেকে ‘ম্যাডোনা’ নামক আরেকটি চিত্রকর্মের সঙ্গে। বন্দুকধারীরা মুখোশ পড়ে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে জাদুঘরে ঢোকে এবং চুরি করে পালিয়ে যায়। ২০০৬ সালে ছ’জনকে এই অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয় কিন্তু তখনো পেইন্টিংগুলো নিখোঁজ। নরওয়ের পুলিশ ২০০৬ সালে এই ছবি পুনরুদ্ধারের কথা জানান কিন্তু এগুলো উদ্ধারের বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
৪.কানস্থল জাদুঘর
২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের রোটারডামের কানস্থল মিউজিয়াম থেকে ৭টি চিত্রকর্ম চুরি হয়। এগুলোর মধ্যে ছিলো ক্লড মনেট এর আঁকা চিত্রকর্ম ‘ওয়াটারলু ব্রিজ’, মনেট এর আঁকা ‘Waterloo Bridge’ ও ‘Charing Cross Bridge, London’ এবং পিকাসো এর আঁকা ‘Tete d’Arlequin’। দুষ্কৃতকারীরা রাত ৩টায় তাদের কার্যক্রম শুরু করে। মিউজিয়ামের অ্যালার্ম বাজা স্বত্ত্বেও তারা নিরাপত্তা কর্মীদের আসার আগেই পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা ধরা পড়ে কিন্তু পেইন্টিংগুলো এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায় চুরির প্রমান মুছে ফেলতে কয়েক মিলিয়ন ইউরো দামি পেইন্টিংগুলো পুড়িয়ে ফেলে চোররা।
৫.প্যারিসের জাতীয় মডার্ন আর্ট জাদুঘর থেকে ২০১০ সালে এক রাতে পাবলো পিকাসোর আঁকা চিত্রকর্ম ‘লে পিজন অক্স পেটিটস্ পয়েস’সহ ৫টি পেইন্টিং চুরি হয়, যার মূল্য ছিল প্রায় ১৬২ মিলিয়ন ডলার। পেইন্টিংগুলো চুরির সময় অ্যালার্ম বাজেনি। এগুলো যে চুরি হয়েছে, তা পরের দিন সকালে জাদুঘর কর্মীদের নজরে পড়ে। পিকাসোর ‘Le pigeon aux petits pois’ চিত্রকর্মটি এগুলোর মধ্যে একটি, কেউ কেউ বিশ্বাস করে এগুলো উদ্ধার করা যাবে না। কারণ চোর, চুরি করা মাত্রই সেগুলো ময়লায় ফেলে দেয়। ময়লাগুলো পরিষ্কার করার পরে কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে জানতে পারে।
৬.দ্য জাস্ট জাজেস চিত্রকর্মটি এঁকেছিলেন জ্যান ভ্যান ইক অথবা তার ভাই হুবার্ট ভ্যান ইক। এটা ১৯৩৪ সালে বেলজিয়ামের জাদুঘর থেকে চুরি হয়েছিল এবং কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি। চুরির কিছুদিন পরেই চোর বা চোরেরা পুলিশরে কাছে চিঠি লেখে এবং এভাবে ১১টা পত্র আদান প্রদান হয়। চিত্রকর্মটির মুক্তির জন্য তারা এক মিলিয়ন বেলজিয়ান ফ্রাঙ্ক দাবি করে এবং মুক্তিপণ দেওয়া হলে প্যানেলের একটি অংশ ফেরত দেওয়া হয়। চোর আর্সেন গোয়েদার্তিয়ার-ই শুধুমাত্র জানতেন পুরো চিত্রকর্মটি কোথায়, তিনি তখন মৃত্যুশয্যায় ছিলেন এবং এ অজ্ঞাত তথ্যটি তিনি তার কবরে নিয়ে যান। এই দিন থেকে একজন গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলায় নিযুক্ত হন।
৭. ভিনসেন্ট ভেন্ট গগ এর আঁকা পপি ফ্লাওয়ার্স চিত্রকর্ম মিশরের কায়রোর মুহম্মদ মাহমুদ খলিল জাদুঘর থেকে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে চুরি হয় এবং আজ পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। পেইন্টিংটির আনুমানিক মূল্য ছিল ৫০ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। একজন মিশরীয় কোটিপতি এটির সন্ধানদাতার জন্য ১,৭৫,০০০ ইউএস ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে ‘পপি ফ্লাওয়ার্স’ সর্বপ্রথম ১৯৭৭ সালে চুরি হয় এবং ১০ বছর পরে সেটি কুয়েত থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ