ইবার্তা অনলাইন ডেস্ক: প্রিন্সেস লেডি ডায়নার অপ্রকাশিত ভিডিও টেপে চার্লসের পরকীয়ার কারণে ডায়নার হতাশা ও যৌনজীবন নিয়ে তোলপাড় চলছে। ভিডিও প্রকাশ নিয়ে নিয়ে ডায়নার ঘনিষ্ঠ জনদের আপত্তি সত্ত্বেও ভিডিও টেপের স্বত্বাধিকারী চ্যানেল ফোর এবার জানিয়েছে, এক দেহরক্ষীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল ডায়নার।
ডায়নার সঙ্গে প্রিন্স চার্লসের সম্পর্কের অবনতি হলে ডায়নার সাথে দেহরক্ষী বেরি ম্যানাকির ঘনিষ্ঠতা যৌন সম্পর্কে গড়ায়। প্রকাশিতব্য ভিডিও টেপে ডায়নার স্বীকারোক্তি রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে!
ভিডিও টেপে ডায়না সঙ্কোচ না করে বলেছেন, প্রিন্স চার্লসের চাহিদা বলতে ছিল তিন সপ্তাহে একবার যৌনতা। কোনও মানসিক টান ছিল না দু’জনের মধ্যে। এভাবে বিয়ের আগে চার্লস প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যামিলার কাছে তিন সপ্তাহে একবার যেতেন। তাই বেরির (দেহরক্ষী) সঙ্গে অন্তরঙ্গ হন।
১৯৯৩ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে কণ্ঠস্বর উন্নত করার জন্য একজন স্পিচথেরাপিস্টের শরণাপণ্ণ হয়েছিলেন ডায়না। পিটার সেটেলন নামে স্পিচথেরাপিস্টের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে হত তাকে। তিনি সেটার ভিডিও করতেন। এই ভিডিও টেপের রেকর্ডিং তিনিই করেছিলেন। তখন ডায়না কিছুই গোপন রাখতেন না সেটলনের কাছে। দেহরক্ষী বেরির সাথে যৌনতা ও প্রেমের কথাও তিনি খোলাখুলি বলেন।
চ্যানেল ফোরের দাবি ডায়না বলেছিলেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে দেহরক্ষী বেরিই ছিলেন ডায়নার মনের মানুষ। সব কিছু ছেড়ে বেরির সঙ্গে তিনি পালাতে রাজি ছিলেন।
ডায়না বলেছেন, ‘”সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম আমি ওর সঙ্গে ভাল আছি। আমি যে মানসিক পরিস্থিতিতে আটকে ছিলাম বেরিই আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। আমি যা চেয়েছি, সে তাই করেছে।”
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো প্রসঙ্গে ডায়না বলেন, “নিরুত্তাপ চার্লস বলেছিলেন, আমি ওয়েলসের একমাত্র প্রিন্স নই যার উপপত্নী আছে।”
স্বামীর পরকীয়ার কথা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে জানিয়েছিলেন ডায়না। এলিজাবেথের উত্তরে বলেন, আমি জানি না তোমার কী করা উচিত। চার্লসকে আমি সামলাতে পারব না।
ডায়না ও বেরির সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পরেই তার দেহরক্ষী বেরি ম্যানাকিকে বরখাস্ত করা হয় এবং এর কিছুদিন পরই একটি বাইক দুর্ঘটনায় বেরির মৃত্যু হয়।
ডায়না বলেন, বেরির মৃত্যু আমার জীবনের সবথেকে বড় শোক।