ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম: হজ্ব এজেন্সিগুলো সমন্বয়হীনতার কারণেই মূলত ফ্লাইটের সময়সূচির বিপর্যয় ঘটেছে বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হজ্ব ফ্লাইট জটিলতাসহ নানা বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ এই দাবি করেন।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত বিমানের ১৯টি হজ্ব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে
মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, হজ্ব ফ্লাইট বিপর্যয়ের দায়ভার কার, তা নিয়ে আমি কোনো কথা বলবো না। তবে এজেন্সিগুলো সমন্বহীয়নভাবে বাড়িভাড়া করার কারণে ফ্লাইট বিপর্যয় হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি যাতে আয়ত্তের বাইরে চলে না যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
আমরা ১৪টি বাড়তি স্লটের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেভাবে স্লট দেওয়া হয়নি। তাই বাড়তি ১৪টি স্লটের সর্বোচ্চ ৭টি স্লট ব্যবহার করতে পারবো।
প্লেনের টিকিট সিন্ডিকেটের অভিযোগের বিষয়ে বিমান এমডি বলেন, টিকিটের সংগ্রহের বিষয়ে আমরা হজ্ব এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে চাহিদা আহ্বান করার পর ১১৫ টি এজেন্সি আবেদন করে। তাদেরই টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো জটিলতা নেই। আমরা আশাবাদী শেষ পর্যন্ত সব যাত্রীই হজ্বে যেতে পারবেন।
হজ্ব ফ্লাইট বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৯ হাজার ৮ হাজার ৮৮৭ জন। এ পর্যন্ত ৭০ টি হজ্ব ফ্লাইট জেদ্দায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২৪ হাজার ১১৫ জন হজ্বযাত্রী পরিবহন করেছি আমরা। এখনও আমাদের যে সক্ষমতা আছে তাতে আমরা মোট ৫৮ হাজার ৯১৩ জন হজ্বযাত্রী পরিবহন করতে পারবো। তাছাড়া বাড়তি আরও ১৪ স্লটের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি এর অনুমতিও আমরা পেয়ে যাবো।