শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিনোদন সংস্থা ‘শো টাইম মিউজিক’ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রবাসীদের সাথে মেতে উঠেছিল এক আড্ডায়। ভক্তদের উৎসুক প্রশ্নগুলোর জবাব দেন তিনি। বলেন ব্যক্তিজীবনের কথাও।
প্রেম এবং বিয়ে প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘ফেসবুকে পরিচয় ঘটে উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে। এত সুন্দর মেয়ে, ছবি দেখেই অভিভূত হই। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল যে, এটি হয়তো কোন ফেইক আইডি। কিন্তু বাস্তবেই যে সে … ছিল। লন্ডনে খেলার সময় দেখা হয় দু’বার। এরপরই বিয়ে। প্রেম করার তেমন সুযোগ ঘটেনি। তবে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো এবং সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। কারণ, বিয়ের পর আমি আরও বেশী উৎসাহ পাচ্ছি ক্রিকেটের প্রতি। ’
সাকিব, স্ত্রী শিশির ও দু’বছর বয়সী কন্যা আলেনা হাসান অব্রেসহ থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিসন সিটিতে। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলমের আমন্ত্রণে সর্বস্তরের প্রবাসীর সমাগম ঘটেছিল। বক্তৃতা না দিয়ে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে চলে যান সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট এবং ব্যক্তি জীবনের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান।
সাকিব আল হাসান বললেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আমরা একটি পর্যায়ে এনেছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে নিয়ে যাবে এবং আমি খুবই আশাবাদী যে, নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা বর্তমানের মত সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা পেতে থাকলে নিশ্চয়ই বিশ্ব-ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশ অনন্য এক স্থান দখলে রাখতে সক্ষম হবে।’
সাকিব আরও বলেন, ‘শরীর যদি পারমিট করে তাহলে আরও ১০ বছর পর্যন্ত খেলতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আর আমার স্বপ্ন হচ্ছে, অবসরে যাবার আগে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নের মুকুট উপহার দেওয়ার। ’
সাকিবকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বহু বছর যাবৎ নিউইয়র্কে বসবাসরত আরেক কৃতি অ্যাথলেট ও সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রেসিডেন্ট সাঈদ-উর রব। এ সময় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ, প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী সাঈদ রহমান মান্নান, কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভিন, বাংলাদেশ সোসাইটির সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী, আহসান হাবীব শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
