ভারী বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার ফলে প্লাবিত হয়েছে সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার খামার। ঈদকে উপলক্ষ্য করে সারা বছরের যে প্রস্তুতি ছিল বন্যার কারণে গরু মোটাতাজাকরণ খামার ও বসত ভিটায় পানি ওঠায় লোকসানের আশংকা করছেন খামারিরা।
সিরাজগঞ্জের ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, পুকুরসহ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১ হাজার একর চারণ ভূমি ও ১৯২৬ মেট্রিক টন ঘাস। নষ্ট হয়ে গেছে এক হাজার মেট্রিক টন পশু খাবার। এছাড়া গবাদি পশুর বিভিন্ন পানি বাহিত রোগ নিয়েও দুচিন্তায় খামারিরা।
জানা গেছে, বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও গবাদি পশু নিয়ে সঙ্কটে আছেন তারা। পশুর নিরাপদ স্থান না পাওয়ায় কম দামে পশু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় ৮০ হাজার গরু, ৩৫ হাজার ছাগল এবং ৮৭০০টি ভেড়া বন্যা কবলিত হয়েছে।
খামারিদের এই সংকট কাটাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।