করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে টিকাদান। কিন্ত এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ কোটি ১৭ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ ৮০ হাজার। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ কোটি ১৭ লাখ ৪ হাজার ৪১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৪ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫৮ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৬৩ লাখ এক হাজার ৭৪৪ জনের। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ৩১ হাজার ৮৭৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৮ লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৩ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ২৬ হাজার ৭৮৫ জন। আর ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ১০ লাখ সাত হাজার ৮৮২ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। তবে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৮০১ জনে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬৬ হাজার ৫৮৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ৮৮ লাখ ৪০ হাজার ২৩২ জন।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া, পঞ্চম ফ্রান্স, ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য, সপ্তম তুরস্ক, অষ্টম আর্জেন্টিনা, নবম কলম্বিয়া, দশম স্পেন।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২১ হাজার ৯০২ জনে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।