1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আবারও খলিল-বার্গম্যানদের গোমর ফাঁস

ইবার্তা সম্পাদনা পর্ষদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

হাজার ঘণ্টা রাত জেগে বসে একটা গল্পের প্লট সাজানো আর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা যে এক নয়, সেটা বোঝার মতো জ্ঞান; সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা কিংবা অ্যাকডেমিক যোগ্যতা- কোনোটাই নেই তাদের। ফিকশন আর সাংবাদিকতা- পুরোপুরি উল্টো। অথচ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ঢাল ব্যবহার করে নিয়মিতই তথ্যসন্ত্রাস করছে এই চক্রটি। সম্প্রতি দেশের সম্ভাব্য একটি এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে একটি ফিকশন লিখেছে নেত্রনিউজ গং। সাধারণ মানুষের কাছে এটিকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলে গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে তারা। কিন্তু ডেভিড বার্গম্যান ও তাসনিম খলিলের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে মূলধারার গণমাধ্যমের কারণে। আসুন সংক্ষেপে একবার মূল ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করি।

যেহেতু সভ্য সমাজের কাছে নেত্রনিউজ ইতোমধ্যে একটি গুজবের কারখানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে. তাই এবার সাধারণ মানুষদের কাছে নতুন গুজবকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য অভিনব ফন্দি এঁটেছে তাসনিম খলিল। ১০ তারিখে প্রকাশ করা ‘ওরা প্রতিমন্ত্রীর লোক’ নামক ডকুফিকশনকে সংবাদ হিসেবে চালানোর জন্য পরের দিন একটি নাটকীয় স্ট্যাটাস দেয় সে। সেখানে সে ইনিয়ে বিনিয়ে এটিকে সংবাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সিনেম্যাটিক ডায়লগ লিখেছে। আসুন সেটি একবার দেখে আসি, তারপর রহস্যের জট খুলবো আমরা।

এবার আসুন, প্রকৃত ঘটনার দিকে চোখ রাখি। ড. কামালের বেকার জামাই ও ব্যারিস্টার সারা হোসেনের উচ্চাভিলাষি স্বামী ডেভিড বার্গম্যান এবং সিলেটের সুপরিচিত জামায়াত পরিবারের সন্তান তাসনিম খলিলরা মূলত কারো না কারো এজেন্ট হিসেবে তথ্যবিকৃতির মাধ্যমেই বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়ায়। এই সাইবার সন্ত্রাসীরা এসব করে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে। সেসব স্থানে মানুষের মধ্যে মিডিয়া লিটারেসি কম, সেখানে তারা এসব গুজবীয় কন্টেন্ট দিয়ে সাময়িকভাবে হাইপ সৃষ্টির চেষ্টা করে। সেই ধারাবাহিকতায় তাদের নতুন টার্গেট হলো দেশের উন্নয়নের সফলতম একটি সেক্টর- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এলপিজি ব্যবসায়ীদের মনোপলি ভাঙার জন্য যখন চেষ্টা চলছে, ঠিক তখনই এসব ব্যবসায়ীদের হয়ে মাঠে নেমেছে তাসনিম খলিল ও বার্গম্যান।

গুজব ছড়িয়ে নেত্র গং দাবি করছে যে, বাংলাদেশ সরকার মহেশখালিতে এলপিজি টার্মিনাল বানাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী তার স্বজনদের সেই প্রজেক্টের কাজ দিচ্ছেন। এরফলে জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়টি এখনো পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে। এর সঙ্গে সরকারের কোনো আর্থিক সম্পৃক্ততা নেই। কোনো নির্দিষ্ট কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে এখনো কোনো চুত্তি পর্যন্ত হয়নি। এমনকি হয়নি কোনো প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই। সম্প্রতি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত এক সংবাদে তারাও বলেছে, বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার পর এটি নিশ্চিত করেছে তারা। এবং এ কারণে কয়েক মাস আগে প্রকাশিত তাদের আংশিক সংবাদটি প্রত্যাহার করেছিল তারা। কিন্তু নেত্রনিউজ এই ঘটনাকে রঙচং মেখে একটি মহাগুজব ছড়ানোর সর্বোচ্চ অপচেষ্টা চালিয়েছে। নেত্রনিউজের এই হীন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদও করেছে পত্রিকাটি।

আরো যা জানা উচিত তা হলো, একটি কনর্সোটিয়াম এই টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবিত এলপিজি টার্মিনালটি নির্মিত হলে দেশের ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারপ্রতি কমপক্ষে ৩০০ টাকা করে দাম কমবে। তখন সাশ্রয়ী দামে গ্যাস কিনতে পারবে সাধারণ মানুষ। কারণ এখান থেকে আরো ১০ থেক ১২ লাখ টন এলপিজি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বাজারে। ফলে এখনকার ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। ইতোপূর্বে সরকার এলপিজির দাম একাধিকবার ঠিক করে দিলেও, তারা তা মানছে না। ভোক্তাদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে তারা। কিন্তু বাজারে আরো এলপিজি সরবরাহ বেড়ে গেলে, তাদের এই একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে না। তাই তারা উঠেপড়ে লেগেছে এই টার্মিনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া থামানোর জন্য। এজন্য সরকারকে কল্পিত দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে একটা সন্দেহ সৃষ্টির চেষ্টা করছে এই চক্রটি। এদের পেইড এজেন্ট হিসেবেই কাজ করছে খলিল-বার্গম্যান চক্র।

পদ্মাসেতুর পরিকল্পনা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াত যেমন দুর্নীতির গুজব ছড়িয়েছিল, ঠিক একই স্টাইলে এলপিজি টার্মিনাল নিয়ে গুজব ছড়ানোর ছড়ানোর মিশনে নেমেছে এই চক্র।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ