1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধু টানেলের ৭১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

দেশে করোনাকালীন বিধিনিষেধের মধ্যে প্রকল্পকাজে ধীরগতি দেখা দেয়। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অগ্রগতি হয়নি অনেক প্রকল্পের। তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে অন্যতম বড় মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজে।

সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পটির ৭১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২৯ শতাংশের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রতি মাসে ১ থেকে দেড় শতাংশের মতো কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন সময় শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের মধ্যে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কাজের অগ্রগতি ওঠানামা করে। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। জুলাইয়ে ১ শতাংশের মতো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বর্তমান কাজের গতি অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে ২ থেকে আড়াই শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল টানেল ছাড়াও পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের প্রস্থ ৭০০ মিটার ও দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার। ২০১৪ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। আর চীন সরকার এ টানেল নির্মাণের জন্য মনোনীত করে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) লিমিটেডকে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা সহায়তা দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। যার সুদহার ২ শতাংশ। ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে প্রকল্পটির। সেই অনুযায়ী কাজের গতি চলমান ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি কিছুটা স্থবির হয়ে যায়। প্রকল্পে কর্মরত প্রকৌশলীরা জানান, বর্তমানে বাস্তবায়নে এগিয়ে গেলেও কভিড সংক্রমণের শুরুর দিকে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প জটিলতায় পড়ে। শ্রমিক সংকটে ২০২০ সালের প্রথমার্ধে প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি আশানুরূপ হয়নি। মহামারীর কারণে বিদেশী শ্রমিকদের আগমন বন্ধ হয়ে যায় সে সময়। ফলে ওই সময় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি কমে যায়। প্রকল্পটিতে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ দেশী শ্রমিক কাজ করলেও সাধারণ ছুটির সময় শ্রমিকের দৈনিক গড় সংখ্যা নেমে এসেছিল ২০০-২৫০-এ।

এ প্রকল্পে শুরুতে চীনা নাগরিক কর্মরত ছিলেন ২৯৩ জন। পরে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিসিসি লিমিটেড আরো ৮৭ জন চীনা নাগরিককে যুক্ত করতে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এরপর থেকেই কাজের আশানুরূপ অগ্রগতি আসতে শুরু করে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, কভিডের সংক্রমণসহ বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় প্রকল্পটির অগ্রগতি নিয়ে শুরুতে কিছুটা শঙ্কা দেখা দেয়। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে এখন দ্রুতই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। মূলত নদীর তলদেশে স্বয়ংক্রিয় নির্মাণকাজ ও নদীশাসনের মতো জটিলতা না থাকায় প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ এ বিষয়ে বলেন, দেশের আলোচিত মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণকাজ জুলাই পর্যন্ত ৭১ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়া জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় টিউবের ২ হাজার ৪০০ মিটারের মধ্যে ১ হাজার ৯০০ মিটারের বোরিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ হয়ে নদীর ওপারে আনোয়ারা পর্যন্ত একটি টিউব স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম টিউবের ভেতর ল্যান্ড স্লাবের কাজ চলছে, যার ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ