পদ্মা সেতুতে শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে আজ। ফলে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে সড়কপথ। এর মাধ্যমে সেতুটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রে বাকি থাকবে শুধু পিচঢালাই। সোমবার (২৩ আগস্ট) পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এসব জানান।
সূত্র জানায়, সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে মাত্র তিনটি স্লাব বসানো বাকি ছিল। যার মধ্যে গতরাতে বসানো হয় দুটি স্লাব। আর আজ সকালে একটি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এখন সেতুর সাইড ওয়ালের কাজে বেশিসংখ্যক জনবল যুক্ত করা হবে। এখন প্রকল্পের কাজে বড় কোনো বাধা নেই। জুনের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়।
সড়ক ও রেলপথের পর গ্যাস লাইন স্থাপনের মাধ্যমে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যোগ হলো ত্রিমাত্রা। রেলওয়ে স্ল্যাব সব বসে যাওয়ায় ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার সেতুর নিচতলায় রেলপথের পাশেই বসছে গ্যাস পাইপলাইন। সাড়ে ৫ টন ওজনের গ্যাসপাইপ ক্রেনে করে সেতুর ওপর উঠানো হচ্ছে। এরপর সেতুর নিচতলায় রেলের পূর্ব পাশেই বসানো হচ্ছে। গ্যাস পাইপলাইন সেতুর ১ নম্বর ও ৪২ নম্বর খুঁটি দিয়ে মাটিতে নামিয়ে আনা হবে। যুক্ত হবে জিটিসিএলের সাব স্টেশনে। দুই প্রান্তে দুটি সাব স্টেশন থাকবে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে লাঙ্গলবন্দ থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে এই গ্যাস যুক্ত হবে মাওয়া গ্যাস সাব স্টেশনে। এখান থেকেই গ্যাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলে।