1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মাহফুজ আনাম ‘সিন্ডিকেট’ এর বিরুদ্ধে হিন্দু মহাজোট এর সংবাদ সম্মেলন

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের অভিযোগ, আইন পরিবর্তনের নামে কৌশলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ও তাঁর স্বামী ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্য ও ঐতিহ্য বিলীন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় আইন পরিবর্তনের চেষ্টার প্রতিবাদে ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এমন অভিযোগ তোলেন। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ আয়োজন করে। উদ্যোগটি হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল উল্লেখ করে তারা বলে, সরকার ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চলছে।

হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন, হিন্দু আইন সংস্কারের জন্য আইন কমিশনে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। আর এ ইস্যুতে বিতর্কিত লেখা ছাপিয়ে যাচ্ছে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার। এভাবে ১০ হাজার বছরের পুরনো হিন্দু পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে অভিযোগ করে নেতারা বলেন, চক্রটির মিশন অত্যন্ত সুকৌশলে বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করা, সুসংহত হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অশান্তির বীজ বপন করা।

আইন পরিবর্তনের নামে হিন্দু নারীদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে নেতারা বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম এবং আরেকটি বেসরকারি সংস্থা ‘বাঁচতে শেখা’র পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজ এই ষড়যন্ত্রের কুশীলব। নেতারা জানান, তাঁরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন; মন্ত্রীও বলেছেন—যেখানে হিন্দুরাই চায় না আইন পরিবর্তন হোক, সেখানে অন্যদের দাবির যৌক্তিকতা নেই।

হিন্দু নেতারা বলেন, সম্পদ নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে চক্রটি। হিন্দু ধর্মে নারীদের সম্পদ দেওয়া হয় না—চক্রটি ভিত্তিহীন এমন কথা বলছে। তাদের এসব কথা শুনে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে। মহাজোট নেতারা জানান, মূলত হিন্দু আইনে সম্পত্তির নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই। পরিবারে যখন যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তিনিই মালিক। হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজন করে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সম্পত্তি বণ্টন, বিবাহবিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরণ-পোষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রীয় পবিত্র বিধি-বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত চলছে। শাহীন আনাম ও এঞ্জেলা গোমেজকে অভিযুক্ত করে বলা হয়, তাঁদেরই নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে সভা-সেমিনার করে হিন্দু বিধি-বিধান সম্পর্কে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার চলছে। এতে সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

 

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী বলেন, ‘এ আইনটির পরিবর্তন আমরা চাই না, সরকারও চায় না। অথচ কতিপয় এনজিও চাচ্ছে তাদের প্রয়োজনে।’ চক্রান্তটি সুদূরপ্রসারী—এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই আইনের সংস্কার চাওয়া ব্যক্তিদের আসল মতলব কী সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।’

ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়গুলো জানাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমাদের বিশ্বাস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবেন।’ সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি সীমিত থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই জাগরণ সীমাবদ্ধ নয়, হিন্দু সংগঠনগুলোর সব নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করব। মাহফুজ আনামদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব।’

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট লাকী বাছাড় বলেন, ‘হিন্দু মা-বোনেরা চায় না এ আইন পরিবর্তন হোক। যেখানে আমরাই চাই না, সেখানে তাদের কেন এত মাথাব্যথা? এটি মূলত হিন্দুদের ঘরে ঘরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র। মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম, গোমেজের নেতৃত্বে এ ষড়যন্ত্র চলছে।’

বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আইন পরিবর্তন করা হবে, অথচ আমরাই জানি না। তাহলে কার স্বার্থে এই চক্রান্ত? শুনেছি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বিদেশ থেকে তহবিল এনে এই ষড়যন্ত্র করছে। অথচ তারা চাইলে অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে। তা না করে তারা আমাদের মা-বোনদের বলির পাঁঠা বানাচ্ছে। আসলে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই নেই।’

হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, হিন্দু ধর্মের আইন নিয়ে মাহফুজ আনাম ও শাহীন আনামের অপপ্রচার সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক কয়েকটি এনজিও। তারা কেন এ আইনের সংস্কার চায় নিজেরাও বোঝে না। হিন্দু আইন সংস্কার যাদের জন্য প্রয়োজন, তারা এ ব্যাপারে কোনো দাবি তোলেনি। শাহীন আনাম না বুঝে হিন্দু আইনের বিরুদ্ধে যেসব অনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন, অর্থ ব্যয় করছেন, এসব অর্থের উৎস কোথায়, তা-ও বেরিয়ে আসা উচিত।

এই আইনের সংস্কার চাওয়া হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করার শামিল—এই অভিমত দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিন্দু ধর্মকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই এই পাঁয়তারা। তাদের আচরণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত ব্যথিত। শাহীন আনাম এনজিওর এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাঁর স্বামীর ইংরেজি পত্রিকাটিকে কাজে লাগিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

প্রণব মঠ ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী সঙ্গীতানন্দ মহারাজ বলেন, আইন সংস্কারের নামে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন মাহফুজ আনাম ও শাহীন আনাম। এর মাধ্যমে তাঁরা হিন্দুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। মাহফুজ আনামরা সরকার ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরাতে চান। হাজার বছর ধরে নিজস্ব নিয়মে চলে আসা সনাতন ধর্মে অন্য ধর্মের কারো হাত দেওয়ার অধিকার নেই।

তিনি আরো বলেন, ‘মাহফুজ আনামরা আমাদের ধর্মে নারীর অধিকারের কথা বললেও বাস্তবতা হলো, এ ধর্মে কারো অধিকার কখনো খর্ব হয়নি। তাঁরা মূলত সনাতন ধর্মের আইনের অপব্যাখ্যা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। এ দেশে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। এটা তাঁদের সহ্য হচ্ছে না। তাই মাহফুজ আনামরা চক্রান্তে নেমেছেন সে সম্পর্ক যাতে নষ্ট হয়ে যায়।’

 

ইসকনের ফুড ফর লাইফের পরিচালক রুপানুগ গৌরদাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভালো আছে। আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। হিন্দু পরিবারগুলোতে ভাই-বোনের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এদের মধ্যে কোনো বিভেদ বা আক্ষেপ নেই। আইন পরিবর্তনের নামে মাহফুজ আনামরা যে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন, আমরা এই অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মান্ধ করতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ এটি। এ প্রস্তাব প্রত্যাহার না করলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মা-বোনেরা ঝাড়ু হাতে ডেইলি স্টার অফিস ঘেরাও করবে।’

বৈদিক কৃষ্টি সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার প্রধান আচার্য রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ প্রশ্ন করে বলেন, ‘যাঁরা হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চান তাঁরা কারা? আমাদের ধর্ম সংস্কারের মাধ্যমে তাঁরা হিন্দু পরিবারের শান্তি ও দায়ভার বিলুপ্ত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। আমাদের ধর্ম সংস্কার করতে চেয়ে তাঁরা প্রকারান্তরে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এটি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। আমরা মাহফুজ আনামদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

হিন্দু মহাজোটের বরিষ্ঠ সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল বলেন, “মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম সব সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছেন। এঁদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। এঁরা হিন্দু ধর্ম ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান।’

বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি কর্নেল (অব.) নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘হিন্দু ধর্মে মত-পথ রয়েছে, তবে বেদ সার্বভৌম। এর সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। অন্যায়ভাবে প্রচার করা হয়, হিন্দুরা দ্বিধাবিভক্ত। না, আমরা একতাবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই। গুটিকয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে। ওই সব এনজিও কর্মীর বিচার চাই। কোনোভাবেই আইন পরিবর্তনযোগ্য নয়। আমরা বিব্রত, সরকারকে বিব্রত করছে। অবিলম্বে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রতিভা বাগচী বলেন, আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব তোলার মধ্য দিয়ে মূলত চক্রটি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে খেপিয়ে তোলার গোপন মিশনে মেতেছে। এতে সরকারের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস নষ্টের পাশাপাশি বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ চরম উদ্বিগ্ন।’ ডেইলি স্টারে কল্পকাহিনি ছাপিয়ে মাহফুজ আনাম হিন্দুসমাজের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করে প্রতিভা বাগচী বলেন, ‘শাহীন আনাম ২০১৭-১৮ সালে তাঁর এক কর্মচারীকে দিয়ে হিন্দু ধর্মে তালাক প্রথা চালু করার জন্য রিট দায়ের করেন। তখন কোর্ট বিষয়টি শুনানিযোগ্য নয় বলে খারিজ করে দেন। সম্পত্তির বিষয়ে হিন্দু আইনে সব কিছুই স্পষ্ট। পাশাপাশি সংশয় নিরসনে উচ্চ আদালতের বহু নির্দেশনা রয়েছে। সব সম্পত্তির একক মালিক যৌথ পরিবার। যৌথ ও অবিভক্ত পরিবার হিন্দুসমাজের সাধারণ নীতি। সব শ্রেণির হিন্দু পরিবার সাধারণভাবে যৌথ।’

 

অবিলম্বে সংস্কার প্রস্তাব থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে হিন্দু নেতারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে—হিন্দু আইনের কোনো ধরনের সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা যাবে না। হিন্দু আইনে কোনো ধরনের হাত দেওয়া হবে না মর্মে ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকারকে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। হিন্দু পরিবার, সমাজ ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সনাতন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শঙ্কর দাস, বৈদিক সমাজ বাংলাদেশের স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন মিশ্র, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সরকার, শ্রীগুরু সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত, ভক্ত সংঘের সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, বাংলাদেশ মন্দির মিশনের সভাপতি সুশান্ত পাল, বাংলাদেশ হিন্দু লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস প্রমুখ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ