1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাগরের ‘ভেতরে’ রানওয়ে উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে সম্পন্ন কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে কাজের উদ্বোধন হয়েছে। যার মাধ্যমে বিমানবন্দরের একটি অংশ থাকবে বঙ্গোপসাগরের ভেতরে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে যখন উড়োজাহাজ অবতরণ করবে বা উড্ডনয়ন করবে তখন দুপাশে বঙ্গোপসাগরের জলরাশির দৃশ্য উপভোগের অফুরন্ত সুযোগ পাবে।

রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ের সমুদ্রে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। গণভবন প্রান্ত থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্তে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক উন্নয়ন কাজ আমাদের করতে হবে। সেটি আমরা করব। এই রানওয়েটা এমনভাবে সম্প্রসারণ করতে চাই যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় প্লেনগুলি যেন নামতে পারে,রিফুউলিং করতে পারে বা আসতে পারে। কক্সবাজার যে পর্যটন কেন্দ্র এটিকে আরও আধুনিক সুন্দর বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র আমরা করব। যেন এখানে এসে সবাই দেশটিকে উপভোগ করতে পারে।’

সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এখানে সাহস করেছেন তাদের অনেকের দ্বিধা ছিল, অনেকের অনেক কথা ছিল। আর আমাদের পরিবেশবিদ কিছু আছে, যা কিছু পায় তার ওপর লাফ দিয়ে পড়ে। কোনোকিছু, আগামাথা বোঝে না। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ করাটি বড় কথা। সবকিছু মোকাবিলা করেই আমরা এই সম্প্রসারণের কাজটি শুরু করতে যাচ্ছি।’

১০ হাজার ৭শ ফুট দীর্ঘ এই রানওয়ের ১৩০০ ফুট থাকছে সমুদ্রের মধ্যে। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে হচ্ছে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যার দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৫০০ ফুট।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজারকে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এ জন্য এই বিমানবন্দরের রানওয়ের সম্প্রসারণের পাশাপাশি আরও কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তাই তৈরি করা হচ্ছে নতুন টার্মিনাল ভবন, বসানো হচ্ছে গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, সেন্ট্রাল লাইন লাইট, সমুদ্র বুকের ৯০০ মিটার পর্যন্ত প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং, ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম, নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ ও বাঁকখালী নদীর উপর সংযোগ সেতু। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। তবে শুধু রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য খরচ করা হচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। এরইমধ্যে মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের দায়িত্বে রয়েছেন।

রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এই বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিসর উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭ ও বোয়িং ৭৪৭ এর মডেলের যাত্রী বোঝাই বিমানও এখান থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। এছাড়া এখানে রিফুয়েলিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে। সব মিলিয়ে বিমানবন্দরটিতে দেশি-বিদেশি সরাসরি ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ