1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মধুপুর বনাঞ্চল যেন অপরাধীদের অভয়ারণ্য

ই-বার্তা প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে বারবার রোমহর্ষক ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের যেন টনক নড়ছে না। বাস ডাকাতি, সংঘবদ্ধ নারী ধর্ষণসহ ভয়ংকর নানা অপরাধে আতঙ্কিত যাত্রীসাধারণ। পর্যাপ্ত পুলিশি টহল না থাকায় অপরাধীরা এই সড়কটিকেই বারবার বেছে নিয়ে ঘটাচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধ।

২০১৬ সালের ১ এপ্রিল ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় খালার বাড়িতে বেরাতে গিয়ে পরদিন ভোরে গাজীপুর যাওয়ার জন্য বিনিময় পরিবহনের বাসে উঠেন ওই নারী। বাসে আর কোনো যাত্রী না নিয়ে গেট বন্ধ করে দিয়ে মধুপুর বনাঞ্চলে এসে তারা বাস ঘুরিয়ে ময়মনসিংহের দিকে যেতে থাকে। মধুপুর বনের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে তারা ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের পর শোলাকুড়ি রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে ওই নারী মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে অন্য একজনের ফোন দিয়ে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানায়। তার স্বামী গাজীপুর থেকে এসে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ওই নারীর স্বামী বিষয়টি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের জানায়। বিষয়টি আপস করতে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে পরিবহন নেতারা। পরে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাসের চালক ও দুই সহকারীকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।

২০১৭ সালের গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুন নামের এক নারীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে একই সড়কের বনাঞ্চল এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। রূপা একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী ছিলেন। পরে মধুপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কবরস্থানে দাফন করে। ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে লাশের ছবি দেখে বোনকে শনাক্ত করেন। ৩১ আগস্ট লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওই দিন রাতেই তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। বাসের সুপার ভাইজার সফর আলীকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ড দেন টাঙ্গাইল জেলা আদালত।

সর্বশেষ ২ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনটি রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করে। সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ থেকে প্রথমে তিনজন এরপর চারজন এবং পরে আরও ছয়জন বাসে উঠে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে বাসের ২৪ জন যাত্রীকে জিম্মি করে পুরুষ যাত্রীদের পরনের কাপড় খুলে ও নারী যাত্রীদের জানালার পর্দা দিয়ে হাত, পা, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে মারধর করতে থাকে। এরপর নয়জন ডাকাত যাত্রীদের সিটের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। পরে তারা কয়েক মিনিটের মধ্যেই সকলের মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।

বাসটি দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে গাজীপুর থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ঝটিকা সার্ভিসের চালক ডাকাতদলের সদস্য বাসটির মূল চালককে সরিয়ে তিনি চালকের আসনে বসে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপর বাসটি গোড়াই এলাকায় মহাসড়কে ইউটার্ন নিয়ে টাঙ্গাইলের দিকে যেতে থাকে। রাস্তায় গাড়ির মধ্যে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে বাসটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ০৫ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ