1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিলো কুকুর

অন্যরকম ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২

দেশকে ভালোবেসে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কত মানুষই-না জীবন দিয়েছে। নিজের রক্ত ঝরিয়ে স্থান করে নিয়েছে দেশবাসীর হৃদয়ের মণিকোঠায়। এবার সেই হৃদয়ের এক কোণে জায়গা করে নিলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি কুকুর।

‘অ্যাক্সেল’ সেই কুকুর, যে দেশের জন্য অভিযানে গিয়ে মাত্র ২.৫ বছর বয়সে প্রাণ দিয়েছে। নিজ কর্তব্য পালনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অটল ছিল সে। সেনাতল্লাশিতে প্রতিটি পদক্ষেপে সহায়তা করেছে। এমনকি তিনটি গুলি খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ার আগেই নিজ দক্ষতায় খুঁজে বের করেছে লুকিয়ে থাকা এক জঙ্গিকে।

ভারতীয় সেনা সূত্রে সে দেশের গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, বারামুলার ওয়ানিগাম বালা গ্রামে দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে এমন খবর পেয়ে তল্লাশী শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেনাদের সঙ্গে ছিল ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের ‘অ্যাক্সেল’ ও ‘বাজাজ’ নামে দুই কুকুর। যে বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে সন্দেহ করা হয় সে বাড়ির প্রথম ঘরে কাউকে না পেয়ে দ্বিতীয় ঘরে প্রবেশ করে অ্যাক্সেল ও তার প্রশিক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে তাদের দিকে ছুটে আসে দুষ্কৃতিকারীর গুলি। তিনটি গুলি সরাসরি গুলিবিদ্ধ করে অ্যাক্সেলকে। এরপরও অ্যাক্সেল নিজের দায়িত্ব থেকে পিছু হটেনি। ছুটে গিয়ে জঙ্গির শরীরে দাঁত বসিয়ে দেয় সে। এতেই পরাস্ত হয়ে প্রাণ হারায় আখতার হুসেন ভাট নামের ওই জঙ্গি।

৮ ঘণ্টার অভিযান শেষে অ্যাক্সেলের দেহ উদ্ধার করে সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যায়, তিনটি গুলির ক্ষত ছাড়াও অ্যাক্সেলের শরীরে আরও দশটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। ভেঙে গিয়েছিল তার উরুর হাড়। অথচ অপারেশন চলাকালে সে বিষয়টি তার প্রশিক্ষককেও বুঝতে দেয়নি।

অ্যাক্সেল বেলজিয়াম ম্যালিয়ান কুকুর। ২০২০ সালের ২৬ জুন জন্ম। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৬ আর্মি ডগ ইউনিটের সদস্য হয় সে। শত্রুর হাতে অস্ত্র দেখে প্রতিরোধ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল অ্যাক্সেলকে। তাকে ব্যাক-মাউন্ট ক্যামেরা বহনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।

বারমুলার সিনিয়র এসপি রইস মোহাম্মদ ভাট গণমাধ্যমে বলেন, বারমুলা জেলার ওয়ানিগাম এলাকায় যখন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল যৌথ অনুসন্ধান চালায় তখন বন্দুকযুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে দুই জওয়ান, এক পুলিশ আহত হয়। যুদ্ধে আমরা আমাদের একটি স্নিফার কুকুর ‘এক্সেল’কেও হারিয়েছি।

অ্যাক্সেলকে সেনা শ্রদ্ধা জানানোর একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মেজর (অব.) সুরেন্দ্র পুনিয়া তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ভিডিওটি আপলোড করেন। সেখানে চোখের জলে অ্যাক্সেলকে বিদায় জানায় নেটিজেনরা।

অ্যাক্সেলকে হারিয়ে মন খারাপ ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদেরও। জঙ্গিডেরায় অভিযানে গিয়ে অ্যাক্সেল যেভাবে জীবন বিপন্ন করল, সেকথা মনে রাখবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ