শত বছর ধরে বরিশালের গৌরনদীতে তৈরি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু মিষ্টি দই। স্বাদে-গুণে মানে অতুলনীয় হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে মণকে মণ দই। বিক্রি হয় অর্ধ কোটি টাকা।
প্রতিদিন ভোর থেকে স্থানীয়ভাবে গাভীর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই শেষে পাঠানো হয় দই তৈরি কারখানায়। সেখানে দুপুর থেকে প্রথমে মাটির চুলায় কড়াইতে করে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা দুধ জ্বাল দেয়া হয়। দুধ জ্বাল শেষে ঠান্ডা পানির পাত্র রেখে ঠান্ডা করা হয়। কাপড় দিয়ে ছাঁকার পর চিনি মিশিয়ে আবার জ্বাল দেয়া হয় দুধ। তারপর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হাড়িতে রেখে লোহার খাঁচা, কাগজ ও চট দিয়ে ঢেকে রাখে। দু’দিন একরাত বসে দই করার পর বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
সুস্বাদু দই কিনে খেয়ে খুশি ক্রেতারা। ঐতিহ্যগত কারণে ক্রেতা সাধারণের কাছে গৌরনদীর দধি-মিষ্টি লোভনীয় সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। গৌরনদীর দধি, মিষ্টি ও ঘি’র ঐতিহ্য এখন শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক ভাবেও খ্যাতি অর্জন করেছে এখানকার লোভনীয় দধি, মিষ্টি ও ঘি।
এদিকে গৌরনদী বন্দরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ ঘোষ বলেন, শত বছর ধরে চলা ঐতিহ্যবাহী গৌরনদীর সুস্বাদু মিষ্টি দই বিক্রি করে লাভবান তারা।
গৌরনদীতে বড় বড় চারটি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার পাইকারি দাম দই প্রতি কেজি ১২০ টাকা।