1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আদিবাসী নিয়ে বিতর্ক কেন?

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২

জ্ঞানকাণ্ডের কোনো তাত্ত্বিক বিতর্ক ছাড়াই সাধারণ মানুষ হিসেবে একজন বাঙালি কৃষকই নিজেকে এদেশের আদিবাসী এবং ভূমিপুত্র বলে দাবি করতে পারেন, সেটাই তার জন্য শোভন, যৌক্তিকও। কেননা, হাজার হাজার বছরের বংশপরম্পরায় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকল সম্প্রদায়ের বাঙালিই বাংলা বা প্রাচীনকালের বঙ্গ নামক জনপদের আদিমতম অধিবাসী। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন সময়ে উদ্ভূত নানা ধরনের সমস্যা ও সঙ্কটের ফলে স্ব-স্ব অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসিত হয়ে বসবাসের কারণে তাদেরকে কেউ কি এদেশের আদিমতম অধিবাসী হতে পারে? আদিবাসী হতে পারে? এটি আদিবাসী শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থেও যথার্থ নয়- কোনোভাবে ব্যাকরণ সম্মতও নয়। তবু এসব ছোট ছোট জাতি গোষ্ঠীর মানুষ নিজেদেরকে আদিবাসী বলে দাবি করে আসছেন। আবার, তাদের দাবি যতটা না জোড়ালো তারচেয়ে বেশি জোড়ালো একটি বিশেষ মহলের তৎপরতা।

ইতিহাসের নানা কালপর্বে রাষ্ট্রনৈতিক ও ভৌগোলিক নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় এদেশে অভিবাসিতরা আদিবাসী হলে হাজার বছরের বংশপরম্পরায় বিকশিত হওয়া তুলনায় বৃহৎ সম্প্রদায়সমূহ ‘ভূঁইফোড়’ জাতিগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত হবে! এটি মেনে নেওয়া যায় না। আকার আয়তনে বড় বলে, সংখ্যায় বেশি বলে এদেশের স্থায়ী বাসিন্দা ব্যতিরেকে নবাগতরাই আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হলে এরচেয়ে বিপর্যয়ই আর কী হতে পারে, এরচেয়ে প্যারাডক্স আর কী হতে পারে! আমরা অনেক সময় আমাদের নিজেদের কথা নিজেরা বিশ্বাস করতে চাই না। এক ধরনের ঔপনিবেশিক হীন মানসিকতা আমাদের চাল-চলন ও চিন্তাভাবনার সাথে গভীরভাবে যুক্ত হয়ে গেছে। বিদেশিদের কোনো বক্তব্য-ভাষণ বা উদ্ধৃতি ছাড়া তেমন করে কোনো কিছুই মানতে চাই না, বিশ্বাসও করতে চাই না। সে রাজনীতি হোক, আমলাতান্ত্র হোক, প্রশাসন হোক কিংবা শিল্পসাহিত্যের আলোচনা-সমালোচনা হোক- সর্বত্রই একই অবস্থা! তাই প্রসঙ্গত প্রখ্যাত নৃবিজ্ঞানী মর্গানের দ্বারস্থ হতেই হয়। আদিবাসী সম্পর্কে এক ভাষণে তিনি বলেছেন : ‘কোনো স্থানে স্মরণাতীত কাল থেকে বসবাসকারী আদিমতম জনগোষ্ঠী যাদের উদ্ভব-উৎপত্তি, ছড়িয়েপড়া, বিকশিত হওয়া কিংবা বসতি স্থাপন সম্পর্কে কোনো সুনিদিষ্ট ইতিহাস নেই তারাই সেই স্থানের আদিবাসী।’ আমাদের দেশে নিজেদেরকে যারা আদিবাসী হিসেবে দাবি করে এ ভূখণ্ডে তাদের আগমন, আগমনের পটভূমি, আগমনের পর বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের বসতি স্থাপন এবং বিকশিত হওয়ার ইতিহাস বেশি দিনের পুরোনো নয়। কোনো সুপ্রাচীন কিংবা প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেও তারা এদেশে বসবাস করছেন না। সবই ইতিহাসের পাঠে সুবিদিত। সকল জাতিগোষ্ঠীরই প্রায়-সুনির্দিষ্ট ইতিহাসও লভ্য।

আদিবাসী শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হলো কোনো একটি অঞ্চলে সুপ্রাচীন কাল থেকে বসবাস করছে এমন জনগোষ্ঠী। কিন্তু ক্ষুদ্র জাতি বা উপজাতি হলেই সেই অঞ্চলের আদিবাসী কিংবা আদিবাসিন্দা হবেন এমন কথা ভাববার বিজ্ঞানসম্মত কোনো অবকাশ নেই। নানা তাত্ত্বিক কাঠামো তৈরির মাধ্যমে এসব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীকে তাই আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করার কিংবা দাবি করারও কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। এদেশের অর্থাৎ প্রাচীন কালের বঙ্গ কিংবা হালের বাংলাদেশের আদি বাসিন্দা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান মিলে বাঙালি সম্প্রদায়। কারণ বংশপরম্পরায় বাঙালিরাই হাজার হাজার বছর ধরে ঝড়, ঝঞ্ঝা, বন্যা, খড়া, মহামারি, নদী ভাঙনসহ প্রাকৃতিক নানা রকমের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধেও বাঙালির সংগ্রামশীল ভূমিকা রয়েছে প্রাগৈতিহাসিককাল থেকেই। নানা সময়ে নানা রাজনৈতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এদেশের মূল জনস্রোতের বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে এই জনপদ। তাই শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থসহ ব্যাকরণগত তাৎপর্যকে সমীহের সঙ্গে বিবেচনা করে এই জনপদের সেইসব মানুষকে প্রকৃত আদিবাসী হিসেবে মর্যাদা দান জরুরি যারা সুপ্রাচীনকাল থেকে এই ভূখণ্ডে বসবাস করছেন- এককালের প্রকৃতি পূজারি, শিকারজীবী, কৃষিজীবী এবং পরবর্তীকালের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের মানুষ।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এদেশের অধিবাসী বটেন কিন্তু কোনোক্রমেই আদিবাসী নন। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে হাজার বছর পূর্বেও বাঙালি জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। সেসব অঞ্চলে আশপাশের দেশ থেকে নানা কারণে আগত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণ এ দেশেরই অধিবাসী- নাগরিক হিসেবেও বাংলাদেশি সন্দেহ নেই। তারা নিজেদেরকে আদিবাসী দাবি করায় আমাদের ঘোর আপত্তি। নিজেদেরকে আদিবাসী দাবির পশ্চাতে তারা যে যুক্তি দেখাতে তৎপর কিংবা অন্তর্জাতিক যেসব দলিল-দস্তাবেজ উপস্থাপনের প্রয়াস পান তা আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ার উপনিবেশিকতার যাঁতাকলে পিষ্ট রেড ইন্ডিয়ান ও অ্যাবরিজিন জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য- যারা এখন পর্যন্ত নিজেদের ভূমিসহ অন্যান্য নানাবিধ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামের এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে উপজাতি জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে একাধিক প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন। এসবের মধ্যে ছিল ১. বাংলাদেশ সরকারের চাকুরিতে উপজাতি জনগণের ন্যায্য হিস্যা প্রদান করা হবে, ২. উপজাতিসমূহের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি পুরোপুরি সংরক্ষণ করা হবে এবং ৩. উপজাতিরা ভূমির অধিকার পূর্বের মতোই ভোগ করতে থাকবেন। ১৯৭২ হতে ১৯৭৫ সালের মুজিব শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিসমূহ তথা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আন্তরিকতা ও উদারতার প্রকাশ সবসময়ই লক্ষ করা গেছে। পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর হার্দিক সহযোগিতা ছিল অনন্য। সেখানকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের কথা চিন্তা করেই তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনে সুদীপ্তা দেওয়ানকে মনোনীত করেছিলেন। এটি ছিল তার যুগান্তকারী এবং সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক চিন্তার প্রকাশ। তিনি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছিলেন বলেই কোনো বাঙালিকে সংসদ সদস্য মনোনীত না করে একজন উপজাতি নারীকে মহান সংসদে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন নারীরাই সমাজের অসঙ্গতিসহ নানা ধরনের সমস্যাবলি বেশি উপলব্ধি করতে সক্ষম এবং সেমতে তার প্রতিকার সাধনে ভূমিকা রাখতেও তৎপর। সুদীপ্তা দেওয়ানও বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা মতো কাজ করে যাচ্ছিলেন। সংসদ ভবনের প্রধানমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সুদীপ্তা দেওয়ান জাতির পিতাকে তার এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসাধারণের নানা সমস্যা ও সঙ্কটের প্রসঙ্গ অবগত করলে বঙ্গবন্ধু তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন : ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় এলাকার জনগণের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করা হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় জনগণ ও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক এবং অন্যান্য নাগরিকদের মতোই সমান সুযোগ ও সুবিধা ভোগ করবে।’ এছাড়াও তিনি আরও বলেছিলেন, অতীতের ঔপনিবেশিক সরকারের শোষণ ও অবহেলার ফলেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। উপজাতীয় এলাকার জনগণের দুঃখের দিনের অবসান হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদেরকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, পোল্যাান্ড, হাঙ্গেরি পূর্ব জার্মানি, কিউবা এবং ভারতে উচ্চাশিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়। দেশের ভেতর তাদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামে উপজাতি শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসের জন্য ভবন বরাদ্দ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর বাস্তবভিত্তিক এসব উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমাজে শিক্ষার হারে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। বঙ্গবন্ধুর গৃহীত নীতির আলোকেই বর্তমানে চাকমা ও মারমা নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার হার মূল জনস্রোতের শিক্ষাহারের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়- বরং চাকমা সম্প্রদায়ের শিক্ষার হার রীতিমত ঈর্ষণীয় সাফল্যই বয়ে এনেছে।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩ (ক) ব্যক্ত আছে- ‘রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও আদিবাসী শব্দের ব্যবহার নেই। আবার ২৮ ধারায় উল্লেখ আছে ‘জনগণের যে কোনো অনগ্রসর অংশকে অগ্রসর করার নিমিত্তে, সুবিধা দেওয়ার নিমিত্তে রাষ্ট্র যে কোনো প্রকার বন্দোবস্ত নিতে পারবে এবং সংবিধানের অন্য কোনো ধারা সেটাকে বাধা দিতে পারবে না।’ সংবিধানের এই নীতিমালার আলোকে আজ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের বড় বড় পদ অলংকৃত করতে পারছেন বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। এটিই শাশ্বত বাংলার সৌন্দর্য, নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশিদের সৌন্দর্য। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়সহ একটি বিশেষ মহল আদিবাসী সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নিয়েছেন। অথচ আদিবাসী সংক্রান্ত সৃষ্ট বিতর্কে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সমাধান রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬ এর ২ ধারায় বর্ণিত আছে, জাতি হিসেবে বাঙালি ও নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশি বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া বাঙালি ব্যতীত অপরাপর যারা আছে তারা উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বলে পরিচিত হবে।

সবাই জানেন, এদেশে বসবাসরত কিছু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও আদিবাসী শব্দটি এদেশে প্রতিষ্ঠার কারিগরগণ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে পুনরায় যে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন তা একেবারেই নতুন নয়। এটি তাদের আন্তর্জাতিক একটি প্রকল্পের অংশ। এরা দীর্ঘদিন যাবৎই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসমূহকে বাংলাদেশের আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আমরা চাই বহুবিচিত্র ও বহুবর্ণিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিটি স্রোতধারাকে স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। তাদের কৃষ্টি, কালচার তথা ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও সরকার গভীর ও নিবিড় মনোযোগ দেবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানাবিধ উন্নয়নে তাদের অন্তর্ভুক্তিকে আরও জোড়ালো করবে। আমরা মনে করি এরূপ বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক ভূমিকা এবং সক্রিয় কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
হাজার বছরের মূল জনস্রোতের মানবগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে মেনে নিয়ে বিতর্ক ও বিভ্রান্তির কুহেলিকা এড়িয়ে ছোট বড় সকল জাতিগোষ্ঠীর সম্মিলিত ঐকতানে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়াই হোক সকলের দীপ্ত প্রত্যয়।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ