ঢাকার ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৮ আগস্ট) র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি দল অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ডাদেশ দেন।
এ সময় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত এলাকায় অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করার অপরাধে সজিব কেমিক্যাল কোম্পানিকে ৪ লাখ টাকা, নিউ দিলখুশ বেকারিকে ২ লাখ টাকা, হাইকো কনজিউমার প্রোডাক্টসকে ৫০ হাজার টাকা, রাব্বি ওয়েল এন্টারপ্রাইজকে ৩ লাখ টাকা, জেকে ফুড প্রোডাক্টসকে ৩ লাখ টাকা, নিউ সোলার পাওয়ার বুস্টার মশার কয়েলকে ২ লাখ টাকা, হে বক্স অ্যান্ড কোম্পানিকে ৬ লাখ টাকা, গ্রিন প্যাক ইন্ডাসট্রিজ লিমিটেডকে ৪ লাখ টাকা করে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট নগদ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কনিক্স ট্রান্সমিশন জেল, কেরানীগঞ্জের দুজনকে জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আনুমানিক পাঁচ ল লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ও নকল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে এ অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ওষুধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি করে আসছিল।