কক্সবাজারে কটেজ মালিকদের পর্যটক হয়রানি ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ। এ লক্ষ্যে কক্সবাজার কটেজ মালিকদের জন্য ৮ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ সময় নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, পর্যটক হয়রানি ও জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে রোববার (৭ আগস্ট) টুরিস্ট পুলিশের হাতে কটেজ জোনের দালাল চক্রের ১১জন আটক হয়। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের দুইদিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম আরও জানান, কক্সবাজার কটেজ জোনে টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।
সোমবার ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওন কার্যালয়ে কটেজ জোনের মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করা হয়। এ সভায় ৭টি বিষয়ে তাদের সতর্ক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশের নির্দেশনা গুলো হলো-
১. কটেজ জোনের সকল প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন।
২. যে সকল কটেজে অপরাধমূলক কাজ ঘটে তাদের মালিকদের বলে এসব বন্ধ করার ব্যবস্থা।
৩. সকল কটেজের স্টাফদের আইডি কার্ড দেয়া বাধ্যতামূলক।
৪. পর্যটক ও কটেজ স্টাফ ছাড়া বাইরের কেউ সেখানে আড্ডা বা অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করতে পারবে না।
৫. কোনো সিএনজি বা অটোরিকশা বা টমটম সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। যাত্রী নিয়ে বা নামিয়ে দিয়ে চলে যাবে।
৬. প্রত্যেক কটেজের সামনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. প্রত্যেক প্রবেশপথে গেট লাগানো হবে এবং রাত ১২টার পর শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্ব পাশের মেইন প্রবেশপথ খোলা থাকবে।
৮. পর্যটকদের এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ডসহ রেজিস্ট্রার খাতায় এন্ট্রি করাতে হবে।