রংপুরের মিঠাপুকুরের ভাংনীতে চাষীর কাছ থেকে আলু কিনে মূল্য পরিশোধ না করে শতাধিক কৃষকের কাছ থেকে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক আলু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘাম ঝরানো কষ্টের ফসলের মূল্য না পেয়ে বাধ্য হয়ে ১২ কৃষক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবু যেন রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে নিজ জমিতে ফলানো ফসলের মূল্য পাওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
কৃষকরা জানান, নাম মাত্র বায়নায় ওই এলাকার অভিযুক্ত আলু ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন প্রায় শতাধিক কৃষকের কাছে আলু কিনে পরবর্তী দীর্ঘ সময়েও মূল্য পরিশোধ করেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে নিজ জমির ফসলের টাকা উদ্ধার করতে সম্প্রতি স্থানীয় মিঠাপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের মধ্য থেকে ওই এলাকার ১২ কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাংনী ইউনিয়নের শামসুল হুদার ছেলে আলু ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষকের মাঠে গিয়ে নাম মাত্র বায়না করে ট্রাকে ট্রাকে আলু নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন স্থানে। মৌখিকভাবে কৃষকদের আলুর বাকি টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্ত চার মাস কেটে গেলেও ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের আলু বিক্রির টাকা পাননি। যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাননি কৃষকেরা।
শহিদ মিয়া নামে একজন আলু চাষী জানান, আলু ব্যবসায়ী শাহাদাত তার জমিতে গিয়ে ৬৩ কেজি ওজনের ৫০৬ বস্তা আলু নিয়ে যান। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৪ লাখ টাকা। নাম মাত্র বায়না করে দুই দিনে বাকি টাকা দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এক টাকাও দেয়নি তিনি।
অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে আলু ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি ভাংনী ইউনিয়নের ৬৯ জন আলু চাষির কাছে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছিলাম। তবে আলু পচে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কৃষকদের আলুর টাকা আত্মসাৎ করার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।