পদ্মা সেতুর রেলিং পোস্টের সঙ্গে পাকাপোক্ত করা হচ্ছে ল্যাম্পপোস্টের নাটবল্টু। বিশেষ সিমেন্ট, বালু আর ছোট পাথর কণার মিশ্রণ দিয়ে গ্রাউটিং করা হচ্ছে।
এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতুর সঙ্গে রেলিংও শত বছর টেকসই রাখতে এ কাজ সহায়ক হবে। পদ্মা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখেই চীনা প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে এ কাজে ব্যস্ত কর্মীরা।
দক্ষিণের দ্বার খুলে দেয়া পদ্মা সেতু আর্থসামাজিক অবস্থায় বিস্ময় সৃষ্টি করছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যাচ্ছে কোটি মানুষের জীবনযাত্রা। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী পরিবর্তনের হাওয়া।
স্বপ্নজয়ের এ সেতুকে শত বছর টেকসই রাখতে এখন চলছে খুঁটিনাটি কাজ। উদ্বোধনের পরপরই সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখেই প্লাস্টিকের অস্থায়ী ডিভাইডার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে প্যারাপেট ওয়ালের ওপরে সেট করা পোস্টগুলো সুরক্ষায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা।
প্যারাপেট ওয়াল ও পোস্টের মাঝের সামান্য গ্যাপ পূরণে এ ব্যস্ততা। বিশেষ সিমেন্ট, বালু এবং পাথর কণা মিশ্রণের গ্রাউটিং জমাট বাঁধার পর নাটবল্টু পর্যাপ্ত টাইট দেয়া যাচ্ছে। এরপর ব্যবহার করা হচ্ছে সুপারগ্লু। পোস্টগুলোও এখন মজবুত হচ্ছে।
মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি সূক্ষ্মভাবে এই কাজ করছে৷ সেতুর পাশাপাশি বিশেষভাবে তৈরি করা রেলিংগুলোকেও শত বছর স্থায়িত্ব দিতে এ কাজ সহায়ক হবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, এটার ভেতর থ্রেড লকার গ্লু দেয়ায় এখন টুলস ব্যবহার করে খুলতে পারবে না।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুতে ৭ হাজার ৩৮৭টি রেলিং পোস্ট এবং ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট রয়েছে।