1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অপরাধীদের আস্তানা কুড়িল ফ্লাইওভার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

রাত হলেই বেরিয়ে পড়ে তারা। খুঁজতে থাকে টার্গেট। বেছে নেয় এমন কোনো এলাকা যেখানে নেই কোনো সড়কবাতি এবং সিসি ক্যামেরা। রাজধানীতে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ এমনকি খুনের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে ভাসমান এবং ভবঘুরে মানুষ। পুলিশ বলছে, স্থায়ী এবং বর্তমান কোনো ঠিকানা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে দেয়া যায় না প্রতিবেদন।

সরোজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার ঠিক আগে বাসে বসে থাকা যাত্রীর মোবাইল ছিনিয়ে নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায় । ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত রাত ১২টা।

কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচেই মূলত তাদের আস্তানা। শুধু বাস থেকে নয়, রাতে রেললাইনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ও তাদের হাত থেকে বাঁচার উপায় নেই।

খিলক্ষেতে ভাসমান সবজি এবং ফল বিক্রেতারা জানান, রাত ৮টা থেকেই শুরু হয় এদের উৎপাত। চলতে থাকে ভোর পর্যন্ত। সারা দিনের লাভ ক্ষতির হিসেব চুকিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে কখনো কখনো ছিনতাইয়ের শিকার হন তারা।

ফুটপাত ধরে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে সারি সারি গাছ। বিশেষ করে হোটেল লা মেরিডিয়ানের উল্টোপাশ থেকে কাওলা পর্যন্ত এলাকাটি সন্ধ্যার পর থেকেই অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। নেই কোনো সড়কবাতি। এলাকাটিতে বসবাস করেন এমন কয়েকজন জানালেন সড়কের পাশের ঝোপের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ছিনতাইকারীরা।

শহিদুল ইসলাম নামে একজন জানান, এখানে কোনো সড়কবাতি নেই। তারা গাছের পেছনে লুকিয়ে থাকে। মেইন রোড দিয়ে হাঁটার পথে মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়।

বিমানবন্দর সড়কে নিয়োজিত নাইট গার্ডদের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেল ছিনতাইকারীদের সম্পর্কে।

বিমানবন্দর নাইট গার্ডদের এক কর্মী জানান, রাতে কিছু ছেলে থাকে, তারা সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষ থেকে সবকিছু নিয়ে যায়।

শুধু ছিনতাই নয়, রাত হলেই শুরু হয় অসামাজিক কার্যকলাপ। কয়েকটি স্পটে পাওয়া গেল সত্যতাও। এ অসামাজিক কার্যক্রম কেন্দ্র করেও ছিনতাইয়ের ঘটনার কথা জানা গেল তাদের কাছেই।

গত ২৯ জুলাই এ এলাকায় এক নাইট গার্ডকে খুন করে মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীরা। শুধু তাদের অপকর্মে বাধা দেয়ায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, এরা সবাই ভাসমান অপরাধী। এদের নেই ন্যাশনাল আইডি, জন্মনিবন্ধন সনদ, স্থায়ী ঠিকানা। ফলে অপরাধ প্রমাণিত হলেও দেয়া যায় না প্রতিবেদন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুধু সড়কবাতি এবং সিসি ক্যামেরা না থাকায় সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা এমন দাবি পুলিশের। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, টহল পুলিশের যথাযথ নজরদারির অভাবও এক্ষেত্রে অনেকটাই দায়ী।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ