1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জ্বালানি ব্যবস্থাপনার নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ই-বার্তা প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

মহেশখালীতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম-এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে, জ্বালানি ব্যবস্থাপনার নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বর্তমানে আমদানি করা জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে লাইটারে, সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছায় রিফাইনারি ট্যাংকে। এতে ১ লাখ টনের তেলবাহী জাহাজ খালাস করতে লাগে ১১ দিন। এসপিএম চালু হলে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা।

এতে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট কমবে, পরিবহন ব্যয়ে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেইসাথে বাড়বে বাংলাদেশের তেল মজুত ক্ষমতা।

জানা গেছে, প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটিতে মূল অনুমোদিত ব্যয় নির্ধারিত ছিল ৪ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। এতে চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছিল ৫ বছর। সে অনুযায়ী চুক্তির দিন থেকে পরবর্তী ৫ বছর পর ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে চীনকে। কিন্তু দুই দফায় ব্যয় ও সময় বেড়েছে প্রকল্পের। তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত হলেও এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে। এ হিসেবে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু হবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

প্রাথমিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন মেয়াদ ছিল নভেম্বর ২০১৫ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত। তবে বিভিন্ন কারণে ১৮ মাস পরে প্রকল্পের ঋণচুক্তি সই হয়। আর দুই দফায় প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর পর গত মে মাসে তৃতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকা এবং মেয়াদ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বাস্তবায়ন মেয়াদ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত হলেও এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকেই ঋণ পরিশোধ শুরু করতে হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমদানি করা অপরিশোধিত/পরিশোধিত তেল খালাস সহজ করা ও লাইটারিং অপারেশন ব্যয় কমানো। দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে বর্তমান রিফাইনারির প্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করা এবং বার্ষিক ক্রুড অয়েল পরিশোধন ক্ষমতা ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে ৪.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করা। ইআরএল-এর জরুরি শাটডাউনের ব্যাকআপ হিসেবে মহেশখালীতে ট্যাংক ফার্ম স্থাপন এবং পরিশোধিত তেল মজুদ ও সংরক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ