ডিয়ার গুড পিপল, গুড মর্নিং।
আমি একটি অতি সামান্য কাজ করেছি। ’গত’ দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে অতো হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে বলে আপনারা একটা প্রচারনা চালাচ্ছিলেন জোরেসোরে, প্রথম আলো ও ডয়েচ ভেলে’র রেফারেন্স। আমি ঐ দুটো পড়েছি এবং তারা যে রেফারেন্স ব্যবহার করেছে সেই গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির মুল রিপোর্টখানি পড়েছি।
মুল রিপোর্ট পড়ে জেনেছি- আপনারা যে ‘গত দশ বছর’- এর প্রচারনা চালিয়েছেন সেটি মিথ্যে। রিপোর্টে ২০০৬ থেকে ২০১৫- এই দশ বছরের তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তারা স্পষ্টভাবে বলেছে- তাদের কাছে ঐ সময়ের তথ্যই আছে।
তারা দেখিয়েছে এই সময়ে পৃথিবীর ১৯৫টির মধ্যে ১৪৮টি দেশ থেকে আইন বহির্ভূত ভাবে টাকা বের হয়েছে এবং এসেছেও। এই ১৪৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি- যেখান থেকে আইন বহির্ভূত ভাবে টাকা শুধু বের হয়নি, টাকা এসেছেও। দুটা ফিগারই তারা দিয়েছে।
২০০৬ থেকে ২০১৬ এই সময়ের প্রথম তিন বছর আপনাদের প্রিয় প্রথম আলো প্রযোজিত সেনা সুশীল সরকার ক্ষমতায় ছিলো। ঐ সময় কতো টাকা বের হয়ে গেছে সেটা অবশ্য তারা আলাদা করে দেখায়নি।
আমি কেবল এই তথ্যগুলো জেনেছি এবং জানিয়েছি আমার ফেসবুক ওয়ালে। আমার জানা এবং জানানোর মধ্যে কোন ভুল থাকলে সেটা নিয়ে আলাপের সুযোগ ছিলো আপনাদের। কিন্তু তার বদলে চিপাচুপায়, নানা গোপন গ্রুপে শলা পরামর্শ করছেন কীভাবে হাসান মোরশেদকে দেখে নিবেন। কেউ কেউ শ্রীলংকা হবার অপেক্ষায় আছেন মাত্র। হাসান মোরশেদের যদি ” আওয়ামীলীগ ও সরকার”- এর প্রটেকশন না থাকতো তাহলে এখনই দেখে নিতেন!
ডিয়ার কমরেডস, সাহস থাকলে এখনই কিন্তু দেখে নিতে পারেন। আপনাদেরকে নির্ভয়ে এই নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে- হাসান মোরশেদ আওয়ামীলীগ বা সরকারের দেয়া নিরাপত্তা নিয়ে চলেনা, কোন সুবিধাও ভোগ করেনা। বরং আপনাদের বহু বড় বড় বিপ্লবী আওয়ামী লীগের আনুকুল্যে চলা প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। হাসান মোরশেদকে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগারদের চাকরী করতে হয়না।
আমি আমার দুপায়ের উপর ভরসা করে চলি, নিজের ব্রেড এন্ড বাটার নিজে জোগাড় করি। কোথায় থাকি, কোথায় বসি, কোথায় আড্ডা দেই সব প্রকাশ্য। আইসেন।
(লেখক ও গবেষক হাসান মোর্শেদের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে…)