1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পোশাক তৈরির কারখানা চলবে বায়ুবিদ্যুতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে দেশে বায়ুবিদ্যুতে চলবে পোশাক তৈরির কারখানা। চীনের তৈরি এই ভার্টিক্যাল উইন্ড টারবাইন গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। মাইডাস সেফটি গ্রুপের কারখানায় বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে এই মডেলের টারবাইন থেকে।

উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে ঝুঁকছে দেশের বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা। এই পথে যুক্ত হয়েছে মাইডাস সেফটি বাংলাদেশ লিমিটেড। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লাভস তৈরির কানাডীয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি এর আগে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। এখন তারা উইন্ডমিল বা বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে সরঞ্জাম দেশে পৌঁছেছে। উৎপাদন শুরু হলে বেসরকারি খাতে এটাই হবে দেশের প্রথম উইন্ডমিল।

গত অর্থবছরে ৩০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা মাইডাস সেফটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের অংশ হিসেবে চীনের জিয়াংসু নাইয়ার পাওয়ার টেকনোলজি কম্পানির তিন কিলোওয়াট ক্ষমতার ওই উইন্ড টারবাইন আমদানি করেছে। টারবাইনটি গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে, যা আগামী ১৮ আগস্ট কারখানায় পৌঁছাবে। কেনা থেকে স্থাপন পর্যন্ত উইন্ডমিলটির জন্য খরচ হচ্ছে সাত হাজার মার্কিন ডলার।

উইন্ডমিলটি চলতি আগস্টের শেষ দিকে মাইডাস সেফটি গ্রুপের তিন নম্বর ইউনিটে বসানো হবে। একটি টারবাইন থেকে প্রতিদিন ৩৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রকল্পটি সফল হলে এ বছরই এমন আরো ১০টি উইন্ডমিল প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানালেন মাইডাস সেফটি বাংলাদেশ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মইনুল হোসেন।

মইনুল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ‘২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বায়ুবিদ্যুৎ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, বাতাসের গতি মোটামুটি প্রতি সেকেন্ডে ৪ কিউবিক মিটার থাকলে মাঝারি সাইজের একটি উইন্ড টারবাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। চট্টগ্রাম ইপিজেডে আমাদের কারখানাটি একেবারে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায়। আমরা বেশ কয়েক মাস এনিমোমিটারে বাতাসের গতি মেপে দেখেছি এখানে বাতাসের চাপ প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৫ কিউবিক মিটার, যা উইন্ড টারবাইনের জন্য আদর্শ। ’ প্রকল্পটি সফল হলে এ বছরের মধ্যে আরো ১০টি উইন্ডমিল বসানো হবে বলে তিনি জানান।

নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গত মে মাস থেকে তিন নম্বর ইউনিটের ছাদে বসানো সৌর প্যানেল থেকে প্রতিদিন এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে কারখানাটি। ডিসেম্বরে ইউনিট-২-তে বসানো প্যানেল থেকে বসানো প্যানেল থেকে পাওয়া যাবে আরো আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর আগামী বছরের জুলাই মাসে ইউনিট-১-এর ছাদে বসানো সৌর প্যানেল থেকে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে গ্রুপটির মোট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে সাড়ে চার মেগাওয়াটে, যা গ্রুপটির বিদ্যুতের মোট চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মো. হোসাইন জানান, এখন পর্যন্ত দেশে বেসরকারিভাবে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়নি। তবে এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ