1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সিরিজ বোমা হামলার দিন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

সালটি ২০০৫, মাসটিও আগস্ট। দিনটি আগস্টের ১৭। এ দিন মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাড়া দেশের অন্যান্য ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা ঘটায় জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাত উল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং হরকাতুল জেহাদ। তাই ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে কুখ্যাত ‘সিরিজ বোমা হামলা দিবস’ হিসেবে পালন করে আওয়ামী লীগ। ঘাতকেরা নারকীয় সব কাণ্ড ঘটাতে আগস্টকেই কেন বেছে নেয় সে বড় আশ্চর্য বিষয়!

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার জন্য ১৫ আগস্টের ভয়ঙ্কর ট্রাজেডির কথা সমগ্র বিশ্ব জানে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টার কথাও বিশ্ববাসীর অবগত। সবই আগস্ট ঘিরে! আগস্ট কী তাহলে সত্যিই ‘ক্রুয়েলেস্ট মান্থ’? আমাদের তো তাই মনে হয়।

অনেকেরই মনে আছে শত বাধাবিপত্তি আর প্রতিকূলতার মধ্যেও মাত্র দুদিন আগে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা শোকাবহ ১৫ আগস্ট পালন করি। বাধা ছিল বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোটের অপশাসন- তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে কোণঠাঁসা করার জন্য নির্যাতন নিপীড়ন এবং অহেতুক মামলায় জড়িয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা। বিরোধী দলের রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্ত কর্মকাণ্ড নানাভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। আর দুঃখ ছিল বাঙালির শোক দিবসটিকে কী নির্মম অবজ্ঞা-উপেক্ষায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা ও ‘বানিয়ে তোলা জন্মদিন’ পালনের আড়ম্বরে শোকবিহ্বল পরিবেশের বিপরীতে মহাজন্মোৎসবের আয়োজনে ভাবগম্ভীর পরিবেশকে বিনষ্ট করার মাধ্যমে ১৫ আগস্টের শোক দিবসে পরোক্ষভাবে বাধা দেয়া। শোকগ্রস্ত জাতির হৃদয়ের গভীর ক্ষত ও শোককে কৌশলে ভুলিয়ে ভূয়া জন্মদিনের সুখের উল্লাসে মাতিয়ে তুলতেন- রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত! তিনি জানতেন শোকই শক্তির উৎস। তাই ১৫ আগস্টের মতো শোকবিধুর দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও নির্জলা মিথ্যা জন্মদিন পালন করবেন তা স্বাভাবিকভাবে চিন্তাই করা যায় না! এ অসুস্থ মানসিকতারও পচিায়ক! তার প্রকৃত জন্মদিনে এমন আয়োজন হলে আমাদের দুঃখ ও আফসোসের মাত্রা ততটা গভীর হতো না।

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া প্রায় ষাটোর্ধ্ব একজন ব্যক্তির ১৯৯৩ সালে হঠাৎ করেই জন্মদিন হয়ে গেল ১৫ আগস্ট! বর্তমানে তার ছয়-ছয়টি জন্মদিন! দুঃখের পাশাপাশি লজ্জায়ও মুষড়ে যাই! দেশের প্রধানমন্ত্রীই যদি এমন মিথ্যাচারে গা ভাসান তাহলে অন্যান্যদে কথা উল্লেখ না করাই ভালো! সে হয়তো জন্মদিন-কেন্দ্রিক মিথ্যা নয়, রাষ্ট্রীয় নানাবিধ অনুষঙ্গে, রাজনীতির ময়দানে মিথ্যারই বেসাতি চালিয়েছেন তারা! মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে প্রকৃত ইতিহাসকে করেছেন বিকৃত! তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নামেও নানা রকমের মিথ্যা অপপ্রচারে তাদের জুড়ি মেলা ভার ছিল! নানারূপ মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এদেশের মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত ও উন্মূল করাই ছিল চার দলীয় জোট সরকারের বিশেষত বিএনপির অন্যতম উদ্দেশ্য। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট যেমন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তেমনি বিদেশে অবস্থান করায় বেঁচে-যাওয়া শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানাকেও হত্যা করতে পুরোনো ঘাতকের বংশধররা তৎপর হয়ে ওঠে। অর্থাৎ ১৫ আগস্টের অসমাপ্ত ‘মিশন’ সমাপ্ত করার জন্যই ঘাতকেরা মাঠে নামে!

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হাওয়া ভবনের নির্দেশে জননেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসভা চলাকালে জননেত্রীকে লক্ষ করে একর পর এক এলোপাতাড়ি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। জননেত্রী সে হামলা থেকে বেঁচে গেলেও তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত অনেকেই এখনও তাদের শরীরে বহন করে চলেছেন ভয়াবহ হামলার চিহ্ন- অনেকেই পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন। সেই গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্রের নীল-নকশা প্রণয়নের সাথে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

এদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট গভীর পরিকল্পনা করেছিল। তাই তারা বিভিন্ন নামের জঙ্গি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মদদ দিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই- এদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নস্যাৎ করা, বাঙালির আবহমান সংস্কৃতিকে উপেক্ষা ও অবহেলার মাধ্যমে মৌলবাদী শক্তির বিকাশ ঘটানো। তারা ভেবেছিল এটি সফলভাবে করতে পারলে আওয়ামী লীগের মতো প্রগতিশীল যে কোনো চিন্তার রাজনীতিকে প্রতিহত সম্ভব। আর যুগের পর যুগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন থাকাও সম্ভব মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আর তাদের দোসরদের। এ লক্ষ্যেই তারা ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের মাটি থেকে মুজিবীয় আদর্শকে বিলীন করতে চেয়েছিল। পরবর্তীকালে তারেক রহমানগং শেখ হাসিনাকেও এদেশের মাটি থেকে সরিয়ে দিতে তৎপর হয়েছিল। চার দলীয় জোট সরকার দায়িত্ব নিয়েই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে জঙ্গিবাদী শক্তির বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছিল। বিএনপি কৌশলে নেপথ্য থেকে নীল-নকশা প্রণয়ন করে আর তার বাস্তবায়নে মাঠে সক্রিয় হয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো! সাধারণের মনে কী ভয়ঙ্কর আতংক সৃষ্টি হয়েছিল ৬৩ জেলায় একই সময় একযোগে বোমা হামলার ফলে! সেদিনের নারকীয় সেই ঘটনার কথা মনে হলে আজও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে! প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড এবং জামায়াত এসব হামলার পশ্চাতে মদদ দিয়েছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সব বিষয়ে ওয়াকিবহালও ছিলেন। ওয়াকিবহাল ছিল তদানীন্তন হাওয়া ভবনও। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নানা রকমের কৌশলী বক্তব্য-বয়ানে সাধারণের দৃষ্টিকে সব সময়ই ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেন।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে ২০০৯ সালের প্রথম সপ্তাহ থেকে আজ পর্যন্ত। প্রায় চৌদ্দ বছর ক্ষমতায় থাকা কালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা শুধু দৃশ্যমান উন্নয়নই নয়- অদৃশ্য অনেক সূচকেও বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং উন্নতি ঈর্ষণীয়! এমনই ঈর্ষণীয় যে, পাকিস্তান ভেঙ্গে সৃষ্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পঙ্গুত্বের ভবিষ্যৎবাণী যারা করেছিলেন তারাও আজ পাকিস্তানকে পরামর্শ দিচ্ছেন বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে- শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে!

তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান (বাংলাদেশ) পশ্চিম-পাকিস্তানের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে ৭৫% পেছনে ছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ সেই পাকিস্তানকেই অর্থনৈতিকভাবে ৪৫% পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু অর্থনীতি নয়- মানব উন্নয়নের বহুবিধ সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতকেও পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু শত সহস্র উন্নয়ন অগ্রগতি সত্ত্বেও ক্ষমতাসীনদের প্রতি বিভিন্ন মহলের নানারূপ বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সামাজিক কোনো অসঙ্গতি-অনাচারকেও রাজনৈতিক মোড়ক দিয়ে প্রচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে একটি বিশেষ মহল সাধারণের মানসজগতে সরকার বিরোধী মনোভাব চাঙ্গার অপপ্রয়াস পান। যখন একটি দল দীর্ঘ ১৪ বছর ক্ষমতায় তখন এরূপ ঘটনা নানাভাবে শাখাপ্রশাখা বিস্তারের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কৌশলও অবলম্বন করে। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে, সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির লোকের অভাব নেই- বিশেষত আওয়ামী লীগেরই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভুলভাল ব্যাখ্যা দিয়ে উপস্থাপন করছেন। এদেরকে সামাজিকভাবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যেই প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগের সময় নষ্ট করারা সময় আর হাতে নেই।

আজ ১৭ আগস্ট। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষিত আছে। দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত বার্তা থেকে এরূপ তথ্য জানা যায়। এ দিনটিতে সিরিজ বোমা হামলার নিন্দার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নানা বিষয় নিয়ে মহল বিশেষের অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হবে। পূর্বেই বলেছি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের ৬৩ জেলার পাঁচ শতাধিক স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট জেএমবি ও হরকাতুল জেহাদ ওই দিন বেলা ১১ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে ৬৩ জেলায় হামলা চালায়। হাইকোর্ট, সুপিমকোর্ট, জেলা আদালত প্রাঙ্গণ, বিমান বন্দর, মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি-আধাসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ এরূপ প্রায় সাড়ে চার’শ স্থানে পাঁচ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। একইসাথে তারা দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে লিফলেটও ছড়িয়ে রাখে। এ ঘটনায় দুজন নিহত ও প্রায় আড়াইশোর বেশি লোক আহত হন। ঘটনার তাণ্ডবের তুলনায়, সৃষ্ট ত্রাসের আতংকের তুলনায় নিহতের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও ঐ দিনটি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কিত দিন হিসেবে চিহ্নিত। কেননা, নজির বিহীন এ ঘটনার পশ্চাতেও ছিল আওয়ামী লীগের মতো প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করা। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে যে ঘাতক ও ক্ষমতালোভী গোষ্ঠী জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হামলাকারীরা তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত, তাদেরই বশংবদ, তাদেরই উত্তরাধিকার। তারাই ছিল তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের সহায়ক শক্তি।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জঙ্গি দমনের যে নীতি গ্রহণ করে তাতে রাষ্ট্রে শান্তি ফিরে আসে। জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার বিরুদ্ধে ১৬১টি মামলা হয়। তন্মধ্যে এখন পর্যন্ত শতাধিক মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলোর মাধ্যমে শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ ৩৫ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে আরও ১৮৪ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়।

স্থিতিশীল রাষ্ট্রে উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সরকার মনোনিবেশ করে। সাফল্যও আসে দ্রুত। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের ফলে উন্নয়নের সবচেয়ে আলোচিত ও বহুল সাফল্যের পদ্মা সেতু বাঙালির কাছে আজ আর কোনো স্বপ্ন নয়- একেবারে বাস্তবে পদানত। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে চার দলীয় জোট শাসনের সময় যে অরাজক ও নৈরাজ্য পরিস্থিতি ছিল সেখানে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ প্রকল্প আজ বাস্তবায়িত। বৈশ্বিক সংকটের জন্য আপতকালীন লোডশেডিং চললেও অচিরেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে বলে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আশ্বাস শোনা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পুরোনো দিনের একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার ভাসছে- যেখানে তিনি খুব তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই বলছেন ‘আপনি একই সাথে ঘরে এবং শপিং মলে বিদ্যুৎ আশা করতে পারেন না’! অথচ বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। আমরা দেখছি বাস্তবতা উপলব্ধি করে সাধারণ মানুষ সরকারের কৃচ্ছ্র্রতার নীতি মেনে চলছেন, তারা বুঝতে পারছেন লোডশেডিংও সাময়িক। কিন্তু এরকম বিষয়গুলোকে পুঁজি করেই ষড়যন্ত্রীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব করছেন! সাধারণকে বিভ্রান্ত করার ‘বিশেষ প্রকল্প’ গ্রহণ করেছেন। রিজার্ভ, দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির নানা ইস্যুতে এক শেণির মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন- ঘুরে ফিরে তারা শ্রীলঙ্কা, শ্রীলঙ্কা জিকির তুলছেন! বিএনপি এদের পেছনে নেপথ্য সঙ্গীতের কাজটি করে যাচ্ছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার তর সইছে না তাদের!

আওয়ামী লীগকে দীর্ঘদিন মাঠে দেখা যায়নি- ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে যখন মাঠে নামবে তখন ষড়যন্ত্রকারীদের নানা বিষয়ে সমুচিৎ জবাব দেবে সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ