1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘নিখোঁজ’ পুলিশ কনস্টেবল রাসেল নেদারল্যান্ডসে ‘হোটেল বয়’

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২

প্রশিক্ষণের জন্য নেদারল্যান্ডসে গিয়ে ফিরে না আসা চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দুই সদস্য এখনও পুলিশের রেকর্ডে ‘নিখোঁজ’। সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) সোহেল রানা জানিয়েছেন, তাদের সন্ধান অব্যাহত আছে।

তবে এই প্রতিবেদক জানতে পেরেছে, ওই দুজনের একজন রাসেল কান্তি দে এখন নেদারল্যান্ডসে হোটেল বয় হিসেবে কাজ করছেন। ফেসবুকে অন্য নামে আইডি খুলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সহকর্মী ও পরিবারের সঙ্গে। সহকর্মীদের দুজন তা স্বীকার করলেও পরিবারের দাবি, যোগাযোগ নেই।

রাসেলের বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লাইন্না কাটা এলাকায়।

ডগ স্কোয়াডের প্রশিক্ষণ নিতে তিনিসহ সিএমপির আট সদস্যের একটি দল গত ৯ মে নেদারল্যান্ডসে যায়। প্রশিক্ষণ শেষে অন্যরা ফিরে আসলেও পাওয়া যায়নি তাকে ও কুমিল্লার শাহ আলমকে। তারা দুজন ছিলেন সিএমপির কনস্টেবল।

সে সময় রাসেলের বাড়িতে গিয়ে তার বোনের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদক। জানা যায়, প্রশিক্ষণ শেষে রাসেল স্বেচ্ছায় নেদারল্যান্ডসে থেকে যান।

রাসেলের বোন কমলা পাল তখন বলেন, ‘২০ তারিখ রাসেল পম্পির সঙ্গে সবশেষ কথা বলে। স্ত্রীকে সে নানান কসমেটিকস কেনার কথা জানায়। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ২৫ মে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়, প্রশিক্ষণে যাওয়া টিমের ৬ সদস্য এক দিন আগে দেশে ফিরছে।’

কমলা জানান, রাসেলের ফিরে না আসার বিষয়টি তাদের দুবাই প্রবাসী ভাই সুভাষ চন্দ্রকে জানানো হয়।

কমলা বলেন, ‘২৬ মে রাসেল সুভাষকে ফোন করে। ফোনে সে জানায়, তার পুলিশের চাকরি ভালো লাগে না। তাই সে দেশে (নেদারল্যান্ডস) থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তখন ভাই তাকে বকাঝকা করলে সে ফোন কেটে দিয়ে তার (সুভাষের) নাম্বার ব্লক করে দেয়। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।’

সে সময় রাসেলের বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তার স্ত্রী পম্পি রানী দে।

সম্প্রতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাসেলের এক সহকর্মীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “‘এলেক্স চৌধুরী’ নামে একটি আইডি থেকে রাসেল আমাকে মেসেজ দেয়। সে রেস্টুরেন্টে কাজ করছে। সেখানে ভালো থাকার কথাও জানিয়েছে। আরেকদিন ওই আইডি থেকে ভিডিও কলে তার সঙ্গে কথা বলি। সে সময় মনে হয়েছিল আমার ব্যাচমেট ভালোই আছে।”

রাসেলের এই বিষয়টি জানেন সিএমপির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, রাসেলের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ আছে। তিনি নেদারল্যান্ডসে হোটেল বয়ের কাজ করেন, ৩৫ হাজার টাকার মতো বেতন পান।

এর বেশি তথ্য তিনি জানাতে রাজি হননি।

‘এলেক্স চৌধুরী’ নামে ওই ফেসবুক আইডি ঘেঁটে দেখা গেছে, ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন রাসেলের স্ত্রী পম্পি ও শ্যালিকা কাকলি রানী।

ওই আইডিতে পরিচয় জানতে চেয়ে মেসেজ পাঠানো হলেও কোনো উত্তর আসেনি। এ বিষয়ে জানতে পম্পিকে কল করা হলে তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই।

২০১৬ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন রাসেল। ২০২১ সালের জুনে বিয়ে করেন। সংসারে আছে শিশুসন্তান।

সিএমপি কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘গত ৬ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের তিন সদস্যের কমিটি এ বিষয়ে (রাসেল ও শাহ আলমের দেশে না ফেরায়) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

‘তাতে এই দুই সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা। তবে এখনও তাদের খোঁজ মেলেনি।’


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ