1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সড়কে-বাজারে নেই চাঁদাবাজি, রাজধানীতে কমছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

রাজধানীর সাথে সারাদেশের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার ভোর রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্য আগের মতোই আসছে। সড়কে সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্বে শিক্ষার্থীরা থাকায় নির্বিঘ্নে ঢাকায় আসছে মালবাহী গাড়ি। শ্রমিকরাও ফিরেছেন রোজগারে।

রাজধানীতে প্রতিদিনই কমছে কোন না কোন পণ্যের দাম। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে বলে আশা ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ ও নিত্যপণ্যের যৌক্তিক দাম নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রভাবেই বাজারে কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম।

এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে নেমেছে ৩০ টাকা। পাল্লা দিয়ে কমেছে দেশি ও লেয়ারের দামও। কমতির দিকে প্রায় সব ধরনের সবজি। তবে বাজারে সরবরাহ কমের কারণে বিভিন্ন মাছের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা। তবে আজ সোমবার বাজারে সেটি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে দেশি ও লেয়ারের দাম। ডিমেও মিলেছে স্বস্তির আভাস।

ক্রেতাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছে। এতে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার সুযোগ পাচ্ছে না। এ তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকলে নিত্যপণ্যের দাম নাগালে চলে আসবে।

আর বিক্রেতারা বলছেন, উচ্চমূল্যে বিক্রি হওয়া আলু-পেঁয়াজসহ সবজির দামও কমছে প্রতিদিন।

তারা জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দামের উত্তাপ নেই ডাল, তেল ও চিনিসহ মুদিপণ্যের দোকানেও। এতে স্বস্তিতে আছেন সাধারণ ভোক্তারা।

একজন ট্রাকচালক বলেন, ‘আগে তো দিনাজপুর থেকে ঢাকায় ঢুকতে হলে আমাদের এই গাড়িগুলোতে ২ হাজার টাকা চাঁদা আসতো। এখন দুই টাকাও দিতে হচ্ছে না।’

একজন শ্রমিক বলেন, ‘কোনো ট্রাক আসতো না, পণ্য খালাসের কাজ আমাদের, সেটা করতে পারতাম না। আমরা কষ্ট করতাম অনেক। এখন মোটামুটি আয় হচ্ছে, আমাদের চলার মতো একটা রাস্তা হয়েছে।’

ট্রাক থেকে পণ্য ভ্যানে নামিয়ে নেয়া হয় আড়তে। সেখানেও কারো যেন দম ফেলবার ফুসরত নেই। আড়ত কিংবা খুচরা দোকানে মালামাল সাজাতে ব্যস্ততম রাত পার করছেন ব্যবসায়ীরা। আলো ফুটলেই ভোক্তার কাছে হরদম চলবে বেচাকেনা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকায় এখন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। দিতে হচ্ছে না চাঁদা। দামও কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।’

তবে সড়কে আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান সংশ্লিষ্ট গাড়িচালক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার। তাহলেই পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিকে নিয়ন্ত্রণে আসার সুযোগ তৈরি হবে বাজার ব্যবস্থাপনায়।


সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক সংবাদ