ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বন্যার পানি কমে গেলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের। ভেসে গেছে অসংখ্য কাঁচা ও মাটির ঘর। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক ঘরবাড়ি।
উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ছনুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বানের পানি নেমে গেছে। ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। অসংখ্য কাঁচা-ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।
উপজেলার সব কটি ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রাম টানা ছয় দিন বন্যার পানিতে ডুবেছিল। সরেজমিন দেখা যায়, এখনও সড়কের পাশে দোকানপাটে আশ্রয় নিয়ে আছেন বানভাসি মানুষ।
দক্ষিণ ছনুয়া গ্রামের হেলু কাজী বাড়ির ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ‘টানা সাত দিন আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। সেখানে ছেলেপুলেরা ভালো খাবারদাবার দিয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে দেখি বসতঘর-গোয়ালঘর কিছুই নেই। সব ভারত থেকে তেড়ে আসা সর্বনাশা বন্যা কেড়ে নিয়েছে।’
পাশের ফরহাদ ইউনিয়নের কৃষমন্দার গ্রামে আরও ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। ফেনী নদীর পানির তোড়ে এখানে প্রায় সব কটি কাঁচা-ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার কয়েকটি খামারের গরু, হাস-মুরগি ভেসে গেছে বানের জলে। পুকুরে মাছ নেই, ক্ষেতে নেই ফসল।
গ্রামবাসী জানান, বন্যার এক রাতে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়। গ্রামের কোনও কাঁচা-ঘরবাড়ি অক্ষত নেই। গৃহপালিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল স্রোতে সব ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা চান ঘুরে দাঁড়াতে, প্রয়োজন মানবিক সহযোগিতার।