1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশের প্রথম ও এশিয়ার বৃহত্তম এ ওয়াই সেতু “শেখ হাসিনা তিতাস সেতু”

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ও এশিয়ার বৃহত্তম ‘Y’ আকৃতির ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’।
এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলার সীমান্তের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ ‘ওয়াই সেতু’।
স্বপ্নের এ সেতু চালু হওয়ায় পাল্টে যাবে চারদিকে নদীবেষ্টিত বাঞ্ছারামপুরের দৃশ্য। নদী পাড়ি দেয়ার অপেক্ষার প্রহর আর গুনতে হবে না এখানকার সাধারণ মানুষকে। অল্পসময়ে সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ এখন সময়ের ব্যাপার।
এশিয়ার বৃহত্তম এ ওয়াই সেতুতে বদলে যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাঞ্ছারামপুরের অর্থনীতির চাকা। সেতুটি ওয়াই আকৃতির হওয়ায় এটি ‘ওয়াই সেতু’ নামে ইতিমধ্যেই পরিচিত হয়ে উঠেছে।
ত্রি-মোহনার দুই অংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়া, অপরটি পশ্চিম অংশে কুমিল্লার রামকৃষ্ণপুর বাজার এবং মুরাদনগর উপজেলা স্পর্শ করেছে।
দৃষ্টিনন্দন এ সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর জমি অধিগ্রহণ খাতে খরচ সাড়ে ৯ কোটি টাকা।
সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সেতুতে পাইল হয়েছে ৩০২টি। তিতাস নদীর ওপর এ সেতুর নির্মাণ শেষ হলে এটি চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার হবে।
সেতুটি নির্মাণের ফলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ স্বল্পসময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। অন্যদিকে লাঘব হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর ও কুমিল্লার মুরাদনগর, তিতাস ও হোমনার লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগে কমে আসবে দুই-তিন ঘণ্টা সময়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট জেলার কালেক্টরেট মাঠে এক বিশাল জনসভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮৫০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উদ্বোধন করেন। ২০১৪ সালের ৩১ জুন নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই দফায় সময় বৃদ্ধি করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শেষে লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নিকট হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কন্সট্রাকশন-ডব্লিউএমসিজি। এছাড়া আলাদা প্রজেক্টের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর উত্তর প্রান্ত থেকে লালমনিরহাটের কাকিনা মোড় পর্যন্ত ৫ দশমিক ২৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৩টি কালভার্ট ও ২টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। অপরদিকে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে রংপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ১টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে, বাঞ্ছারামপুরে প্রায় ৭৭১ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের সেতুটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা জেলার হোমনা, মুরাদনগর এলাকার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় ঝুঁকি নিয়ে নদীপথে নৌকা কিংবা লঞ্চ দিয়ে যাতায়াত করতে হতো এই এলাকার লোকজনের। সেতু চালুর ফলে অল্পসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। এলাকার অর্থনীতিতে পড়বে ইতিবাচক প্রভাব। সেতুটি নির্মিত হওয়ার ফলে এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ