1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ফ্রন্টিয়ার, ইমার্জিং ও ডেভেলপড মার্কেট রিটার্নে সবার ওপরে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ফ্রন্টিয়ার, ইমার্জিং ও ডেভেলপড মার্কেট মিলিয়ে আগস্টে পুঁজিবাজার রিটার্নে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। এ সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ রিটার্ন এসেছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। নিম্ন সুদহার, রফতানি ও রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ার কারণে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে গতি ফিরে এসেছে বলে মনে করছে এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ক্যাপিটাল (এএফসি)।
এএফসি ও ব্লুমবার্গের তথ্যানুসারে, এ বছরের আগস্ট মাসে ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে বাংলাদেশের পরই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে ভিয়েতনামের, ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপর রুমানিয়ার ৭ দশমিক ৪, বাহরাইনের ৭ এবং ওমানের ৫ দশমিক ৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। এই ক্যাটাগরিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলংকার পুঁজিবাজারে ৪ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
ইমার্জিং মার্কেট ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ২ শতাংশ করে রিটার্ন এসেছে মিসর ও কলম্বিয়ার। তাছাড়া সৌদি আরবের ৬ দশমিক ৫, পেরুর ৬ দশমিক ১ এবং কাতারের পুঁজিবাজারে ৫ দশমিক ১ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। এই ক্যাটাগরিতে পাকিস্তানের ৪ দশমিক ৭, ভারতের ২ দশমিক ৭ এবং চীনের পুঁজিবাজারে ২ দশমিক ৬ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
এদিকে ডেভেলপড মার্কেট ক্যাটাগরিতে যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচকে সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ২ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। এরপর জাপানের ৬ দশমিক ৬, ইউরোপের এমএসসিআই ৩ দশমিক ১ এবং যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজার থেকে আগস্টে ২ দশমিক ৪ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
এশিয়ার ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে আকর্ষণীয় রিটার্ন সত্ত্বেও প্রাইস আর্নিংস রেশিও (পিই রেশিও) বিবেচনায় এখনো এ দেশগুলোর পুঁজিবাজার বিনিয়োগের জন্য যথেষ্ট আকর্ষণীয়। এশিয়ার ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে ভারতের পিই রেশিও সবচেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৯। এরপর ফিলিপাইনের ১৭ দশমিক ৩, থাইল্যান্ড ১৬ দশমিক ৫, ভিয়েতনাম ১৩ দশমিক ৮, বাংলাদেশ ১১ দশমিক ৮, শ্রীলংকা ৮ দশমিক ৯, পাকিস্তান ৭ দশমিক ৫ এবং কাজাখস্তানের পুঁজিবাজারের পিই রেশিও ৬ দশমিক ৬। পিই রেশিও যত কম থাকে তা বিনিয়োগের জন্য তত বেশি আকর্ষণীয়।
এশিয়ার ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে বিদেশীদের শেয়ার বিক্রি সত্ত্বেও এ বছরের মার্চ থেকে ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ছেড়ে দেয়া শেয়ার কিনে স্থানীয় বিনিয়োগকারী বাজারে তাদের অবস্থান আরো সংহত করেছেন। এশিয়ার ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৩৫ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। এরপর ভিয়েতনামে ৩১ কোটি ৪০ লাখ, শ্রীলংকায় ১৭ কোটি ৪০ লাখ এবং বাংলাদেশে ৯ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশীরা।
কভিড-১৯-এর কারণে এ বছরের মার্চে দেশের পুঁজিবাজারে ক্রমাগত সূচকের পতন ঘটতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূচকের পতন রোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে সব কোম্পানির সর্বনিম্ন ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়। অবশ্য এর কিছুদিন পর ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটির কারণে ৬৬ দিন বন্ধ থাকে পুঁজিবাজারের লেনদেন। পরবর্তী সময়ে ৩১ মে থেকে আবারো পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হয়। পুঁজিবাজার চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২০ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে ডিএসইএক্সের। এর মধ্যে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশই বেড়েছে গত আগস্টে। মূলত টেলিযোগাযোগ, ব্যাংক, ওষুধ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয়, সিকিউরিটিজ আইনের প্রয়োগ, আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া, প্রশ্নবিদ্ধ আইপিও আবেদন বাতিল, নতুন পণ্যের উন্নয়ন, আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর মতো বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
দেশের পুঁজিবাজারের পারফরম্যান্সের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করছি। দেশের পুঁজিবাজারের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এটিকে একটি পারফর্মিং মার্কেট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেসব বিনিয়োগকারী তাদের কষ্টার্জিত পুঁজি এখানে বিনিয়োগ করবেন, সেটি যাতে নিরাপদ থাকে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলো নিয়ে আসার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
করোনা অতিমারীর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে ইতিবাচক প্রক্ষেপণ করেছে ব্লুমবার্গ। সম্প্রতি এক নিবন্ধে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, করোনার প্রভাব কাটিয়ে দ্রুতই বাংলাদেশে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। মূলত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি, উন্নত বিশ্বের মতো প্রযুক্তিগত উত্কর্ষ অর্জন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির ব্যাপ্তি বাড়ার কারণে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছে ব্লুমবার্গ।


সর্বশেষ - জাতীয় সংবাদ